ফসলি জমি রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। আমাদের অন্নের জোগান আসে এই সবুজ ফসলের মাঠ থেকে। দুঃখের বিষয়, দিন দিন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা এরই জ্বলন্ত উদাহরণ। সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে প্রশাসনের কোনো অনুমতি ছাড়াই একটি পুকুর বালু দিয়ে ভরাট করে ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তা বলেছেন, কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।

আইন অনুযায়ী, ফসলি জমি ভরাট বা শ্রেণি পরিবর্তন করতে হলে প্রশাসনের অনুমতি লাগবে। কিন্তু সেখানে সেই নিয়মকে পুরোপুরি উপেক্ষা করা হচ্ছে। প্রথমে ফসলের জমি খুঁড়ে পুকুর বানানো হয়েছে। এখন আবার সেই পুকুর বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। জমিটিকে আবাসন বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার জন্য এমনটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ধরনের ঘটনা কেবল এই একটিই নয়। দেশের আরো অনেক স্থানে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়।

এ ধরনের অবৈধ কাজ যদি চলতে থাকে, তাহলে একের পর এক ফসলি জমি হারিয়ে যাবে। কৃষিজমির পরিমাণ কমে খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পাবে। এতে ভবিষ্যতে খাদ্য ঘাটতির মতো গুরুতর সংকট দেখা দিতে পারে।

সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তা বলেছেন, অবৈধ ভরাট হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ কথায় আশার আলো দেখা যাচ্ছে।

প্রশাসনের উচিত এখনই কঠোর নজরদারি বাড়ানো এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া। শুধু টঙ্গীবাড়ী নয়, সারা দেশেই ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর নীতি প্রয়োগ করতে হবে।

সম্প্রতি