মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। এই কর্মবিরতির কারণে সেবাপ্রার্থী মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে।
কালীগঞ্জের মতো অনেক উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যসেবা কার্যত অচল হয়ে পড়ে। ওষুধ বিতরণ বন্ধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা স্থগিত, ফার্মেসি ও ল্যাবের সামনে দীর্ঘ লাইনের কারণে সেবাপ্রত্যাশী প্রান্তিক মানুষরা বিপাকে পড়েন। যারা হাসপাতালের বিনামূল্যে ওষুধ বা স্বল্প খরচের পরীক্ষার ওপর নির্ভর করে, তাদের অবস্থাই সবচেয়ে শোচনীয়। অনেকে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও প্রয়োজনীয় সেবা পাননি। জনগণের এমন দুর্ভোগ কাম্য নয়।
স্বাস্থ্য খাতে মানবসম্পদ ঘাটতি, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ও বাড়তি রোগীর চাপের মতো নানান সংকট রয়েছে। এর মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কর্মবিরতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। জরুরি সেবা চালু থাকলেও বহির্বিভাগের কার্যক্রম যখন থমকে যায়, তখন সামগ্রিক স্বাস্থ্যব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।
স্বাস্থ্যসেবা এমন একটি খাত, যেখানে একটি ছোট বিঘ্নও মানুষের জীবনে বড় সংকট তৈরি করতে পারে। তাই আন্দোলনকারীদের দাবির ন্যায্যতা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, জনগণের নিরবচ্ছিন্ন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করাটাও ঠিক ততটাই জরুরি।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, একই শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন অন্য পেশাজীবীরা দশম গ্রেডের সুবিধা পাচ্ছেন। টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা বারবার প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে সেই সুবিধা পাচ্ছেন না।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে সবচেয়ে জরুরি হলো আলোচনা। আন্দোলনকারীদের দাবি যদি যৌক্তিক হয়ে থাকে তাহলে সেটি সমাধানে দীর্ঘসূত্রতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আর যদি কোনো নীতিগত সীমাবদ্ধতা থাকে, সেটিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। পারস্পরিক আস্থার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। এই কর্মবিরতির কারণে সেবাপ্রার্থী মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে।
কালীগঞ্জের মতো অনেক উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যসেবা কার্যত অচল হয়ে পড়ে। ওষুধ বিতরণ বন্ধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা স্থগিত, ফার্মেসি ও ল্যাবের সামনে দীর্ঘ লাইনের কারণে সেবাপ্রত্যাশী প্রান্তিক মানুষরা বিপাকে পড়েন। যারা হাসপাতালের বিনামূল্যে ওষুধ বা স্বল্প খরচের পরীক্ষার ওপর নির্ভর করে, তাদের অবস্থাই সবচেয়ে শোচনীয়। অনেকে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও প্রয়োজনীয় সেবা পাননি। জনগণের এমন দুর্ভোগ কাম্য নয়।
স্বাস্থ্য খাতে মানবসম্পদ ঘাটতি, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ও বাড়তি রোগীর চাপের মতো নানান সংকট রয়েছে। এর মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কর্মবিরতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। জরুরি সেবা চালু থাকলেও বহির্বিভাগের কার্যক্রম যখন থমকে যায়, তখন সামগ্রিক স্বাস্থ্যব্যবস্থায় স্থবিরতা নেমে আসে।
স্বাস্থ্যসেবা এমন একটি খাত, যেখানে একটি ছোট বিঘ্নও মানুষের জীবনে বড় সংকট তৈরি করতে পারে। তাই আন্দোলনকারীদের দাবির ন্যায্যতা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, জনগণের নিরবচ্ছিন্ন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করাটাও ঠিক ততটাই জরুরি।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, একই শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন অন্য পেশাজীবীরা দশম গ্রেডের সুবিধা পাচ্ছেন। টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা বারবার প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে সেই সুবিধা পাচ্ছেন না।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে সবচেয়ে জরুরি হলো আলোচনা। আন্দোলনকারীদের দাবি যদি যৌক্তিক হয়ে থাকে তাহলে সেটি সমাধানে দীর্ঘসূত্রতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আর যদি কোনো নীতিগত সীমাবদ্ধতা থাকে, সেটিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। পারস্পরিক আস্থার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে।