দেশের প্রান্তিক আদিবাসী জনগোষ্ঠী ভূমি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তার প্রশ্নে গুরুতর বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে আদিবাসী নারীরা স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কাপেং ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালে আদিবাসীদের ওপর ৯৭টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, আর ২০২৫ সালের সাত মাসেই ১৫টি ভূমিকেন্দ্রিক সংঘাতসহ নানা ঘটনার শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভূমি-অধিকার, সাংস্কৃতিক পরিচয় ও আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারসহ মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা পাচ্ছে না আদিবাসী জনগোষ্ঠী। আদিবাসী পরিচয়ের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়ার কারণে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষাই প্রাধান্য পাচ্ছে, মানুষের অধিকার নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতন্ত্রের রাজনীতিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ন্যায্য মর্যাদা পাচ্ছে না বলে মনে করেন অনেকে।
ভিন্নধর্মাবলম্বীদের ওপর আক্রমণ, ভূমি দখল, নারীর প্রতি সহিংসতা, এমনকি হত্যার মতো অনেক ঘটনাই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায় না বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসনের নির্লিপ্ততা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি আদিবাসীদের নিরাপত্তাকে আরও দুর্বল করে তুলছে। সমতলের আদিবাসীরা সংগঠিত না হওয়ায় তারা আরও বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ বহুত্ববাদী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে সেই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু অংশগ্রহণমূলক ও সমঅধিকারভিত্তিক সমাজ গড়ার সেই প্রতিশ্রুতি এখন বাস্তবতার সঙ্গে মেলে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।
আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি-অধিকার সুরক্ষায় সুস্পষ্ট নীতি থাকার কথা বলছেন অনেকে। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি দখল, নিপীড়ন ও সহিংসতার প্রতিটি ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত-বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তায় আদিবাসীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ ও কার্যকর কর্মসূচি চালু করতে হবে।সমতল ও পাহাড়-উভয় অঞ্চলে আদিবাসী সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করার সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
দেশের প্রান্তিক আদিবাসী জনগোষ্ঠী ভূমি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তার প্রশ্নে গুরুতর বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে আদিবাসী নারীরা স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কাপেং ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালে আদিবাসীদের ওপর ৯৭টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, আর ২০২৫ সালের সাত মাসেই ১৫টি ভূমিকেন্দ্রিক সংঘাতসহ নানা ঘটনার শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভূমি-অধিকার, সাংস্কৃতিক পরিচয় ও আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারসহ মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা পাচ্ছে না আদিবাসী জনগোষ্ঠী। আদিবাসী পরিচয়ের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়ার কারণে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষাই প্রাধান্য পাচ্ছে, মানুষের অধিকার নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতন্ত্রের রাজনীতিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ন্যায্য মর্যাদা পাচ্ছে না বলে মনে করেন অনেকে।
ভিন্নধর্মাবলম্বীদের ওপর আক্রমণ, ভূমি দখল, নারীর প্রতি সহিংসতা, এমনকি হত্যার মতো অনেক ঘটনাই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায় না বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসনের নির্লিপ্ততা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি আদিবাসীদের নিরাপত্তাকে আরও দুর্বল করে তুলছে। সমতলের আদিবাসীরা সংগঠিত না হওয়ায় তারা আরও বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ বহুত্ববাদী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে সেই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু অংশগ্রহণমূলক ও সমঅধিকারভিত্তিক সমাজ গড়ার সেই প্রতিশ্রুতি এখন বাস্তবতার সঙ্গে মেলে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।
আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি-অধিকার সুরক্ষায় সুস্পষ্ট নীতি থাকার কথা বলছেন অনেকে। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভূমি দখল, নিপীড়ন ও সহিংসতার প্রতিটি ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত-বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তায় আদিবাসীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ ও কার্যকর কর্মসূচি চালু করতে হবে।সমতল ও পাহাড়-উভয় অঞ্চলে আদিবাসী সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করার সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।