ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পেঁয়াজ আবাদের ভরা মৌসুমে যখন কৃষকের মাঠে সারের সবচেয়ে বেশি দরকার, ঠিক তখনই বাজারে সার “সোনার হরিণ” হয়ে গেছে। অথচ সরকারি হিসাবে নভেম্বর মাসে পর্যাপ্ত ডিএপি সার বরাদ্দ ছিল। বিপুল পরিমাণ সার এখনো মজুদ থাকার কথা। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কৃষকরা বলছেন, ডিলার, সাব-ডিলার এবং কৃষি বিভাগের কিছু অসৎ কর্মকর্তা মিলে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। সরকারি দরে মিলছে না সার। তারা বেশি দর দিয়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। চাষের মৌসুমে সার না পেয়ে কৃষকদের যে দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে, তার দায় কে নেবে? মাঠে যখন হাজারো কৃষক সার না পেয়ে হাহাকার করছেন। অথচ গোডাউনে শত শত বস্তা সার মজুদ রয়েছে।
ডিলারদের বক্তব্য কৃষি অফিসের বক্তব্যের সঙ্গে মেলে না। একজন বলছেন সার নেই, অন্যজন বলছেন প্রচুর সার মজুদ রয়েছে। এই অসঙ্গতি কেন সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। এর আগে অভিযান চালিয়ে সার উদ্ধার করা হয়েছে।
সারের সংকট হলে প্রান্তিক কৃষকেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। তারা সময়মতো জমিতে ডিএপি সার দিতে পারেননি, ফলে পেঁয়াজের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একজন কৃষক পাঁচ বিঘায় চাষ করেও সার পাননি। এমন দৃশ্য দেশের কৃষির বাস্তবতা তুলে ধরে। কৃষক পরিশ্রম করবে, সরকার ভর্তুকি দেবে, কিন্তু দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট পুরো ব্যবস্থাকে জিম্মি করে রাখবে-এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
এ ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া জরুরি। প্রয়োজতনে ডিলারশিপ বাতিল করতে হবে। অবৈধ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। কৃষকের কাছে সরকারি দামে সার পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পেঁয়াজ আবাদের ভরা মৌসুমে যখন কৃষকের মাঠে সারের সবচেয়ে বেশি দরকার, ঠিক তখনই বাজারে সার “সোনার হরিণ” হয়ে গেছে। অথচ সরকারি হিসাবে নভেম্বর মাসে পর্যাপ্ত ডিএপি সার বরাদ্দ ছিল। বিপুল পরিমাণ সার এখনো মজুদ থাকার কথা। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কৃষকরা বলছেন, ডিলার, সাব-ডিলার এবং কৃষি বিভাগের কিছু অসৎ কর্মকর্তা মিলে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। সরকারি দরে মিলছে না সার। তারা বেশি দর দিয়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। চাষের মৌসুমে সার না পেয়ে কৃষকদের যে দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে, তার দায় কে নেবে? মাঠে যখন হাজারো কৃষক সার না পেয়ে হাহাকার করছেন। অথচ গোডাউনে শত শত বস্তা সার মজুদ রয়েছে।
ডিলারদের বক্তব্য কৃষি অফিসের বক্তব্যের সঙ্গে মেলে না। একজন বলছেন সার নেই, অন্যজন বলছেন প্রচুর সার মজুদ রয়েছে। এই অসঙ্গতি কেন সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। এর আগে অভিযান চালিয়ে সার উদ্ধার করা হয়েছে।
সারের সংকট হলে প্রান্তিক কৃষকেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। তারা সময়মতো জমিতে ডিএপি সার দিতে পারেননি, ফলে পেঁয়াজের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একজন কৃষক পাঁচ বিঘায় চাষ করেও সার পাননি। এমন দৃশ্য দেশের কৃষির বাস্তবতা তুলে ধরে। কৃষক পরিশ্রম করবে, সরকার ভর্তুকি দেবে, কিন্তু দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট পুরো ব্যবস্থাকে জিম্মি করে রাখবে-এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
এ ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া জরুরি। প্রয়োজতনে ডিলারশিপ বাতিল করতে হবে। অবৈধ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। কৃষকের কাছে সরকারি দামে সার পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে।