alt

মতামত » সম্পাদকীয়

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

: মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৮ বছর পার হয়েছে। দীর্ঘ সশস্ত্র সংঘাতের পর ১৯৯৭ সালে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। আশা করা হয়েছিল, পাহাড়ে শান্তি ফিরবে। কিন্তু দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে বিতর্ক ও অসন্তোষ বাড়ছে। জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এমএন লারমা) অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার চুক্তির ধারা বাস্তবায়ন নিয়ে ‘মিথ্যাচার’ করছে।

সরকার বলছে, ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি বাস্তবায়িত হয়েছে। জেএসএস বলছে, মাত্র ২৪টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে। বিশেষ করে ভূমি কমিশনের কার্যক্রম, জেলা পরিষদের ক্ষমতা হস্তান্তর, আঞ্চলিক পরিষদের কার্যকর ভূমিকা-এসব মৌলিক বিষয় এখনও আটকে আছে। বাস্তবে যেসব জায়গায় অগ্রগতি হওয়ার কথা ছিল, সেখানেই জটিলতা তৈরি হয়েছে।

সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। রাঙামাটি জেলা পরিষদ ভবনে তালা ঝুলে থাকা, শিক্ষক নিয়োগে তীব্র দ্বন্দ্ব, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত হওয়া-এ ধরনের ঘটনা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তিন দশকেও জেলা পরিষদে নির্বাচন হয়নি। এতে স্থানীয় শাসনব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়াই স্বাভাবিক। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও পাহাড়ে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হলে তার প্রভাব দেশের ওপরও পড়ে।

পার্বত্য শান্তি চুক্তির পরবর্তী সময়ে পাহাড়ে অর্থনৈতিক ও অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন পাহাড়ের জীবনযাত্রাকে সহজ করেছে। পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতেও উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা বেড়েছে। আগে যেসব নাগরিক সেবা পাওয়া কঠিন ছিল, এখন সেগুলো সহজলভ্য হয়েছে। তবে উন্নয়ন তখনই টেকসই হয় যখন পারস্পরিক আস্থার ভিত্তি দৃঢ় হয়।

পার্বত্য চুক্তি নিয়ে কোনো মতপার্থক্য থাকতে পারে। তার সমাধান হওয়া জরুরি। আলোচনার টেবিলেই সমাধান খুঁজতে হবে। দীর্ঘদিনের অবিশ্বাস ও অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের সংস্কৃতি টিকিয়ে রেখে শান্তি টেকসই হবে না।

ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি, ক্ষমতা হস্তান্তর, নির্বাচনের মতো চুক্তির মৌলিক ধারা বাস্তবায়ন ছাড়া পাহাড়ের টেকসই শান্তি কেবল কাগজে-কলমেই থেকে যাবে। পাহাড়ি ও বাঙালি উভয় জনগোষ্ঠীর উদ্বেগকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। পার্বত্য চুক্তির সাফল্য নির্ভর করে সবার আস্থার ওপর।

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৮ বছর পার হয়েছে। দীর্ঘ সশস্ত্র সংঘাতের পর ১৯৯৭ সালে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। আশা করা হয়েছিল, পাহাড়ে শান্তি ফিরবে। কিন্তু দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে বিতর্ক ও অসন্তোষ বাড়ছে। জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এমএন লারমা) অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার চুক্তির ধারা বাস্তবায়ন নিয়ে ‘মিথ্যাচার’ করছে।

সরকার বলছে, ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি বাস্তবায়িত হয়েছে। জেএসএস বলছে, মাত্র ২৪টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে। বিশেষ করে ভূমি কমিশনের কার্যক্রম, জেলা পরিষদের ক্ষমতা হস্তান্তর, আঞ্চলিক পরিষদের কার্যকর ভূমিকা-এসব মৌলিক বিষয় এখনও আটকে আছে। বাস্তবে যেসব জায়গায় অগ্রগতি হওয়ার কথা ছিল, সেখানেই জটিলতা তৈরি হয়েছে।

সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। রাঙামাটি জেলা পরিষদ ভবনে তালা ঝুলে থাকা, শিক্ষক নিয়োগে তীব্র দ্বন্দ্ব, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত হওয়া-এ ধরনের ঘটনা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তিন দশকেও জেলা পরিষদে নির্বাচন হয়নি। এতে স্থানীয় শাসনব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়াই স্বাভাবিক। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরও পাহাড়ে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হলে তার প্রভাব দেশের ওপরও পড়ে।

পার্বত্য শান্তি চুক্তির পরবর্তী সময়ে পাহাড়ে অর্থনৈতিক ও অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন পাহাড়ের জীবনযাত্রাকে সহজ করেছে। পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতেও উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা বেড়েছে। আগে যেসব নাগরিক সেবা পাওয়া কঠিন ছিল, এখন সেগুলো সহজলভ্য হয়েছে। তবে উন্নয়ন তখনই টেকসই হয় যখন পারস্পরিক আস্থার ভিত্তি দৃঢ় হয়।

পার্বত্য চুক্তি নিয়ে কোনো মতপার্থক্য থাকতে পারে। তার সমাধান হওয়া জরুরি। আলোচনার টেবিলেই সমাধান খুঁজতে হবে। দীর্ঘদিনের অবিশ্বাস ও অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের সংস্কৃতি টিকিয়ে রেখে শান্তি টেকসই হবে না।

ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি, ক্ষমতা হস্তান্তর, নির্বাচনের মতো চুক্তির মৌলিক ধারা বাস্তবায়ন ছাড়া পাহাড়ের টেকসই শান্তি কেবল কাগজে-কলমেই থেকে যাবে। পাহাড়ি ও বাঙালি উভয় জনগোষ্ঠীর উদ্বেগকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। পার্বত্য চুক্তির সাফল্য নির্ভর করে সবার আস্থার ওপর।

back to top