alt

মতামত » সম্পাদকীয়

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

: শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

রেলপথে পণ্য পরিবহন শুধু সাশ্রয়ী নয়, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্যও। জ্বালানি, কনটেইনার, খাদ্যশস্য, অবকাঠামো নির্মাণের কাঁচামালের মতো অনেক পণ্যই রেলের মাধ্যমেই বৃহৎ পরিসরে পরিবহন হয়। তবে ইঞ্জিনসংকট, যাত্রীবাহী ট্রেনকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রভৃতি কারণে রেলপথে পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হচ্ছে। পণ্য পরিবহনে রেলের সেবা সংকুচিত হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে ঝুঁকছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা যায়, ৯০ শতাংশ যাত্রীবাহী ট্রেন লোকসানে চললেও পণ্যবাহী ট্রেনই রেলের প্রধান আয়ের উৎস। অথচ এই খাতেই সবচেয়ে কম গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সার, খাদ্যশস্য, পাথর বা জ্বালানির মতো কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য পরিবহনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রেলওয়ে ইঞ্জিনস্বল্পতার অজুহাতে সেবা দিতে পারছে না। ফলে সিলেট থেকে উত্তরবঙ্গের জন্য ২০ হাজার টন সার বা বিপিসির জ্বালানি তেল সবই সড়কপথে বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে, নিরাপত্তা ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়ছে। এবং শেষপর্যন্ত এসব পণ্যের মূল্যও বাড়ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি যেমন বাড়ছে, তেমনি কমছে রেলের রাজস্বও।

রেলওয়ের পণ্যবাহী সার্ভিসের পতন এক ভয়াবহ সংকটের ইঙ্গিত দেয়। মাত্র দুই অর্থবছরে পণ্যবাহী ট্রেনের সংখ্যা হাজারের বেশি কমে গেছে। চলতি বছর সেটা আরও নিম্নমুখী। খাদ্য ও সারবাহী ট্রেন বহু মাস ধরেই চালানো যায়নি। প্রতি মাসের শতাধিক জ্বালানিবাহী ট্রেন কমে নেমে এসেছে কয়েক ডজনের মধ্যে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে পণ্য পরিবহনে রেলওয়ের ভূমিকা অদূর ভবিষ্যতে আরও কমবে।

রেলপথে পণ্যপরিবহনে গতি আনতে প্রয়োজন বাস্তবসম্মত নীতি এবং জরুরি ভিত্তিতে ইঞ্জিন সংগ্রহ ও আধুনিকায়ন। পণ্য পরিবহনকে কেন্দ্র করে রেলের একটি আলাদা অপারেশনাল কৌশল ও সংরক্ষিত ইঞ্জিন বহর রাখা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা যেতে পারে। রেলের সক্ষমতা বাড়ানো না গেলে চট্টগ্রাম বন্দরের চাপ বাড়বে। সড়কপথে ঝুঁকি ও ব্যয় আরও বাড়বে। সার্বিকভাবে দেশের লজিস্টিক ব্যয় বাড়তে থাকবে, যা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অবস্থানকে দুর্বল করবে।

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

রেলপথে পণ্য পরিবহন শুধু সাশ্রয়ী নয়, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্যও। জ্বালানি, কনটেইনার, খাদ্যশস্য, অবকাঠামো নির্মাণের কাঁচামালের মতো অনেক পণ্যই রেলের মাধ্যমেই বৃহৎ পরিসরে পরিবহন হয়। তবে ইঞ্জিনসংকট, যাত্রীবাহী ট্রেনকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রভৃতি কারণে রেলপথে পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হচ্ছে। পণ্য পরিবহনে রেলের সেবা সংকুচিত হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে ঝুঁকছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা যায়, ৯০ শতাংশ যাত্রীবাহী ট্রেন লোকসানে চললেও পণ্যবাহী ট্রেনই রেলের প্রধান আয়ের উৎস। অথচ এই খাতেই সবচেয়ে কম গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সার, খাদ্যশস্য, পাথর বা জ্বালানির মতো কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য পরিবহনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রেলওয়ে ইঞ্জিনস্বল্পতার অজুহাতে সেবা দিতে পারছে না। ফলে সিলেট থেকে উত্তরবঙ্গের জন্য ২০ হাজার টন সার বা বিপিসির জ্বালানি তেল সবই সড়কপথে বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে, নিরাপত্তা ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়ছে। এবং শেষপর্যন্ত এসব পণ্যের মূল্যও বাড়ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি যেমন বাড়ছে, তেমনি কমছে রেলের রাজস্বও।

রেলওয়ের পণ্যবাহী সার্ভিসের পতন এক ভয়াবহ সংকটের ইঙ্গিত দেয়। মাত্র দুই অর্থবছরে পণ্যবাহী ট্রেনের সংখ্যা হাজারের বেশি কমে গেছে। চলতি বছর সেটা আরও নিম্নমুখী। খাদ্য ও সারবাহী ট্রেন বহু মাস ধরেই চালানো যায়নি। প্রতি মাসের শতাধিক জ্বালানিবাহী ট্রেন কমে নেমে এসেছে কয়েক ডজনের মধ্যে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে পণ্য পরিবহনে রেলওয়ের ভূমিকা অদূর ভবিষ্যতে আরও কমবে।

রেলপথে পণ্যপরিবহনে গতি আনতে প্রয়োজন বাস্তবসম্মত নীতি এবং জরুরি ভিত্তিতে ইঞ্জিন সংগ্রহ ও আধুনিকায়ন। পণ্য পরিবহনকে কেন্দ্র করে রেলের একটি আলাদা অপারেশনাল কৌশল ও সংরক্ষিত ইঞ্জিন বহর রাখা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা যেতে পারে। রেলের সক্ষমতা বাড়ানো না গেলে চট্টগ্রাম বন্দরের চাপ বাড়বে। সড়কপথে ঝুঁকি ও ব্যয় আরও বাড়বে। সার্বিকভাবে দেশের লজিস্টিক ব্যয় বাড়তে থাকবে, যা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অবস্থানকে দুর্বল করবে।

back to top