alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

: বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রায় ৫০ কোটি টাকার জমি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে বেদখলে হয়ে আছে। সওজ নারায়ণগঞ্জ বিভাগ এই বেদখলের কথা জানে। কিন্তু জমি উদ্ধারে দৃশ্যত কোন উদ্যোগ দেখা যায় না। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তা দখলদারদের সহযোগিতা করে আসছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট মৌজার দখলকৃত দুই একরের বেশি জমি এখন বাস ডিপো হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পরিবহন কোম্পানিগুলো মাসে মোটা টাকা দিয়ে বাস রাখছে, যানবাহন ধোয়ার জন্যও টাকা দিতে হচ্ছে। মহাসড়কের পাশে দোকান বসিয়ে সেখান থেকেও ভাড়া তোলা হচ্ছে। অথচ এসব অনিয়ম দিনের আলোয় চোখের সামনে ঘটলেও সওজ কর্তৃপক্ষ তা থামাতে পারেনি। কোনো অভিযান চালানো হয়ছে বলে জানা যায় না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের এই নীরবতার কারণ কী সেটা একটা প্রশ্ন।

জমির উত্তর পাশটিও অন্য একটি গোষ্ঠী দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এত বড় এলাকা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বেদখ হয়ে আছে কীভাবে সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।

উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বলছেন, উক্ত জমি লিজ দেওয়া হয়নি। প্রয়োজনে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর কথাও বলেছেন তিনি। প্রশ্ন হচ্ছে, এতদিন অভিযান হলো না কেন? একটি চক্র যদি রাষ্ট্রের সম্পদ ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর তা থামাতে ব্যর্থ হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

রাষ্ট্রের সম্পদ বছরের পর বছর বেদখলে থাকবে, সেখান থেকে একটি চক্র ফায়দা লুটবে আর রাষ্ট্র রাজস্ব হারাবে সেটা হতে পারে না। এখনই এর বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। দখলকারীদের উচ্ছেদ করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষায় দেরি করার আর কোনো সুযোগ নেই। এখনই এই দখলের সংস্কৃতি ভাঙতে হবে। দেশের অনেক স্থানেই এমন অনেক দখলের ঘটনা ঘটে। সেসব দখলের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রায় ৫০ কোটি টাকার জমি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে বেদখলে হয়ে আছে। সওজ নারায়ণগঞ্জ বিভাগ এই বেদখলের কথা জানে। কিন্তু জমি উদ্ধারে দৃশ্যত কোন উদ্যোগ দেখা যায় না। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তা দখলদারদের সহযোগিতা করে আসছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট মৌজার দখলকৃত দুই একরের বেশি জমি এখন বাস ডিপো হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পরিবহন কোম্পানিগুলো মাসে মোটা টাকা দিয়ে বাস রাখছে, যানবাহন ধোয়ার জন্যও টাকা দিতে হচ্ছে। মহাসড়কের পাশে দোকান বসিয়ে সেখান থেকেও ভাড়া তোলা হচ্ছে। অথচ এসব অনিয়ম দিনের আলোয় চোখের সামনে ঘটলেও সওজ কর্তৃপক্ষ তা থামাতে পারেনি। কোনো অভিযান চালানো হয়ছে বলে জানা যায় না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের এই নীরবতার কারণ কী সেটা একটা প্রশ্ন।

জমির উত্তর পাশটিও অন্য একটি গোষ্ঠী দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এত বড় এলাকা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বেদখ হয়ে আছে কীভাবে সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।

উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বলছেন, উক্ত জমি লিজ দেওয়া হয়নি। প্রয়োজনে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর কথাও বলেছেন তিনি। প্রশ্ন হচ্ছে, এতদিন অভিযান হলো না কেন? একটি চক্র যদি রাষ্ট্রের সম্পদ ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর তা থামাতে ব্যর্থ হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

রাষ্ট্রের সম্পদ বছরের পর বছর বেদখলে থাকবে, সেখান থেকে একটি চক্র ফায়দা লুটবে আর রাষ্ট্র রাজস্ব হারাবে সেটা হতে পারে না। এখনই এর বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। দখলকারীদের উচ্ছেদ করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষায় দেরি করার আর কোনো সুযোগ নেই। এখনই এই দখলের সংস্কৃতি ভাঙতে হবে। দেশের অনেক স্থানেই এমন অনেক দখলের ঘটনা ঘটে। সেসব দখলের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top