alt

মতামত » সম্পাদকীয়

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

: শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

কুষ্টিয়ায় ২১৩টি ইটভাটার মধ্যে মাত্র ১৭টি বৈধ। এই তথ্য শুধু উদ্বেগজনক নয়, পরিবেশ নীতিমালা ও প্রশাসনিক দুর্বলতার একটি কঠিন বাস্তবতাও প্রকাশ করে। নয়ম-কানুন উপেক্ষা করে জেলায় অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া বহুদিনের। সেখানে পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া দুই শতাধিক ভাটা চালু রয়েছে। এসব ভাটা প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে নির্বিঘ্নে কাঠ পোড়ানো ও মাটি কাটা অব্যাহত রেখেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

একেকটি ভাটা স্থাপনে তিন থেকে চার একর কৃষিজমি নষ্ট হয়। এভাবে পুরো জেলায় হাজার হাজার একর উর্বর মাটি ইটভাটার কাঁচামালে পরিণত হচ্ছে। কৃষকরা বলেছেন, ভাটার ধোঁয়া, ছাই এবং কাঠ পোড়ানোর দূষণে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, গাছপালা উজাড় হয়ে যাচ্ছে। নদী ও খাল থেকে পলি মাটি কেটে নেওয়ায় পানি ধারণক্ষমতা কমে বন্যার ঝুঁকিও বাড়ে।

দেশের অনেক ইটভাটা অবৈধ। এসব ভাটায় ৯৫ শতাংশ কাঠ পোড়ানো হয়। কাঠ ধ্বংস হওয়ার অর্থ হচ্ছে, দেশের বনসম্পদ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে, মাটির উর্বরতা কমছে এবং বায়ুদূষণ মারাত্মক মাত্রায় পৌঁছাচ্ছে। ইটভাটার বিকল্প হিসেবে ব্লক ইট এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও পরিবেশবান্ধব উপায় হলেও আমাদের দেশে তার ব্যবহারের হার নগণ্য।

প্রশাসনিক দুর্বলতা, তদবির, রিট মামলা ও প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কারণে অবৈধ ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারছে না। আইন প্রয়োগ দুর্বল হলে পরিবেশ বা জনস্বাস্থ্য কোনোটাই রক্ষা করা যায় না।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে যে, অভিযান শুরু হয়েছে। এটি অবশ্যই ইতিবাচক। তবে কুষ্টিয়ার মতো জেলার ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন অভিযান যথেষ্ট নয়। দরকার সমন্বিত পরিকল্পনা, নিয়মিত মনিটরিং। অবৈধ ভাটা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষিজমি রক্ষায় কার্যকর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

অবৈধ ইটভাটার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা জরুরি। ব্লক ইটের ব্যবহারে বড় ধরনের প্রণোদনা দেওয়া যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। না হলে অবৈধ ইটভাটার ফলে সৃষ্ট বিপর্যয় দ্রুতই দেশের অন্য অঞ্চলগুলোতেও ছড়িয়ে পড়বে।

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

কুষ্টিয়ায় ২১৩টি ইটভাটার মধ্যে মাত্র ১৭টি বৈধ। এই তথ্য শুধু উদ্বেগজনক নয়, পরিবেশ নীতিমালা ও প্রশাসনিক দুর্বলতার একটি কঠিন বাস্তবতাও প্রকাশ করে। নয়ম-কানুন উপেক্ষা করে জেলায় অবৈধভাবে ইটভাটা গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া বহুদিনের। সেখানে পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া দুই শতাধিক ভাটা চালু রয়েছে। এসব ভাটা প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে নির্বিঘ্নে কাঠ পোড়ানো ও মাটি কাটা অব্যাহত রেখেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

একেকটি ভাটা স্থাপনে তিন থেকে চার একর কৃষিজমি নষ্ট হয়। এভাবে পুরো জেলায় হাজার হাজার একর উর্বর মাটি ইটভাটার কাঁচামালে পরিণত হচ্ছে। কৃষকরা বলেছেন, ভাটার ধোঁয়া, ছাই এবং কাঠ পোড়ানোর দূষণে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, গাছপালা উজাড় হয়ে যাচ্ছে। নদী ও খাল থেকে পলি মাটি কেটে নেওয়ায় পানি ধারণক্ষমতা কমে বন্যার ঝুঁকিও বাড়ে।

দেশের অনেক ইটভাটা অবৈধ। এসব ভাটায় ৯৫ শতাংশ কাঠ পোড়ানো হয়। কাঠ ধ্বংস হওয়ার অর্থ হচ্ছে, দেশের বনসম্পদ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে, মাটির উর্বরতা কমছে এবং বায়ুদূষণ মারাত্মক মাত্রায় পৌঁছাচ্ছে। ইটভাটার বিকল্প হিসেবে ব্লক ইট এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও পরিবেশবান্ধব উপায় হলেও আমাদের দেশে তার ব্যবহারের হার নগণ্য।

প্রশাসনিক দুর্বলতা, তদবির, রিট মামলা ও প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কারণে অবৈধ ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারছে না। আইন প্রয়োগ দুর্বল হলে পরিবেশ বা জনস্বাস্থ্য কোনোটাই রক্ষা করা যায় না।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে যে, অভিযান শুরু হয়েছে। এটি অবশ্যই ইতিবাচক। তবে কুষ্টিয়ার মতো জেলার ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন অভিযান যথেষ্ট নয়। দরকার সমন্বিত পরিকল্পনা, নিয়মিত মনিটরিং। অবৈধ ভাটা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষিজমি রক্ষায় কার্যকর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

অবৈধ ইটভাটার ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা জরুরি। ব্লক ইটের ব্যবহারে বড় ধরনের প্রণোদনা দেওয়া যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। না হলে অবৈধ ইটভাটার ফলে সৃষ্ট বিপর্যয় দ্রুতই দেশের অন্য অঞ্চলগুলোতেও ছড়িয়ে পড়বে।

back to top