নওগাঁর মহাদেবপুরে আত্রাই নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে নির্বিচারে বালু তোলা হচ্ছে। গত বছর স্থানীয়দের আন্দোলনের চাপে প্রশাসন এবার নদীর বালুমহাল ইজারা দেয়নি। এতে মনে হয়েছিল, অবৈধ বালু চুরি বন্ধ হবে। কিন্তুইজারা বন্ধ থাকলেও প্রকাশ্য দিবালোকে বালু ও মাটি লুট চলছে।
এনায়েতপুর ইউনিয়নের নুরপুর মৌজায় ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমি থেকে বালু তুলে ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসন জেনেশুনে চোখ বন্ধ করে দিয়ে সরকারি সম্পদ লুট করতে সাহায্য করছে। ফলে নদী বিপন্ন হচ্ছে, ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এখন নিজেরাই বালু লুটেরাদের প্রতিহত করতে নেমেছে। তারা মেশিন আটকে রাখা থেকে শুরু করে প্রতিবাদ। এ নিয়ে সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, বালু তোলার ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা কী। জনগণের সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব যাদের তারাই যদি লুটেরাদের পৃষ্ঠপোষক হন, তাহলে নদী বাঁচবে কীভাবে?
আত্রাই নদী শুধু একটা জলধারা নয়, এটা হাজারো মানুষের জীবিকা, কৃষি ও পরিবেশের ভিত্তি। অবৈধ বালু উত্তোলন নদীর গভীরতা বাড়িয়ে ভাঙন ডেকে আনে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যায়। এর দায় শুধু বালু লুটেরাদের নয়, প্রশাসনেরও।
আমরা বলতে চাই, অবিলম্বে অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করতে হবে। ভুয়া অনুমোদনের তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। নদী রক্ষায় কঠোর নজরদারি থাকতে হবে। নদী রক্ষা করা সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্ব।