alt

মতামত » সম্পাদকীয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

: বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বার্ষিক পরীক্ষার সময়ে সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অচল হয়ে পড়েছে। সরকার কঠোর অবস্থান নিয়ে শিক্ষকদের চাকরিবিধি স্মরণ করিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দাবি আদায়ে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি দিয়েছেন।

বিদ্যালয়ে তালা ঝোলানো, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের কান্না, অভিভাবকদের অসহায়ত্ব আজ দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অস্বস্তিকর প্রতিচ্ছবি। সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে সহকারী শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে অবস্থান করছেন। মাধ্যমিকের শিক্ষকরা ‘শিক্ষার্থীদের স্বার্থে’ কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করলেও সংকট যে পুরোপুরি কেটেছে তা নয়।

প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষকদের দাবি ও সরকারের প্রশাসনিক অবস্থানের সংঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কারা? দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী এবং পৌনে ৭০০ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষার সময় দিশাহারা হয়ে পড়েছে।

করোনার দীর্ঘ বন্ধের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও পরীক্ষার অনিশ্চয়তা তাদের শেখার ধারাবাহিকতায় নতুন ক্ষত তৈরি করছে। অভিভাবকদেরকে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে।

শিক্ষকের দাবি থাকতেই পারে। তারা দাবি আদায়ে আন্দোলনও করতে পারেন। তবে আন্দোলনের প্রক্রিয়া বা সময় নির্বাচন যথাযথ কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সরকার কেন হঠাৎ কঠোর অবস্থান নিল সেটাও একটা প্রশ্ন। সরকার বলছে, চাকরিবিধি লঙ্ঘন হলে ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু শিক্ষকেরা বলছেন, ২২ দিন অপেক্ষা করেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি তারা দেখেননি, তাই বাধ্য হয়েই শাটডাউনে গেছেন। অনেকে আশঙ্কা করছেন, সরকারের কঠোরতা ও শিক্ষকদের অনমনীয়তার কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। কারও কঠোর অবস্থানের কারণে সংকট আরও বাড়লে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বাড়বে। শিক্ষায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে সেটা সব পক্ষকেই বিবেচনা করতে হবে। কোনো কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক সেটা আমরা চাই না।

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

ছবি

সম্পাদক পরিষদের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বার্ষিক পরীক্ষার সময়ে সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অচল হয়ে পড়েছে। সরকার কঠোর অবস্থান নিয়ে শিক্ষকদের চাকরিবিধি স্মরণ করিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দাবি আদায়ে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি দিয়েছেন।

বিদ্যালয়ে তালা ঝোলানো, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের কান্না, অভিভাবকদের অসহায়ত্ব আজ দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অস্বস্তিকর প্রতিচ্ছবি। সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে সহকারী শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে অবস্থান করছেন। মাধ্যমিকের শিক্ষকরা ‘শিক্ষার্থীদের স্বার্থে’ কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করলেও সংকট যে পুরোপুরি কেটেছে তা নয়।

প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষকদের দাবি ও সরকারের প্রশাসনিক অবস্থানের সংঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কারা? দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী এবং পৌনে ৭০০ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষার সময় দিশাহারা হয়ে পড়েছে।

করোনার দীর্ঘ বন্ধের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও পরীক্ষার অনিশ্চয়তা তাদের শেখার ধারাবাহিকতায় নতুন ক্ষত তৈরি করছে। অভিভাবকদেরকে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে।

শিক্ষকের দাবি থাকতেই পারে। তারা দাবি আদায়ে আন্দোলনও করতে পারেন। তবে আন্দোলনের প্রক্রিয়া বা সময় নির্বাচন যথাযথ কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সরকার কেন হঠাৎ কঠোর অবস্থান নিল সেটাও একটা প্রশ্ন। সরকার বলছে, চাকরিবিধি লঙ্ঘন হলে ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু শিক্ষকেরা বলছেন, ২২ দিন অপেক্ষা করেও কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি তারা দেখেননি, তাই বাধ্য হয়েই শাটডাউনে গেছেন। অনেকে আশঙ্কা করছেন, সরকারের কঠোরতা ও শিক্ষকদের অনমনীয়তার কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। কারও কঠোর অবস্থানের কারণে সংকট আরও বাড়লে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বাড়বে। শিক্ষায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে সেটা সব পক্ষকেই বিবেচনা করতে হবে। কোনো কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক সেটা আমরা চাই না।

back to top