alt

মতামত » সম্পাদকীয়

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

: মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতালের ভবন এক বছর আগে তৈরি হয়ে হয়েছে। তবে এখনও সেখানে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়নি। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে প্রয়োজনীয় ও উন্নত চিকিৎসাসেবা থেকে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শিশুস্বাস্থ্যসেবা বাড়ানোর লক্ষ্যে খুলনায় ২০০ শয্যার আধুনিক শিশু হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ১১৪ কোটি টাকায় হাসপাতালের পাঁচ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণও শেষ হয়েছে ২০২৪ সালের জুনে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও গণপূর্ত বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে ভবনটি আজও হস্তান্তর হয়নি।

গণপূর্ত বিভাগ বলছে, তারা তিন দফা চিঠি পাঠালেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাড়া দেয়নি। অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হাসপাতাল এলাকার প্রাচীর ও ফটক নির্মাণ না হওয়ায় এলাকা অরক্ষিত থাকছে। তাই ভবন গ্রহণ করা যাচ্ছে না। এদিকে হাসপাতালটি এখন অব্যবহৃত পড়ে আছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খুলনা ও আশপাশের জেলার হাজারো শিশু উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শুধুমাত্র প্রশাসনিক অদক্ষতার কারণে। যদি এই হাসপাতাল চালু হতো, তাহলে শিশু চিকিৎসার চাপ কমতো খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে।

জনগণের করের টাকায় তৈরি এমন হাসপাতাল অকেজো হয়ে পড়ে থাকা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একদিকে দরিদ্র শিশুদের চিকিৎসা নেই, অন্যদিকে কোটি টাকার অবকাঠামো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে সেটা হতে পারে না।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে দোষারোপের খেলা বন্ধ করতে হবে। এখন দরকার জরুরি সমন্বয় ও দ্রুত সিদ্ধান্ত। প্রাচীর ও ফটক নির্মাণের মতো ছোট বিষয় যেন পুরো হাসপাতাল চালুর পথে বাধা না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনকে বুঝতে হবে, হাসপাতাল মানে শুধু ভবন নয়, সেখানে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবাও থাকা চাই। অবিলম্বে খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতালটি চালু করে প্রয়োজনীয় জনবল, সরঞ্জাম ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে সেটা আমাদের আশা।

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতালের ভবন এক বছর আগে তৈরি হয়ে হয়েছে। তবে এখনও সেখানে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়নি। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে প্রয়োজনীয় ও উন্নত চিকিৎসাসেবা থেকে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শিশুস্বাস্থ্যসেবা বাড়ানোর লক্ষ্যে খুলনায় ২০০ শয্যার আধুনিক শিশু হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ১১৪ কোটি টাকায় হাসপাতালের পাঁচ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণও শেষ হয়েছে ২০২৪ সালের জুনে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও গণপূর্ত বিভাগের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে ভবনটি আজও হস্তান্তর হয়নি।

গণপূর্ত বিভাগ বলছে, তারা তিন দফা চিঠি পাঠালেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাড়া দেয়নি। অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হাসপাতাল এলাকার প্রাচীর ও ফটক নির্মাণ না হওয়ায় এলাকা অরক্ষিত থাকছে। তাই ভবন গ্রহণ করা যাচ্ছে না। এদিকে হাসপাতালটি এখন অব্যবহৃত পড়ে আছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খুলনা ও আশপাশের জেলার হাজারো শিশু উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শুধুমাত্র প্রশাসনিক অদক্ষতার কারণে। যদি এই হাসপাতাল চালু হতো, তাহলে শিশু চিকিৎসার চাপ কমতো খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে।

জনগণের করের টাকায় তৈরি এমন হাসপাতাল অকেজো হয়ে পড়ে থাকা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একদিকে দরিদ্র শিশুদের চিকিৎসা নেই, অন্যদিকে কোটি টাকার অবকাঠামো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে সেটা হতে পারে না।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে দোষারোপের খেলা বন্ধ করতে হবে। এখন দরকার জরুরি সমন্বয় ও দ্রুত সিদ্ধান্ত। প্রাচীর ও ফটক নির্মাণের মতো ছোট বিষয় যেন পুরো হাসপাতাল চালুর পথে বাধা না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনকে বুঝতে হবে, হাসপাতাল মানে শুধু ভবন নয়, সেখানে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবাও থাকা চাই। অবিলম্বে খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতালটি চালু করে প্রয়োজনীয় জনবল, সরঞ্জাম ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে সেটা আমাদের আশা।

back to top