হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অনুপস্থিতিতে প্রশাসনিক কাঠামো কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেকে দিনের পর দিন সংশ্লিষ্ট অফিসে ঘুরেও কোনো সুনির্দিষ্ট সেবা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, বদলি ও প্রশিক্ষণজনিত কারণে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। সদ্য বদলি হওয়া ইউএনও চারটি দপ্তরের তদারকির দায়িত্ব সামলাতেন দীর্ঘদিন ধরে। অন্যদিকে নতুন যোগদান করা এসিল্যান্ড মাত্র এক সপ্তাহ কাজ করে ছয় মাসের প্রশিক্ষণে চলে যান। এখন এই দুই কর্মকর্তা না থাকায় চুনারুঘাটের চারটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর প্রায় বন্ধ হয়ে আছে।
এ অবস্থায় সাময়িকভাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মাধবপুর উপজেলার ইউএনওকে। কিন্তু তিনিও ঢাকায় থাকায় দায়িত্ব গেছে মাধবপুরের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) ওপর। একজন কর্মকর্তা দিয়ে দুই উপজেলার অন্তত আটটি দপ্তর চালানো কতটা বাস্তবসম্মত সেটা একটা প্রশ্ন।
প্রশাসনিক শূন্যতার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। অনেকে নামজারি করতে পারছেন না, কেউ কেউ বিদেশ যাত্রার জরুরি সনদ পাচ্ছেন না, আবার কেউ বারবার এসে শুনছেন-“স্যার নেই, পরে আসেন।” এতে তাদের সময়, শ্রম ও টাকা গচ্চা যাচ্ছে। এতেকরে মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে।
এই পরিস্থিতি আর চলতে দেওয়া যায় না। প্রশাসন চাইলে স্বল্পমেয়াদি বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। প্রশাসনের জনবল সংকটের চাপ সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া সঙ্গত নয়। সেখানে পরিস্থিতি যত দ্রুত স্বাভাবিক করা যাবে, মানুষ তত দ্রুত তাদের প্রাপ্য সেবা ফিরে পাবে। প্রশাসনের কার্যক্রম কোনো এলাকার কাজই থমকে থাকতে পারে না। তাই চুনারুঘাটের এই সংকট সমাধানে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অনুপস্থিতিতে প্রশাসনিক কাঠামো কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেকে দিনের পর দিন সংশ্লিষ্ট অফিসে ঘুরেও কোনো সুনির্দিষ্ট সেবা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, বদলি ও প্রশিক্ষণজনিত কারণে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। সদ্য বদলি হওয়া ইউএনও চারটি দপ্তরের তদারকির দায়িত্ব সামলাতেন দীর্ঘদিন ধরে। অন্যদিকে নতুন যোগদান করা এসিল্যান্ড মাত্র এক সপ্তাহ কাজ করে ছয় মাসের প্রশিক্ষণে চলে যান। এখন এই দুই কর্মকর্তা না থাকায় চুনারুঘাটের চারটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর প্রায় বন্ধ হয়ে আছে।
এ অবস্থায় সাময়িকভাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মাধবপুর উপজেলার ইউএনওকে। কিন্তু তিনিও ঢাকায় থাকায় দায়িত্ব গেছে মাধবপুরের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) ওপর। একজন কর্মকর্তা দিয়ে দুই উপজেলার অন্তত আটটি দপ্তর চালানো কতটা বাস্তবসম্মত সেটা একটা প্রশ্ন।
প্রশাসনিক শূন্যতার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। অনেকে নামজারি করতে পারছেন না, কেউ কেউ বিদেশ যাত্রার জরুরি সনদ পাচ্ছেন না, আবার কেউ বারবার এসে শুনছেন-“স্যার নেই, পরে আসেন।” এতে তাদের সময়, শ্রম ও টাকা গচ্চা যাচ্ছে। এতেকরে মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে।
এই পরিস্থিতি আর চলতে দেওয়া যায় না। প্রশাসন চাইলে স্বল্পমেয়াদি বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। প্রশাসনের জনবল সংকটের চাপ সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া সঙ্গত নয়। সেখানে পরিস্থিতি যত দ্রুত স্বাভাবিক করা যাবে, মানুষ তত দ্রুত তাদের প্রাপ্য সেবা ফিরে পাবে। প্রশাসনের কার্যক্রম কোনো এলাকার কাজই থমকে থাকতে পারে না। তাই চুনারুঘাটের এই সংকট সমাধানে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।