alt

মতামত » সম্পাদকীয়

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

: মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

পুরান ঢাকার চকবাজারের আগুন নেভাতে গিয়ে যে দুর্ভোগের মুখে পড়েছে ফায়ার সার্ভিস তা নতুন কিছু নয়। এটা পুরান ঢাকার দীর্ঘদিনের এক বাস্তবতা। সরু রাস্তা, ঘিঞ্জি পরিবেশ, অপরিকল্পিত ভবন-সব মিলিয়ে সেখানে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনা সবসময়ই দুঃসাধ্য কাঝ।

রহমতগঞ্জ ডালপট্টি এলাকায় পাশাপাশি দুটি ভবনে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি ঘটনাস্থলেই ঢুকতে পারেনি। দূর থেকে পাইপ টেনে আগুন নেভাতে হয়েছে। মহানগরীর কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে কোনো ফায়ার ইউনিট যদি আগুনের কাছে পৌঁছতেই না পারে, তাহলে আমাদের নগর পরিকল্পনার অবস্থাটা আসলে কী?

চকবাজারের ঘটনাটি যখন পুরান ঢাকার পরিচিত সমস্যাগুলোকেই সামনে আনে, তখন একই দিনের মোহাম্মদপুরের আবাসিক ভবনে আগুন লাগার ঘটনাও শহরের অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সেখানে বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। এটিকে সৌভাগ্যের বিষয় বলাই ভালো। কারণ ভবননিরাপত্তা ও অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে ঢাকায় সচেতনতা এবং সঠিক তদারকি দুটোই অপ্রতুল।

অগ্নিকাণ্ডের পর তদন্ত, সুপারিশ, প্রয়োজনীয় উদ্যোগের কথা শোনা যায়, কিন্তু বাস্তবে পরিবর্তন খুব কমই আসে। অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি কমাতে হলে পুরান ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বড় ধরনের নগর পুনর্বিন্যাস জরুরি। পাশাপাশি ভবন নির্মাণের অনুমোদন, ব্যবহারের ধরন, রাস্তার প্রস্থ, পানি সরবরাহ-সবকিছুই নতুন করে ভাবতে হবে।

ফায়ার সার্ভিসকে প্রায়ই অসাধ্য সাধন করতে হয়। আর এটা আমাদেরকে এই বার্তাই দেয় যে, কোনো দুর্ঘটনা মোকাবিলায় এই শহর প্রস্তুত নয়। আর এই অপ্রস্তুত অবস্থার দায় ব্যক্তির নয়, পুরো নগর পরিকল্পনা ও তদারকি ব্যবস্থার।

অগ্নিকাণ্ডকে কেবল দুর্ঘটনা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। এটা নগর পরিচালনার একধরনের ত্রুটি। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ত্রুটি কাটিয়ে উঠতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি কিছু করবে।

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

পুরান ঢাকার চকবাজারের আগুন নেভাতে গিয়ে যে দুর্ভোগের মুখে পড়েছে ফায়ার সার্ভিস তা নতুন কিছু নয়। এটা পুরান ঢাকার দীর্ঘদিনের এক বাস্তবতা। সরু রাস্তা, ঘিঞ্জি পরিবেশ, অপরিকল্পিত ভবন-সব মিলিয়ে সেখানে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনা সবসময়ই দুঃসাধ্য কাঝ।

রহমতগঞ্জ ডালপট্টি এলাকায় পাশাপাশি দুটি ভবনে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি ঘটনাস্থলেই ঢুকতে পারেনি। দূর থেকে পাইপ টেনে আগুন নেভাতে হয়েছে। মহানগরীর কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে কোনো ফায়ার ইউনিট যদি আগুনের কাছে পৌঁছতেই না পারে, তাহলে আমাদের নগর পরিকল্পনার অবস্থাটা আসলে কী?

চকবাজারের ঘটনাটি যখন পুরান ঢাকার পরিচিত সমস্যাগুলোকেই সামনে আনে, তখন একই দিনের মোহাম্মদপুরের আবাসিক ভবনে আগুন লাগার ঘটনাও শহরের অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সেখানে বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। এটিকে সৌভাগ্যের বিষয় বলাই ভালো। কারণ ভবননিরাপত্তা ও অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে ঢাকায় সচেতনতা এবং সঠিক তদারকি দুটোই অপ্রতুল।

অগ্নিকাণ্ডের পর তদন্ত, সুপারিশ, প্রয়োজনীয় উদ্যোগের কথা শোনা যায়, কিন্তু বাস্তবে পরিবর্তন খুব কমই আসে। অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি কমাতে হলে পুরান ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বড় ধরনের নগর পুনর্বিন্যাস জরুরি। পাশাপাশি ভবন নির্মাণের অনুমোদন, ব্যবহারের ধরন, রাস্তার প্রস্থ, পানি সরবরাহ-সবকিছুই নতুন করে ভাবতে হবে।

ফায়ার সার্ভিসকে প্রায়ই অসাধ্য সাধন করতে হয়। আর এটা আমাদেরকে এই বার্তাই দেয় যে, কোনো দুর্ঘটনা মোকাবিলায় এই শহর প্রস্তুত নয়। আর এই অপ্রস্তুত অবস্থার দায় ব্যক্তির নয়, পুরো নগর পরিকল্পনা ও তদারকি ব্যবস্থার।

অগ্নিকাণ্ডকে কেবল দুর্ঘটনা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। এটা নগর পরিচালনার একধরনের ত্রুটি। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ত্রুটি কাটিয়ে উঠতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি কিছু করবে।

back to top