খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতালের ভবন এক বছর আগে তৈরি হয়ে হয়েছে। তবে এখনও সেখানে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়নি। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে প্রয়োজনীয় ও উন্নত চিকিৎসাসেবা থেকে।
সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শিশুস্বাস্থ্যসেবা বাড়ানোর লক্ষ্যে খুলনায় ২০০ শয্যার আধুনিক শিশু হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ১১৪ কোটি টাকায় হাসপাতালের পাঁচ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণও শেষ হয়েছে ২০২৪ সালের জুনে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও গণপূর্ত বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে ভবনটি আজও হস্তান্তর হয়নি।
গণপূর্ত বিভাগ বলছে, তারা তিন দফা চিঠি পাঠালেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাড়া দেয়নি। অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হাসপাতাল এলাকার প্রাচীর ও ফটক নির্মাণ না হওয়ায় এলাকা অরক্ষিত থাকছে। তাই ভবন গ্রহণ করা যাচ্ছে না। এদিকে হাসপাতালটি এখন অব্যবহৃত পড়ে আছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খুলনা ও আশপাশের জেলার হাজারো শিশু উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শুধুমাত্র প্রশাসনিক অদক্ষতার কারণে। যদি এই হাসপাতাল চালু হতো, তাহলে শিশু চিকিৎসার চাপ কমতো খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে।
জনগণের করের টাকায় তৈরি এমন হাসপাতাল অকেজো হয়ে পড়ে থাকা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একদিকে দরিদ্র শিশুদের চিকিৎসা নেই, অন্যদিকে কোটি টাকার অবকাঠামো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে সেটা হতে পারে না।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে দোষারোপের খেলা বন্ধ করতে হবে। এখন দরকার জরুরি সমন্বয় ও দ্রুত সিদ্ধান্ত। প্রাচীর ও ফটক নির্মাণের মতো ছোট বিষয় যেন পুরো হাসপাতাল চালুর পথে বাধা না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনকে বুঝতে হবে, হাসপাতাল মানে শুধু ভবন নয়, সেখানে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবাও থাকা চাই। অবিলম্বে খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতালটি চালু করে প্রয়োজনীয় জনবল, সরঞ্জাম ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে সেটা আমাদের আশা।
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতালের ভবন এক বছর আগে তৈরি হয়ে হয়েছে। তবে এখনও সেখানে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়নি। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে প্রয়োজনীয় ও উন্নত চিকিৎসাসেবা থেকে।
সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শিশুস্বাস্থ্যসেবা বাড়ানোর লক্ষ্যে খুলনায় ২০০ শয্যার আধুনিক শিশু হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ১১৪ কোটি টাকায় হাসপাতালের পাঁচ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণও শেষ হয়েছে ২০২৪ সালের জুনে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও গণপূর্ত বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে ভবনটি আজও হস্তান্তর হয়নি।
গণপূর্ত বিভাগ বলছে, তারা তিন দফা চিঠি পাঠালেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাড়া দেয়নি। অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হাসপাতাল এলাকার প্রাচীর ও ফটক নির্মাণ না হওয়ায় এলাকা অরক্ষিত থাকছে। তাই ভবন গ্রহণ করা যাচ্ছে না। এদিকে হাসপাতালটি এখন অব্যবহৃত পড়ে আছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খুলনা ও আশপাশের জেলার হাজারো শিশু উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শুধুমাত্র প্রশাসনিক অদক্ষতার কারণে। যদি এই হাসপাতাল চালু হতো, তাহলে শিশু চিকিৎসার চাপ কমতো খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে।
জনগণের করের টাকায় তৈরি এমন হাসপাতাল অকেজো হয়ে পড়ে থাকা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একদিকে দরিদ্র শিশুদের চিকিৎসা নেই, অন্যদিকে কোটি টাকার অবকাঠামো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে সেটা হতে পারে না।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে দোষারোপের খেলা বন্ধ করতে হবে। এখন দরকার জরুরি সমন্বয় ও দ্রুত সিদ্ধান্ত। প্রাচীর ও ফটক নির্মাণের মতো ছোট বিষয় যেন পুরো হাসপাতাল চালুর পথে বাধা না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনকে বুঝতে হবে, হাসপাতাল মানে শুধু ভবন নয়, সেখানে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবাও থাকা চাই। অবিলম্বে খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতালটি চালু করে প্রয়োজনীয় জনবল, সরঞ্জাম ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে সেটা আমাদের আশা।