রেলপথে পণ্য পরিবহন শুধু সাশ্রয়ী নয়, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্যও। জ্বালানি, কনটেইনার, খাদ্যশস্য, অবকাঠামো নির্মাণের কাঁচামালের মতো অনেক পণ্যই রেলের মাধ্যমেই বৃহৎ পরিসরে পরিবহন হয়। তবে ইঞ্জিনসংকট, যাত্রীবাহী ট্রেনকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রভৃতি কারণে রেলপথে পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হচ্ছে। পণ্য পরিবহনে রেলের সেবা সংকুচিত হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে ঝুঁকছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা যায়, ৯০ শতাংশ যাত্রীবাহী ট্রেন লোকসানে চললেও পণ্যবাহী ট্রেনই রেলের প্রধান আয়ের উৎস। অথচ এই খাতেই সবচেয়ে কম গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সার, খাদ্যশস্য, পাথর বা জ্বালানির মতো কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য পরিবহনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রেলওয়ে ইঞ্জিনস্বল্পতার অজুহাতে সেবা দিতে পারছে না। ফলে সিলেট থেকে উত্তরবঙ্গের জন্য ২০ হাজার টন সার বা বিপিসির জ্বালানি তেল সবই সড়কপথে বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে, নিরাপত্তা ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়ছে। এবং শেষপর্যন্ত এসব পণ্যের মূল্যও বাড়ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি যেমন বাড়ছে, তেমনি কমছে রেলের রাজস্বও।
রেলওয়ের পণ্যবাহী সার্ভিসের পতন এক ভয়াবহ সংকটের ইঙ্গিত দেয়। মাত্র দুই অর্থবছরে পণ্যবাহী ট্রেনের সংখ্যা হাজারের বেশি কমে গেছে। চলতি বছর সেটা আরও নিম্নমুখী। খাদ্য ও সারবাহী ট্রেন বহু মাস ধরেই চালানো যায়নি। প্রতি মাসের শতাধিক জ্বালানিবাহী ট্রেন কমে নেমে এসেছে কয়েক ডজনের মধ্যে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে পণ্য পরিবহনে রেলওয়ের ভূমিকা অদূর ভবিষ্যতে আরও কমবে।
রেলপথে পণ্যপরিবহনে গতি আনতে প্রয়োজন বাস্তবসম্মত নীতি এবং জরুরি ভিত্তিতে ইঞ্জিন সংগ্রহ ও আধুনিকায়ন। পণ্য পরিবহনকে কেন্দ্র করে রেলের একটি আলাদা অপারেশনাল কৌশল ও সংরক্ষিত ইঞ্জিন বহর রাখা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা যেতে পারে। রেলের সক্ষমতা বাড়ানো না গেলে চট্টগ্রাম বন্দরের চাপ বাড়বে। সড়কপথে ঝুঁকি ও ব্যয় আরও বাড়বে। সার্বিকভাবে দেশের লজিস্টিক ব্যয় বাড়তে থাকবে, যা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অবস্থানকে দুর্বল করবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
রেলপথে পণ্য পরিবহন শুধু সাশ্রয়ী নয়, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্যও। জ্বালানি, কনটেইনার, খাদ্যশস্য, অবকাঠামো নির্মাণের কাঁচামালের মতো অনেক পণ্যই রেলের মাধ্যমেই বৃহৎ পরিসরে পরিবহন হয়। তবে ইঞ্জিনসংকট, যাত্রীবাহী ট্রেনকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রভৃতি কারণে রেলপথে পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হচ্ছে। পণ্য পরিবহনে রেলের সেবা সংকুচিত হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে ঝুঁকছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা যায়, ৯০ শতাংশ যাত্রীবাহী ট্রেন লোকসানে চললেও পণ্যবাহী ট্রেনই রেলের প্রধান আয়ের উৎস। অথচ এই খাতেই সবচেয়ে কম গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। সার, খাদ্যশস্য, পাথর বা জ্বালানির মতো কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য পরিবহনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রেলওয়ে ইঞ্জিনস্বল্পতার অজুহাতে সেবা দিতে পারছে না। ফলে সিলেট থেকে উত্তরবঙ্গের জন্য ২০ হাজার টন সার বা বিপিসির জ্বালানি তেল সবই সড়কপথে বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে, নিরাপত্তা ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়ছে। এবং শেষপর্যন্ত এসব পণ্যের মূল্যও বাড়ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি যেমন বাড়ছে, তেমনি কমছে রেলের রাজস্বও।
রেলওয়ের পণ্যবাহী সার্ভিসের পতন এক ভয়াবহ সংকটের ইঙ্গিত দেয়। মাত্র দুই অর্থবছরে পণ্যবাহী ট্রেনের সংখ্যা হাজারের বেশি কমে গেছে। চলতি বছর সেটা আরও নিম্নমুখী। খাদ্য ও সারবাহী ট্রেন বহু মাস ধরেই চালানো যায়নি। প্রতি মাসের শতাধিক জ্বালানিবাহী ট্রেন কমে নেমে এসেছে কয়েক ডজনের মধ্যে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে পণ্য পরিবহনে রেলওয়ের ভূমিকা অদূর ভবিষ্যতে আরও কমবে।
রেলপথে পণ্যপরিবহনে গতি আনতে প্রয়োজন বাস্তবসম্মত নীতি এবং জরুরি ভিত্তিতে ইঞ্জিন সংগ্রহ ও আধুনিকায়ন। পণ্য পরিবহনকে কেন্দ্র করে রেলের একটি আলাদা অপারেশনাল কৌশল ও সংরক্ষিত ইঞ্জিন বহর রাখা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা যেতে পারে। রেলের সক্ষমতা বাড়ানো না গেলে চট্টগ্রাম বন্দরের চাপ বাড়বে। সড়কপথে ঝুঁকি ও ব্যয় আরও বাড়বে। সার্বিকভাবে দেশের লজিস্টিক ব্যয় বাড়তে থাকবে, যা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অবস্থানকে দুর্বল করবে।