করতোয়া নদীর ওপর জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণ শুরুর প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও সেতুর মূল কাঠামো ও সংযোগ সড়কের অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয়। নির্ধারিত সময়ে সেুতর কাজ শেষ হবে কিনা সেটা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। সেতুটি নির্মাণ হলে রংপুরের পীরগঞ্জ ও দিনাজপুরের তিন উপজেলার মানুষ উপকৃত হবে।
সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে প্রকল্প অনুমোদন হলেও নানান জটিলতায় ২০১৯ সালে কাজ শুরু হয়। তারপর ঠিকাদারের মৃত্যুতে ২০২৩ সালে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। নতুন দরপত্র আহ্বান করে ২০২৪ সালে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যেই কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু বাস্তবে সেতুর মাত্র ৬০-৭০ শতাংশ কাজ হয়েছে। সংযোগ সড়কের কাজ একেবারেই শুরু হয়নি। বাকি সময়ে সেতুর কাজ হবে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজে সঠিক তদারকি নেই, নির্মাণে গতি নেই। শুষ্ক মৌসুমে কাজ শেষ না হলে মানুষকে আরও অনেক দিন যাতায়াতের কষ্ট করতে হবে। সেতুটি যথাসময়ে নির্মাণ হলে পুরো অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থাকে বদলে দিতে পারে। রংপুরে পৌঁছাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের সময় কম লাগবে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাড়াবে। চিকিৎসা ও শিক্ষায় মানুষের প্রবেশাধিকারে সহায়তা করবে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অবহেলার সুযোগ নেই।
আমরা বলতে চাই, সেতু নির্মাণের কাজ ত্বরান্বিত করতে হবে। প্রকল্প তদারকিতে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। আর কোনো অজুহাতে যেন সেতুর কাজ বিঘ্নিত না হয় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫
করতোয়া নদীর ওপর জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণ শুরুর প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও সেতুর মূল কাঠামো ও সংযোগ সড়কের অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক নয়। নির্ধারিত সময়ে সেুতর কাজ শেষ হবে কিনা সেটা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। সেতুটি নির্মাণ হলে রংপুরের পীরগঞ্জ ও দিনাজপুরের তিন উপজেলার মানুষ উপকৃত হবে।
সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে প্রকল্প অনুমোদন হলেও নানান জটিলতায় ২০১৯ সালে কাজ শুরু হয়। তারপর ঠিকাদারের মৃত্যুতে ২০২৩ সালে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। নতুন দরপত্র আহ্বান করে ২০২৪ সালে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যেই কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু বাস্তবে সেতুর মাত্র ৬০-৭০ শতাংশ কাজ হয়েছে। সংযোগ সড়কের কাজ একেবারেই শুরু হয়নি। বাকি সময়ে সেতুর কাজ হবে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজে সঠিক তদারকি নেই, নির্মাণে গতি নেই। শুষ্ক মৌসুমে কাজ শেষ না হলে মানুষকে আরও অনেক দিন যাতায়াতের কষ্ট করতে হবে। সেতুটি যথাসময়ে নির্মাণ হলে পুরো অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থাকে বদলে দিতে পারে। রংপুরে পৌঁছাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের সময় কম লাগবে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাড়াবে। চিকিৎসা ও শিক্ষায় মানুষের প্রবেশাধিকারে সহায়তা করবে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অবহেলার সুযোগ নেই।
আমরা বলতে চাই, সেতু নির্মাণের কাজ ত্বরান্বিত করতে হবে। প্রকল্প তদারকিতে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। আর কোনো অজুহাতে যেন সেতুর কাজ বিঘ্নিত না হয় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।