ময়মনসিংহের ভালুকায় আবাসিক এলাকা, প্রাথমিক বিদ্যালয়, সড়কের পাশে ১৫টি লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা গড়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, এসব ইটভাটার লাইসেন্স নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি। আধুনিক জিগজ্যাগ বা ক্লিন প্রযুক্তি নেই। ইটভাটার জ্বালানি সরবরাহের জন্য বনাঞ্চল থেকে অবৈধভাবে কাঠ কাটা হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনের জন্য দেশে আইন আছে। আইন স্পষ্ট বলে দেয় কোথায় ভাটা করা যাবে, কী প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে, কোন কোন দপ্তরের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক। প্রশ্ন হচ্ছে, ভালুকার ইটভাটাগুলো আইন মনে স্থাপন করা হয়েছে কিনা। আইনের ব্যতয় ঘটিয়ে তারা ভাটা গড়ে তুলল কীভাবে? আর প্রশাসনইবা তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে?
স্কুল, আবাসিক এলাকা, বনভূমি ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানের পাশে ইটভাটা স্থাপন করার সুযোগ নেই। কিন্তু পলাশতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঠিক পাশেই তিনটি ভাটা গড়ে উঠেছে, সেখান থেকে কালো ধোঁয়া ছড়াচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি, এলাকার কৃষিজমির ওপর প্রভাব, ফলজ ও বনজ গাছপালার ক্ষতি-এসব যেন কাউকেই ভাবাচ্ছে না।
অনিয়ম থামানোর জন্য যে তদারকি কাঠামো থাকার কথা। এই কাঠামো কি ভালুকায় রয়েছে? থাকলে তারা কী করছে? পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা জানা দরকার। নির্বিচারে গাছ কেটে ভাটার জ্বালানি বানানোর বিরুদ্ধে বন বিভাগের ভূমিকা কী?
কেবল ভালুকাতেই নয়, দেশের অনেক এলাকায় অবৈধ ইট ভাটার কারণে ফসলি জমি হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এই অরাজকতা বন্ধে এখনই শক্ত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। শুধু অভিযান চালিয়ে সাময়িকভাবে ভাটা বন্ধ করা যথেষ্ট নয়। আইন অনুযায়ী সকল লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। অবৈধভাবে টপসয়েল কাটা রোধে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। বনাঞ্চল থেকে কাঠ চুরি বন্ধে বিশেষ নজরদারি জোরদার করতে হবে। একই সাথে তদারকি কমিটিকে সক্রিয় ও জবাবদিহির আওতায় আনা জরুরি। তারা কার্যপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে কিনা, তা নিয়মিত মূল্যায়ন করতে হবে।
অর্থ-বাণিজ্য: রিজার্ভ ফের ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো
অর্থ-বাণিজ্য: স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১ হাজার ৫০ টাকা
অপরাধ ও দুর্নীতি: সাবেক মন্ত্রী গাজীসহ ৮জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা