alt

মতামত » সম্পাদকীয়

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

: রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

জনবল সংকটে ভুগছে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর। প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় গবাদিপশুর চিকিৎসা, টিকাদান, রোগ-নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে কৃষি, ক্ষুদ্র খামার এবং স্থানীয় অর্থনীতিতেও। খামারি ও গবাদিপশুর মালিকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

উপজেলা পর্যায়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রাণিসম্পদ দপ্তর একজন ভেটেরিনারি সার্জন ও একজন সহকারী দিয়ে কীভাবে কাক্সিক্ষত সেবা দেবে সেটা একটা প্রশ্ন। দুজনের পক্ষে পুরো উপজেলায় টিকাদান, রোগ-পর্যবেক্ষণ, পোল্ট্রি ও গবাদিপশুর নিয়মিত পরিদর্শন সামলানো কঠিন। বিশেষকরে শীতের সময়ে গবাদিপশুর মধ্যে নানান সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ে। তখন খামারিদের মাঠপর্যায়ে দ্রুত সাড়া পাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এখন সেই সুযোগই নেই।

ভুক্তভোগী খামারিদের অভিযোগ, জরুরি অবস্থায় ডাক্তার পাওয়া যায় না। গবাদি পশুর হঠাৎ রোগ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতি হবেই। এমন বাস্তবতায় ক্ষুদ্র খামারিরা আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়ছেন। তাদের আয় কমছে, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কেউ কেউ খামার বন্ধ করার কথাও ভাবছেন।

স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, জনবল না থাকায় তারা শুধু জরুরি কাজগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে সামলাচ্ছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও স্বীকার করেছেন যে এ সংকট শুধু দুমকিতে নয়, পুরো জেলার সমস্যা। শূন্যপদ পূরণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

পশুসম্পদ স্থানীয় অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি। খামারিদের ক্ষতি হলে তার প্রভাব পড়ে বাজারে। দুধ-ডিম-মাংসের সরবরাহে টান পড়ে। তার প্রভাব পড়ে সামগ্রিকভাবে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। জনবল সংকটকে শুধু প্রশাসনিক সমস্যা বলে এড়িয়ে যাওয়া চলে না। এটি উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।

উল্লিখিত সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। অন্তত অস্থায়ী নিয়োগ বা জেলা পর্যায়ের ভ্রাম্যমাণ টিম চালু করা যেতে পারে। খামারিদের প্রয়োজনে দ্রুত সাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি হটলাইন চালু করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা যেতে পারে।

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

জনবল সংকটে ভুগছে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর। প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় গবাদিপশুর চিকিৎসা, টিকাদান, রোগ-নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে কৃষি, ক্ষুদ্র খামার এবং স্থানীয় অর্থনীতিতেও। খামারি ও গবাদিপশুর মালিকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

উপজেলা পর্যায়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রাণিসম্পদ দপ্তর একজন ভেটেরিনারি সার্জন ও একজন সহকারী দিয়ে কীভাবে কাক্সিক্ষত সেবা দেবে সেটা একটা প্রশ্ন। দুজনের পক্ষে পুরো উপজেলায় টিকাদান, রোগ-পর্যবেক্ষণ, পোল্ট্রি ও গবাদিপশুর নিয়মিত পরিদর্শন সামলানো কঠিন। বিশেষকরে শীতের সময়ে গবাদিপশুর মধ্যে নানান সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ে। তখন খামারিদের মাঠপর্যায়ে দ্রুত সাড়া পাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এখন সেই সুযোগই নেই।

ভুক্তভোগী খামারিদের অভিযোগ, জরুরি অবস্থায় ডাক্তার পাওয়া যায় না। গবাদি পশুর হঠাৎ রোগ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতি হবেই। এমন বাস্তবতায় ক্ষুদ্র খামারিরা আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়ছেন। তাদের আয় কমছে, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কেউ কেউ খামার বন্ধ করার কথাও ভাবছেন।

স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, জনবল না থাকায় তারা শুধু জরুরি কাজগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে সামলাচ্ছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও স্বীকার করেছেন যে এ সংকট শুধু দুমকিতে নয়, পুরো জেলার সমস্যা। শূন্যপদ পূরণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

পশুসম্পদ স্থানীয় অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি। খামারিদের ক্ষতি হলে তার প্রভাব পড়ে বাজারে। দুধ-ডিম-মাংসের সরবরাহে টান পড়ে। তার প্রভাব পড়ে সামগ্রিকভাবে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। জনবল সংকটকে শুধু প্রশাসনিক সমস্যা বলে এড়িয়ে যাওয়া চলে না। এটি উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।

উল্লিখিত সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। অন্তত অস্থায়ী নিয়োগ বা জেলা পর্যায়ের ভ্রাম্যমাণ টিম চালু করা যেতে পারে। খামারিদের প্রয়োজনে দ্রুত সাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি হটলাইন চালু করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা যেতে পারে।

back to top