alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সারের কৃত্রিম সংকট: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

: মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পেঁয়াজ আবাদের ভরা মৌসুমে যখন কৃষকের মাঠে সারের সবচেয়ে বেশি দরকার, ঠিক তখনই বাজারে সার “সোনার হরিণ” হয়ে গেছে। অথচ সরকারি হিসাবে নভেম্বর মাসে পর্যাপ্ত ডিএপি সার বরাদ্দ ছিল। বিপুল পরিমাণ সার এখনো মজুদ থাকার কথা। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কৃষকরা বলছেন, ডিলার, সাব-ডিলার এবং কৃষি বিভাগের কিছু অসৎ কর্মকর্তা মিলে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। সরকারি দরে মিলছে না সার। তারা বেশি দর দিয়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। চাষের মৌসুমে সার না পেয়ে কৃষকদের যে দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে, তার দায় কে নেবে? মাঠে যখন হাজারো কৃষক সার না পেয়ে হাহাকার করছেন। অথচ গোডাউনে শত শত বস্তা সার মজুদ রয়েছে।

ডিলারদের বক্তব্য কৃষি অফিসের বক্তব্যের সঙ্গে মেলে না। একজন বলছেন সার নেই, অন্যজন বলছেন প্রচুর সার মজুদ রয়েছে। এই অসঙ্গতি কেন সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। এর আগে অভিযান চালিয়ে সার উদ্ধার করা হয়েছে।

সারের সংকট হলে প্রান্তিক কৃষকেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। তারা সময়মতো জমিতে ডিএপি সার দিতে পারেননি, ফলে পেঁয়াজের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একজন কৃষক পাঁচ বিঘায় চাষ করেও সার পাননি। এমন দৃশ্য দেশের কৃষির বাস্তবতা তুলে ধরে। কৃষক পরিশ্রম করবে, সরকার ভর্তুকি দেবে, কিন্তু দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট পুরো ব্যবস্থাকে জিম্মি করে রাখবে-এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

এ ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া জরুরি। প্রয়োজতনে ডিলারশিপ বাতিল করতে হবে। অবৈধ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। কৃষকের কাছে সরকারি দামে সার পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রান্তিক আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

দুস্থ নারীদের অধিকার নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্য কাম্য নয়

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সারের কৃত্রিম সংকট: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পেঁয়াজ আবাদের ভরা মৌসুমে যখন কৃষকের মাঠে সারের সবচেয়ে বেশি দরকার, ঠিক তখনই বাজারে সার “সোনার হরিণ” হয়ে গেছে। অথচ সরকারি হিসাবে নভেম্বর মাসে পর্যাপ্ত ডিএপি সার বরাদ্দ ছিল। বিপুল পরিমাণ সার এখনো মজুদ থাকার কথা। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কৃষকরা বলছেন, ডিলার, সাব-ডিলার এবং কৃষি বিভাগের কিছু অসৎ কর্মকর্তা মিলে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। সরকারি দরে মিলছে না সার। তারা বেশি দর দিয়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। চাষের মৌসুমে সার না পেয়ে কৃষকদের যে দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে, তার দায় কে নেবে? মাঠে যখন হাজারো কৃষক সার না পেয়ে হাহাকার করছেন। অথচ গোডাউনে শত শত বস্তা সার মজুদ রয়েছে।

ডিলারদের বক্তব্য কৃষি অফিসের বক্তব্যের সঙ্গে মেলে না। একজন বলছেন সার নেই, অন্যজন বলছেন প্রচুর সার মজুদ রয়েছে। এই অসঙ্গতি কেন সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। এর আগে অভিযান চালিয়ে সার উদ্ধার করা হয়েছে।

সারের সংকট হলে প্রান্তিক কৃষকেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। তারা সময়মতো জমিতে ডিএপি সার দিতে পারেননি, ফলে পেঁয়াজের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একজন কৃষক পাঁচ বিঘায় চাষ করেও সার পাননি। এমন দৃশ্য দেশের কৃষির বাস্তবতা তুলে ধরে। কৃষক পরিশ্রম করবে, সরকার ভর্তুকি দেবে, কিন্তু দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট পুরো ব্যবস্থাকে জিম্মি করে রাখবে-এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

এ ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া জরুরি। প্রয়োজতনে ডিলারশিপ বাতিল করতে হবে। অবৈধ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। কৃষকের কাছে সরকারি দামে সার পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top