ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রায় ৫০ কোটি টাকার জমি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে বেদখলে হয়ে আছে। সওজ নারায়ণগঞ্জ বিভাগ এই বেদখলের কথা জানে। কিন্তু জমি উদ্ধারে দৃশ্যত কোন উদ্যোগ দেখা যায় না। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তা দখলদারদের সহযোগিতা করে আসছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট মৌজার দখলকৃত দুই একরের বেশি জমি এখন বাস ডিপো হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পরিবহন কোম্পানিগুলো মাসে মোটা টাকা দিয়ে বাস রাখছে, যানবাহন ধোয়ার জন্যও টাকা দিতে হচ্ছে। মহাসড়কের পাশে দোকান বসিয়ে সেখান থেকেও ভাড়া তোলা হচ্ছে। অথচ এসব অনিয়ম দিনের আলোয় চোখের সামনে ঘটলেও সওজ কর্তৃপক্ষ তা থামাতে পারেনি। কোনো অভিযান চালানো হয়ছে বলে জানা যায় না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের এই নীরবতার কারণ কী সেটা একটা প্রশ্ন।
জমির উত্তর পাশটিও অন্য একটি গোষ্ঠী দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এত বড় এলাকা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বেদখ হয়ে আছে কীভাবে সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বলছেন, উক্ত জমি লিজ দেওয়া হয়নি। প্রয়োজনে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর কথাও বলেছেন তিনি। প্রশ্ন হচ্ছে, এতদিন অভিযান হলো না কেন? একটি চক্র যদি রাষ্ট্রের সম্পদ ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর তা থামাতে ব্যর্থ হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
রাষ্ট্রের সম্পদ বছরের পর বছর বেদখলে থাকবে, সেখান থেকে একটি চক্র ফায়দা লুটবে আর রাষ্ট্র রাজস্ব হারাবে সেটা হতে পারে না। এখনই এর বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। দখলকারীদের উচ্ছেদ করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষায় দেরি করার আর কোনো সুযোগ নেই। এখনই এই দখলের সংস্কৃতি ভাঙতে হবে। দেশের অনেক স্থানেই এমন অনেক দখলের ঘটনা ঘটে। সেসব দখলের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রায় ৫০ কোটি টাকার জমি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে বেদখলে হয়ে আছে। সওজ নারায়ণগঞ্জ বিভাগ এই বেদখলের কথা জানে। কিন্তু জমি উদ্ধারে দৃশ্যত কোন উদ্যোগ দেখা যায় না। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু কর্মকর্তা দখলদারদের সহযোগিতা করে আসছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট মৌজার দখলকৃত দুই একরের বেশি জমি এখন বাস ডিপো হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পরিবহন কোম্পানিগুলো মাসে মোটা টাকা দিয়ে বাস রাখছে, যানবাহন ধোয়ার জন্যও টাকা দিতে হচ্ছে। মহাসড়কের পাশে দোকান বসিয়ে সেখান থেকেও ভাড়া তোলা হচ্ছে। অথচ এসব অনিয়ম দিনের আলোয় চোখের সামনে ঘটলেও সওজ কর্তৃপক্ষ তা থামাতে পারেনি। কোনো অভিযান চালানো হয়ছে বলে জানা যায় না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের এই নীরবতার কারণ কী সেটা একটা প্রশ্ন।
জমির উত্তর পাশটিও অন্য একটি গোষ্ঠী দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এত বড় এলাকা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বেদখ হয়ে আছে কীভাবে সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বলছেন, উক্ত জমি লিজ দেওয়া হয়নি। প্রয়োজনে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর কথাও বলেছেন তিনি। প্রশ্ন হচ্ছে, এতদিন অভিযান হলো না কেন? একটি চক্র যদি রাষ্ট্রের সম্পদ ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর তা থামাতে ব্যর্থ হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
রাষ্ট্রের সম্পদ বছরের পর বছর বেদখলে থাকবে, সেখান থেকে একটি চক্র ফায়দা লুটবে আর রাষ্ট্র রাজস্ব হারাবে সেটা হতে পারে না। এখনই এর বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। দখলকারীদের উচ্ছেদ করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষায় দেরি করার আর কোনো সুযোগ নেই। এখনই এই দখলের সংস্কৃতি ভাঙতে হবে। দেশের অনেক স্থানেই এমন অনেক দখলের ঘটনা ঘটে। সেসব দখলের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।