কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ দেবীদ্বার এস.এ. সরকারি কলেজ বহু প্রজন্মের শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রতীক। এক সময় এই কলেজের মাঠ ছিল প্রাণচঞ্চল। সেটা শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ, জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানস্থল, এমনকি অতিথিদের হেলিপ্যাড হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। কিন্তু আজ সেই মাঠজুড়ে পানি আর কাদা।
সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাঠটি সড়কের চেয়ে নিচু হওয়ায় পানি জমে থাকে প্রায় সারা বছর। নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। ফলে জায়গাটি এখন আর খেলাধুলার উপযোগী নেই।
হতাশ শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, “যে মাঠে একসময় বিকেলে খেলতাম, এখন সেখানে নামতেও ভয় লাগে।” শিক্ষকদের বক্তব্যেও একই আক্ষেপ। রক্ষণাবেক্ষণে পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কোনো বড় ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজন সম্ভব হয়নি। এতে শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রম ও মানসিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
দেবীদ্বার কলেজ শুধু শিক্ষার কেন্দ্র নয়, বরং পুরো উপজেলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র। মাঠটি ছিল সেই প্রাণের কেন্দ্রবিন্দু। এখন সেটি যখন অচল হয়ে পড়েছে, তখন এটি পুরো সমাজের ক্ষতি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ শুধু খেলার জায়গা নয়। এটি শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই এই মাঠ পুনরুদ্ধার করা জরুরি। আমরা আশা করি, স্থানীয় প্রশাসন, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত একযোগে মাঠটি সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন। সামান্য উদ্যোগই এই মাঠকে ফিরিয়ে দিতে পারে তার আগের প্রাণচাঞ্চল্য।
কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, মাঠ সংস্কারের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেছেন। আশা করা যায়, শিগগিরই সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমরা বলতে চাই, এই আশা বাস্তবে রূপ নিক।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ দেবীদ্বার এস.এ. সরকারি কলেজ বহু প্রজন্মের শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রতীক। এক সময় এই কলেজের মাঠ ছিল প্রাণচঞ্চল। সেটা শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ, জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানস্থল, এমনকি অতিথিদের হেলিপ্যাড হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। কিন্তু আজ সেই মাঠজুড়ে পানি আর কাদা।
সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাঠটি সড়কের চেয়ে নিচু হওয়ায় পানি জমে থাকে প্রায় সারা বছর। নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। ফলে জায়গাটি এখন আর খেলাধুলার উপযোগী নেই।
হতাশ শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, “যে মাঠে একসময় বিকেলে খেলতাম, এখন সেখানে নামতেও ভয় লাগে।” শিক্ষকদের বক্তব্যেও একই আক্ষেপ। রক্ষণাবেক্ষণে পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কোনো বড় ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজন সম্ভব হয়নি। এতে শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রম ও মানসিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
দেবীদ্বার কলেজ শুধু শিক্ষার কেন্দ্র নয়, বরং পুরো উপজেলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র। মাঠটি ছিল সেই প্রাণের কেন্দ্রবিন্দু। এখন সেটি যখন অচল হয়ে পড়েছে, তখন এটি পুরো সমাজের ক্ষতি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ শুধু খেলার জায়গা নয়। এটি শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই এই মাঠ পুনরুদ্ধার করা জরুরি। আমরা আশা করি, স্থানীয় প্রশাসন, কলেজ কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত একযোগে মাঠটি সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন। সামান্য উদ্যোগই এই মাঠকে ফিরিয়ে দিতে পারে তার আগের প্রাণচাঞ্চল্য।
কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, মাঠ সংস্কারের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেছেন। আশা করা যায়, শিগগিরই সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমরা বলতে চাই, এই আশা বাস্তবে রূপ নিক।