alt

মতামত » সম্পাদকীয়

দুস্থ নারীদের অধিকার নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্য কাম্য নয়

: সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নে ২৪৮ জন দুস্থ মায়ের কাছ থেকে ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে পরিবহণ খরচের নামে নিয়মিত টাকা নেওয়া হয়েছে। অথচ এ পরিবহণ খরচ সরকারই বহন করে থাকে। প্রায় এক বছর ধরে এভাবে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা বা খাদ্য সহায়তার মতো কর্মসূচিতে দুর্নীতি মানেই দেশের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষদের ওপর অন্যায় চাপ সৃষ্টি করা। বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নে যা ঘটেছে, তা শুধু অনিয়ম নয়, এটি দরিদ্র মানুষের অধিকার হরণের অত্যন্ত নিন্দনীয় উদাহরণ। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের সহায়তা বাড়ানোর জন্য। কিন্তু সেই সহায়তারই একটি অংশ যদি দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা ‘চাঁদা’ হিসেবে আদায় করেন, তবে তা শুধু অনৈতিক নয়, আইনের চোখেও অপরাধ। এই ঘটনায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সম্পৃক্ততার অভিযোগও রয়েছে।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তদন্ত যেন নিরপেক্ষ হয়, দ্রুত হয় সেটা নিশ্চিত করা। তদন্তে প্রমাণ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ এই ধরনের দুর্নীতি বন্ধ না হলে সরকারি সহায়তা কর্মসূচির প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হবে। আর দরিদ্র মানুষের প্রাপ্য সুবিধা কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির পকেটে চলে যাবে।

এই ঘটনা সারা দেশের প্রশাসনের জন্যও সতর্কবার্তা। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি নিয়ে দুর্নীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। গ্রামগঞ্জের দরিদ্র মায়েদের জন্য বরাদ্দকৃত এক মুঠো চালও যেন কেউ আত্মসাত করতে না পারে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

প্রান্তিক আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

দুস্থ নারীদের অধিকার নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্য কাম্য নয়

সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নে ২৪৮ জন দুস্থ মায়ের কাছ থেকে ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে পরিবহণ খরচের নামে নিয়মিত টাকা নেওয়া হয়েছে। অথচ এ পরিবহণ খরচ সরকারই বহন করে থাকে। প্রায় এক বছর ধরে এভাবে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা বা খাদ্য সহায়তার মতো কর্মসূচিতে দুর্নীতি মানেই দেশের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষদের ওপর অন্যায় চাপ সৃষ্টি করা। বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নে যা ঘটেছে, তা শুধু অনিয়ম নয়, এটি দরিদ্র মানুষের অধিকার হরণের অত্যন্ত নিন্দনীয় উদাহরণ। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের সহায়তা বাড়ানোর জন্য। কিন্তু সেই সহায়তারই একটি অংশ যদি দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা ‘চাঁদা’ হিসেবে আদায় করেন, তবে তা শুধু অনৈতিক নয়, আইনের চোখেও অপরাধ। এই ঘটনায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সম্পৃক্ততার অভিযোগও রয়েছে।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তদন্ত যেন নিরপেক্ষ হয়, দ্রুত হয় সেটা নিশ্চিত করা। তদন্তে প্রমাণ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ এই ধরনের দুর্নীতি বন্ধ না হলে সরকারি সহায়তা কর্মসূচির প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হবে। আর দরিদ্র মানুষের প্রাপ্য সুবিধা কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির পকেটে চলে যাবে।

এই ঘটনা সারা দেশের প্রশাসনের জন্যও সতর্কবার্তা। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি নিয়ে দুর্নীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। গ্রামগঞ্জের দরিদ্র মায়েদের জন্য বরাদ্দকৃত এক মুঠো চালও যেন কেউ আত্মসাত করতে না পারে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

back to top