পটুয়াখালীর মাটিভাঙা গ্রামের খ্রিস্টান পল্লীর বাসিন্দা বাবুল গোমেজের জমি দখলের অপচেষ্টা করছে একটি চক্র। অভিযোগ অনুযায়ী, স্থানীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠী শুধু ভুক্তভোগীর ধান নষ্টই করেনি, তাকে ক্ষেতেও যেতে দিচ্ছে না। এমনকি নতুন করে তরমুজ চাষ শুরু করে তারা প্রকাশ্যেই জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। সেখানকার পুরো খ্রিস্টান পল্লীর ওপর চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বাবুল গোমেজ ২৬ আগস্ট পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ সুপার থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশও দিয়েছেন। বাস্তবতা হচ্ছে, সেই নির্দেশের চার মাস পরেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য থেকেও বোঝা যায়, প্রভাবশালীরা বারবার সময় নিলেও জমির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিচ্ছেন না। ফলে মীমাংসা প্রক্রিয়া এগোচ্ছে না।
অভিযুক্ত ব্যক্তি দাবি করছেন, জমি তাদের। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কথাও বলা হয়েছে। যদি সত্যিই আদালতের নির্দেশ থাকে, তবে সেটি কার্যকর করার দায়িত্বও প্রশাসনের। কিন্তু এই ‘স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখা’র নামে কি একজনের ফসল নষ্ট করা, ক্ষেত দখল, কিংবা মানুষকে ভয় দেখানো চলে? আদালতের নিষেধাজ্ঞা কখনোই আইন ভাঙার লাইসেন্স নয়।
জমি নিয়ে বিরোধ যখন উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়, তখন স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা আরও সক্রিয় হওয়া উচিত। এমন পরিস্থিতিতে দুপক্ষকে আইনশৃঙ্খলা মেনে চলতে বাধ্য করা জরুরি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কোনোভাবেই তাদের নিরাপত্তা বিঘিœত করা চলে না।
এই ধরনের ঘটনা শুধু একটি গ্রামের শান্তি নষ্ট করে না, দেশের সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। দেশের অনেক স্থানেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আমরা বলতে চাই, বাবুল গোমেজের জমির বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া এখন জরুরি। আইন যে সবার জন্য সমান সেটা বাস্তবে প্রমাণ করতে হবে। রাষ্ট্র যদি দুর্বল মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়, তাহলে শক্তিশালীদের দাপটই নিয়মে পরিণত হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
পটুয়াখালীর মাটিভাঙা গ্রামের খ্রিস্টান পল্লীর বাসিন্দা বাবুল গোমেজের জমি দখলের অপচেষ্টা করছে একটি চক্র। অভিযোগ অনুযায়ী, স্থানীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠী শুধু ভুক্তভোগীর ধান নষ্টই করেনি, তাকে ক্ষেতেও যেতে দিচ্ছে না। এমনকি নতুন করে তরমুজ চাষ শুরু করে তারা প্রকাশ্যেই জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। সেখানকার পুরো খ্রিস্টান পল্লীর ওপর চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বাবুল গোমেজ ২৬ আগস্ট পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ সুপার থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশও দিয়েছেন। বাস্তবতা হচ্ছে, সেই নির্দেশের চার মাস পরেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য থেকেও বোঝা যায়, প্রভাবশালীরা বারবার সময় নিলেও জমির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিচ্ছেন না। ফলে মীমাংসা প্রক্রিয়া এগোচ্ছে না।
অভিযুক্ত ব্যক্তি দাবি করছেন, জমি তাদের। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কথাও বলা হয়েছে। যদি সত্যিই আদালতের নির্দেশ থাকে, তবে সেটি কার্যকর করার দায়িত্বও প্রশাসনের। কিন্তু এই ‘স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখা’র নামে কি একজনের ফসল নষ্ট করা, ক্ষেত দখল, কিংবা মানুষকে ভয় দেখানো চলে? আদালতের নিষেধাজ্ঞা কখনোই আইন ভাঙার লাইসেন্স নয়।
জমি নিয়ে বিরোধ যখন উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়, তখন স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা আরও সক্রিয় হওয়া উচিত। এমন পরিস্থিতিতে দুপক্ষকে আইনশৃঙ্খলা মেনে চলতে বাধ্য করা জরুরি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কোনোভাবেই তাদের নিরাপত্তা বিঘিœত করা চলে না।
এই ধরনের ঘটনা শুধু একটি গ্রামের শান্তি নষ্ট করে না, দেশের সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। দেশের অনেক স্থানেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আমরা বলতে চাই, বাবুল গোমেজের জমির বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া এখন জরুরি। আইন যে সবার জন্য সমান সেটা বাস্তবে প্রমাণ করতে হবে। রাষ্ট্র যদি দুর্বল মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়, তাহলে শক্তিশালীদের দাপটই নিয়মে পরিণত হবে।