ডেঙ্গু মোকাবিলায় চাই সমন্বিত পদক্ষেপ

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ প্রতিনিয়ত তীব্র রূপ নিচ্ছে। এ বছর এখন পর্যন্ত এক লাখের কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৪০০ অতিক্রম করেছে। ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর চাপ সবচেয়ে বেশি। চট্টগ্রামসহ অন্যান্য বিভাগেও সংক্রমণ কম নয়। এই তথ্য দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ ও মানুষকে নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জের দিকে ইঙ্গিত করছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নভেম্বরের ভারি বৃষ্টির কারণে এডিস মশা দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারছে, যা ডেঙ্গুর সংক্রমণকে আরও তীব্র করছে। তাছাড়া স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো মশা নিধন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির কাজে যথাযথভাবে সক্রিয় নয়।

ডেঙ্গু নতুন কোনো সমস্যা নয়। ২০০০ সালে ঢাকায় প্রথম ডেঙ্গু দেখা দেয়, তখন আক্রান্ত হয়েছিলেন সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ এবং মারা যান ৯৩ জন। পরবর্তীতে এ রোগের প্রকোপ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। সর্বাধিক সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছিল ২০২৩ সালে। সেবছর তিন লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হন, এক হাজার ৭০৫ জন প্রাণ হারান।

ডেঙ্গু শুধুই একটি মৌসুমী সমস্যা নয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি জনস্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ। এ অবস্থায় সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। মশা নিধন, আবাসিক এলাকা ও পানি জমে এমন স্থান পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন করা জরুরি। নাগরিকদের সচেতনতা বাড়ানো গেলে এর কার্যকর প্রতিরোধ করা সম্ভব। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে। তারা যথাযথভাবে পদক্ষেপ নিলে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানো সম্ভব।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রশাসন ও নাগরিকদের একসাথে কাজ করতে হবে। প্রতিটি শহর ও গ্রামে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালু রাখতে হবে।

সম্প্রতি