জনবল সংকটে ভুগছে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর। প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় গবাদিপশুর চিকিৎসা, টিকাদান, রোগ-নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে কৃষি, ক্ষুদ্র খামার এবং স্থানীয় অর্থনীতিতেও। খামারি ও গবাদিপশুর মালিকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
উপজেলা পর্যায়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রাণিসম্পদ দপ্তর একজন ভেটেরিনারি সার্জন ও একজন সহকারী দিয়ে কীভাবে কাক্সিক্ষত সেবা দেবে সেটা একটা প্রশ্ন। দুজনের পক্ষে পুরো উপজেলায় টিকাদান, রোগ-পর্যবেক্ষণ, পোল্ট্রি ও গবাদিপশুর নিয়মিত পরিদর্শন সামলানো কঠিন। বিশেষকরে শীতের সময়ে গবাদিপশুর মধ্যে নানান সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ে। তখন খামারিদের মাঠপর্যায়ে দ্রুত সাড়া পাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এখন সেই সুযোগই নেই।
ভুক্তভোগী খামারিদের অভিযোগ, জরুরি অবস্থায় ডাক্তার পাওয়া যায় না। গবাদি পশুর হঠাৎ রোগ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতি হবেই। এমন বাস্তবতায় ক্ষুদ্র খামারিরা আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়ছেন। তাদের আয় কমছে, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কেউ কেউ খামার বন্ধ করার কথাও ভাবছেন।
স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, জনবল না থাকায় তারা শুধু জরুরি কাজগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে সামলাচ্ছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও স্বীকার করেছেন যে এ সংকট শুধু দুমকিতে নয়, পুরো জেলার সমস্যা। শূন্যপদ পূরণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
পশুসম্পদ স্থানীয় অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি। খামারিদের ক্ষতি হলে তার প্রভাব পড়ে বাজারে। দুধ-ডিম-মাংসের সরবরাহে টান পড়ে। তার প্রভাব পড়ে সামগ্রিকভাবে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। জনবল সংকটকে শুধু প্রশাসনিক সমস্যা বলে এড়িয়ে যাওয়া চলে না। এটি উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
উল্লিখিত সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। অন্তত অস্থায়ী নিয়োগ বা জেলা পর্যায়ের ভ্রাম্যমাণ টিম চালু করা যেতে পারে। খামারিদের প্রয়োজনে দ্রুত সাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি হটলাইন চালু করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা যেতে পারে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
জনবল সংকটে ভুগছে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর। প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় গবাদিপশুর চিকিৎসা, টিকাদান, রোগ-নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে কৃষি, ক্ষুদ্র খামার এবং স্থানীয় অর্থনীতিতেও। খামারি ও গবাদিপশুর মালিকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
উপজেলা পর্যায়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রাণিসম্পদ দপ্তর একজন ভেটেরিনারি সার্জন ও একজন সহকারী দিয়ে কীভাবে কাক্সিক্ষত সেবা দেবে সেটা একটা প্রশ্ন। দুজনের পক্ষে পুরো উপজেলায় টিকাদান, রোগ-পর্যবেক্ষণ, পোল্ট্রি ও গবাদিপশুর নিয়মিত পরিদর্শন সামলানো কঠিন। বিশেষকরে শীতের সময়ে গবাদিপশুর মধ্যে নানান সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ে। তখন খামারিদের মাঠপর্যায়ে দ্রুত সাড়া পাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এখন সেই সুযোগই নেই।
ভুক্তভোগী খামারিদের অভিযোগ, জরুরি অবস্থায় ডাক্তার পাওয়া যায় না। গবাদি পশুর হঠাৎ রোগ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতি হবেই। এমন বাস্তবতায় ক্ষুদ্র খামারিরা আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে পড়ছেন। তাদের আয় কমছে, উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কেউ কেউ খামার বন্ধ করার কথাও ভাবছেন।
স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, জনবল না থাকায় তারা শুধু জরুরি কাজগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে সামলাচ্ছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও স্বীকার করেছেন যে এ সংকট শুধু দুমকিতে নয়, পুরো জেলার সমস্যা। শূন্যপদ পূরণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
পশুসম্পদ স্থানীয় অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি। খামারিদের ক্ষতি হলে তার প্রভাব পড়ে বাজারে। দুধ-ডিম-মাংসের সরবরাহে টান পড়ে। তার প্রভাব পড়ে সামগ্রিকভাবে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। জনবল সংকটকে শুধু প্রশাসনিক সমস্যা বলে এড়িয়ে যাওয়া চলে না। এটি উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
উল্লিখিত সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। অন্তত অস্থায়ী নিয়োগ বা জেলা পর্যায়ের ভ্রাম্যমাণ টিম চালু করা যেতে পারে। খামারিদের প্রয়োজনে দ্রুত সাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি হটলাইন চালু করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা যেতে পারে।