বার্ষিক পরীক্ষার সময়ে সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অচল হয়ে পড়েছে। সরকার কঠোর অবস্থান নিয়ে শিক্ষকদের চাকরিবিধি স্মরণ করিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দাবি আদায়ে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি দিয়েছেন।
বিদ্যালয়ে তালা ঝোলানো, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের কান্না, অভিভাবকদের অসহায়ত্ব আজ দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অস্বস্তিকর প্রতিচ্ছবি। সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে সহকারী শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে অবস্থান করছেন। মাধ্যমিকের শিক্ষকরা ‘শিক্ষার্থীদের স্বার্থে’ কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করলেও সংকট যে পুরোপুরি কেটেছে তা নয়।
প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষকদের দাবি ও সরকারের প্রশাসনিক অবস্থানের সংঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কারা? দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী এবং পৌনে ৭০০ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষার সময় দিশাহারা হয়ে পড়েছে।
করোনার দীর্ঘ বন্ধের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও পরীক্ষার অনিশ্চয়তা তাদের শেখার ধারাবাহিকতায় নতুন ক্ষত তৈরি করছে। অভিভাবকদেরকে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে।
শিক্ষকের দাবি থাকতেই পারে। তারা দাবি আদায়ে আন্দোলনও করতে পারেন। তবে আন্দোলনের প্রক্রিয়া বা সময় নির্বাচন যথাযথ কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সরকার কেন হঠাৎ কঠোর অবস্থান নিল সেটাও একটা প্রশ্ন। সরকার বলছে, চাকরিবিধি লঙ্ঘন হলে ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু শিক্ষকেরা বলছেন, ২২ দিন অপেক্ষা করেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি তারা দেখেননি, তাই বাধ্য হয়েই শাটডাউনে গেছেন। অনেকে আশঙ্কা করছেন, সরকারের কঠোরতা ও শিক্ষকদের অনমনীয়তার কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। কারও কঠোর অবস্থানের কারণে সংকট আরও বাড়লে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বাড়বে। শিক্ষায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে সেটা সব পক্ষকেই বিবেচনা করতে হবে। কোনো কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক সেটা আমরা চাই না।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
বার্ষিক পরীক্ষার সময়ে সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অচল হয়ে পড়েছে। সরকার কঠোর অবস্থান নিয়ে শিক্ষকদের চাকরিবিধি স্মরণ করিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দাবি আদায়ে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি দিয়েছেন।
বিদ্যালয়ে তালা ঝোলানো, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের কান্না, অভিভাবকদের অসহায়ত্ব আজ দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অস্বস্তিকর প্রতিচ্ছবি। সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে সহকারী শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে অবস্থান করছেন। মাধ্যমিকের শিক্ষকরা ‘শিক্ষার্থীদের স্বার্থে’ কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করলেও সংকট যে পুরোপুরি কেটেছে তা নয়।
প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষকদের দাবি ও সরকারের প্রশাসনিক অবস্থানের সংঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কারা? দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী এবং পৌনে ৭০০ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষার সময় দিশাহারা হয়ে পড়েছে।
করোনার দীর্ঘ বন্ধের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও পরীক্ষার অনিশ্চয়তা তাদের শেখার ধারাবাহিকতায় নতুন ক্ষত তৈরি করছে। অভিভাবকদেরকে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে।
শিক্ষকের দাবি থাকতেই পারে। তারা দাবি আদায়ে আন্দোলনও করতে পারেন। তবে আন্দোলনের প্রক্রিয়া বা সময় নির্বাচন যথাযথ কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সরকার কেন হঠাৎ কঠোর অবস্থান নিল সেটাও একটা প্রশ্ন। সরকার বলছে, চাকরিবিধি লঙ্ঘন হলে ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু শিক্ষকেরা বলছেন, ২২ দিন অপেক্ষা করেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি তারা দেখেননি, তাই বাধ্য হয়েই শাটডাউনে গেছেন। অনেকে আশঙ্কা করছেন, সরকারের কঠোরতা ও শিক্ষকদের অনমনীয়তার কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। কারও কঠোর অবস্থানের কারণে সংকট আরও বাড়লে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বাড়বে। শিক্ষায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে সেটা সব পক্ষকেই বিবেচনা করতে হবে। কোনো কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক সেটা আমরা চাই না।