বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নে ২৪৮ জন দুস্থ মায়ের কাছ থেকে ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে পরিবহণ খরচের নামে নিয়মিত টাকা নেওয়া হয়েছে। অথচ এ পরিবহণ খরচ সরকারই বহন করে থাকে। প্রায় এক বছর ধরে এভাবে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা বা খাদ্য সহায়তার মতো কর্মসূচিতে দুর্নীতি মানেই দেশের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষদের ওপর অন্যায় চাপ সৃষ্টি করা। বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নে যা ঘটেছে, তা শুধু অনিয়ম নয়, এটি দরিদ্র মানুষের অধিকার হরণের অত্যন্ত নিন্দনীয় উদাহরণ। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের সহায়তা বাড়ানোর জন্য। কিন্তু সেই সহায়তারই একটি অংশ যদি দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা ‘চাঁদা’ হিসেবে আদায় করেন, তবে তা শুধু অনৈতিক নয়, আইনের চোখেও অপরাধ। এই ঘটনায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সম্পৃক্ততার অভিযোগও রয়েছে।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তদন্ত যেন নিরপেক্ষ হয়, দ্রুত হয় সেটা নিশ্চিত করা। তদন্তে প্রমাণ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ এই ধরনের দুর্নীতি বন্ধ না হলে সরকারি সহায়তা কর্মসূচির প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হবে। আর দরিদ্র মানুষের প্রাপ্য সুবিধা কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির পকেটে চলে যাবে।
এই ঘটনা সারা দেশের প্রশাসনের জন্যও সতর্কবার্তা। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি নিয়ে দুর্নীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। গ্রামগঞ্জের দরিদ্র মায়েদের জন্য বরাদ্দকৃত এক মুঠো চালও যেন কেউ আত্মসাত করতে না পারে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নে ২৪৮ জন দুস্থ মায়ের কাছ থেকে ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে পরিবহণ খরচের নামে নিয়মিত টাকা নেওয়া হয়েছে। অথচ এ পরিবহণ খরচ সরকারই বহন করে থাকে। প্রায় এক বছর ধরে এভাবে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা বা খাদ্য সহায়তার মতো কর্মসূচিতে দুর্নীতি মানেই দেশের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষদের ওপর অন্যায় চাপ সৃষ্টি করা। বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউনিয়নে যা ঘটেছে, তা শুধু অনিয়ম নয়, এটি দরিদ্র মানুষের অধিকার হরণের অত্যন্ত নিন্দনীয় উদাহরণ। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের সহায়তা বাড়ানোর জন্য। কিন্তু সেই সহায়তারই একটি অংশ যদি দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা ‘চাঁদা’ হিসেবে আদায় করেন, তবে তা শুধু অনৈতিক নয়, আইনের চোখেও অপরাধ। এই ঘটনায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সম্পৃক্ততার অভিযোগও রয়েছে।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তদন্ত যেন নিরপেক্ষ হয়, দ্রুত হয় সেটা নিশ্চিত করা। তদন্তে প্রমাণ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ এই ধরনের দুর্নীতি বন্ধ না হলে সরকারি সহায়তা কর্মসূচির প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হবে। আর দরিদ্র মানুষের প্রাপ্য সুবিধা কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির পকেটে চলে যাবে।
এই ঘটনা সারা দেশের প্রশাসনের জন্যও সতর্কবার্তা। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি নিয়ে দুর্নীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। গ্রামগঞ্জের দরিদ্র মায়েদের জন্য বরাদ্দকৃত এক মুঠো চালও যেন কেউ আত্মসাত করতে না পারে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।