alt

মতামত » সম্পাদকীয়

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

: শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীর মাটিভাঙা গ্রামের খ্রিস্টান পল্লীর বাসিন্দা বাবুল গোমেজের জমি দখলের অপচেষ্টা করছে একটি চক্র। অভিযোগ অনুযায়ী, স্থানীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠী শুধু ভুক্তভোগীর ধান নষ্টই করেনি, তাকে ক্ষেতেও যেতে দিচ্ছে না। এমনকি নতুন করে তরমুজ চাষ শুরু করে তারা প্রকাশ্যেই জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। সেখানকার পুরো খ্রিস্টান পল্লীর ওপর চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বাবুল গোমেজ ২৬ আগস্ট পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ সুপার থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশও দিয়েছেন। বাস্তবতা হচ্ছে, সেই নির্দেশের চার মাস পরেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য থেকেও বোঝা যায়, প্রভাবশালীরা বারবার সময় নিলেও জমির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিচ্ছেন না। ফলে মীমাংসা প্রক্রিয়া এগোচ্ছে না।

অভিযুক্ত ব্যক্তি দাবি করছেন, জমি তাদের। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কথাও বলা হয়েছে। যদি সত্যিই আদালতের নির্দেশ থাকে, তবে সেটি কার্যকর করার দায়িত্বও প্রশাসনের। কিন্তু এই ‘স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখা’র নামে কি একজনের ফসল নষ্ট করা, ক্ষেত দখল, কিংবা মানুষকে ভয় দেখানো চলে? আদালতের নিষেধাজ্ঞা কখনোই আইন ভাঙার লাইসেন্স নয়।

জমি নিয়ে বিরোধ যখন উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়, তখন স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা আরও সক্রিয় হওয়া উচিত। এমন পরিস্থিতিতে দুপক্ষকে আইনশৃঙ্খলা মেনে চলতে বাধ্য করা জরুরি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কোনোভাবেই তাদের নিরাপত্তা বিঘিœত করা চলে না।

এই ধরনের ঘটনা শুধু একটি গ্রামের শান্তি নষ্ট করে না, দেশের সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। দেশের অনেক স্থানেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

আমরা বলতে চাই, বাবুল গোমেজের জমির বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া এখন জরুরি। আইন যে সবার জন্য সমান সেটা বাস্তবে প্রমাণ করতে হবে। রাষ্ট্র যদি দুর্বল মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়, তাহলে শক্তিশালীদের দাপটই নিয়মে পরিণত হবে।

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীর মাটিভাঙা গ্রামের খ্রিস্টান পল্লীর বাসিন্দা বাবুল গোমেজের জমি দখলের অপচেষ্টা করছে একটি চক্র। অভিযোগ অনুযায়ী, স্থানীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠী শুধু ভুক্তভোগীর ধান নষ্টই করেনি, তাকে ক্ষেতেও যেতে দিচ্ছে না। এমনকি নতুন করে তরমুজ চাষ শুরু করে তারা প্রকাশ্যেই জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। সেখানকার পুরো খ্রিস্টান পল্লীর ওপর চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বাবুল গোমেজ ২৬ আগস্ট পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ সুপার থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশও দিয়েছেন। বাস্তবতা হচ্ছে, সেই নির্দেশের চার মাস পরেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য থেকেও বোঝা যায়, প্রভাবশালীরা বারবার সময় নিলেও জমির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দিচ্ছেন না। ফলে মীমাংসা প্রক্রিয়া এগোচ্ছে না।

অভিযুক্ত ব্যক্তি দাবি করছেন, জমি তাদের। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কথাও বলা হয়েছে। যদি সত্যিই আদালতের নির্দেশ থাকে, তবে সেটি কার্যকর করার দায়িত্বও প্রশাসনের। কিন্তু এই ‘স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখা’র নামে কি একজনের ফসল নষ্ট করা, ক্ষেত দখল, কিংবা মানুষকে ভয় দেখানো চলে? আদালতের নিষেধাজ্ঞা কখনোই আইন ভাঙার লাইসেন্স নয়।

জমি নিয়ে বিরোধ যখন উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়, তখন স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা আরও সক্রিয় হওয়া উচিত। এমন পরিস্থিতিতে দুপক্ষকে আইনশৃঙ্খলা মেনে চলতে বাধ্য করা জরুরি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কোনোভাবেই তাদের নিরাপত্তা বিঘিœত করা চলে না।

এই ধরনের ঘটনা শুধু একটি গ্রামের শান্তি নষ্ট করে না, দেশের সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। দেশের অনেক স্থানেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

আমরা বলতে চাই, বাবুল গোমেজের জমির বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া এখন জরুরি। আইন যে সবার জন্য সমান সেটা বাস্তবে প্রমাণ করতে হবে। রাষ্ট্র যদি দুর্বল মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়, তাহলে শক্তিশালীদের দাপটই নিয়মে পরিণত হবে।

back to top