টাঙ্গাইলের বাসাইলে দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে ৫০ শয্যার হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ২০০৬ সালে ভবন নির্মাণ শুরু হওয়ার পর ঠিকাদারি জটিলতা, আমলাতান্ত্রিক টানাপোড়েন এবং সিদ্ধান্তহীনতার কারণে কাজ থেমে যায়। এরপর এক দশকের বেশি সময় কেটে গেলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। অথচ এই সময়ের মধ্যে অসংখ্য প্রকল্প অনুমোদিত ও বাস্তবায়িত হয়েছে। দেশের সব উপজেলায় ৫০ শয্যার হাসপাতাল চালু হয়েছে। শুধু বাসাইলই থেকে গেছে অবহেলার তালিকায়। এ নিয়ে সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এ হাসপাতালের বাস্তবতা অত্যন্ত দুঃখজনক। অপারেশন থিয়েটার নেই, আধুনিক ল্যাব নেই, প্রয়োজনীয় কক্ষ নেই। যে কারণে সাধারণ কাটাছেঁড়ার রোগীও টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে রেফার্ড হতে বাধ্য। রোগীরা সময়, অর্থ ও স্বাস্থ্য-তিন দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বাসাইলের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু অবকাঠামো সংকটের কারণে সেই অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। চিকিৎসকরা সীমিত সুযোগ-সুবিধা নিয়েও সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু একসময় এসে সীমাবদ্ধতার দেয়ালে তারা আটকে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হলেও বাস্তব অগ্রগতি নেই।
একটি হাসপাতালের অবকাঠামো ১৯ বছর ধরে অসমাপ্ত পড়ে থাকা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের বিলম্ব শুধু উন্নয়ন ব্যয়ই বাড়ায় না, জনগণের স্বাস্থ্যসেবার প্রতি রাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। বাসাইলের মানুষ যে স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চনার কথা বলছেন, তা আর কোনো চিঠি-পত্রালাপ দিয়ে সমাধান হবে না। এখন প্রয়োজন জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণ করা। এক্ষেত্রে কোনো জটিলতা থাকলে তা আইনি বা প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। বাসাইলের মানুষ সেই দায়িত্ব থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত। এই পরিস্থিতি যত দ্রুত বদলানো যায়, ততই ভালো।
অর্থ-বাণিজ্য: রিজার্ভ ফের ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো
অর্থ-বাণিজ্য: স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১ হাজার ৫০ টাকা
অপরাধ ও দুর্নীতি: সাবেক মন্ত্রী গাজীসহ ৮জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা