ঝিনাইদহের মহেশপুরে সেচ মোটর ও বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক রাতে ১১টি সেচ মোটর চুরি হয়েছে। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে একাধিক গ্রামের অন্তত ৫০টি মোটর খোয়া গেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সেচ মোটর ও বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তামার কয়েলের বাজারমূল্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে এসব সরঞ্জাম লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। দেশের অনেক স্থানেই এমন ঘটনা ঘটে। সেচ মৌসুমে এ ধরনের চুরি কৃষকের জন্য বড় সমস্যা তৈরি করে।
ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা সংশ্লিষ্টদের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক ঝুঁকি তৈরি করছে। নতুন ট্রান্সফরমার স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় স্থানীয় মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এবং কৃষিকাজে বিঘ্ন ঘটে। এসব ঘটনার তদন্ত ও প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সংস্থার ভূমিকা সব এলাকায় সমান নয়। জানা যায় কোথাও দ্রুত অভিযান চালিয়ে চক্র শনাক্ত করা হয়েছে। আবার দেশের কোথাও কোথাও জিডি করতে দেরি হওয়া বা চুরিকে ‘হারানো’ হিসেবে লিখতে বলার অভিযোগও পাওয়া যায়। এর ফলে তদন্তে বিলম্ব ঘটে। অপরাধীরা অন্যায় উৎসাহ পায়।
শিকল দিয়ে ট্রান্সফরমার বেঁধে রাখা, স্থানীয় পাহারা বা প্রচারপত্র বিতরণের মতো প্রচলিত উদ্যোগগুলো যথেষ্ট কার্যকর নয়। ট্রান্সফরমার বা সেচ মোটরের মতো মূল্যবান সরঞ্জাম সুরক্ষায় প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন অনেকে। অ্যালার্ম, অ্যান্টি-ট্যাম্পার ডিভাইস, বা নির্দিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নজরদারি ক্যামেরা স্থাপন করা যায় কিনা সেটা সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখতে হবে।
চুরি হওয়া সরঞ্জাম যেসব ভাঙারি দোকানের মাধ্যমে বাজারে প্রবেশ করে, তাদের ওপর নিয়মিত তদারকি করা দরকার। পল্লী বিদ্যুৎ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত নজরদারি চুরি প্রতিরোধ করতে পারে।