গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, জমির দখলকারীরা ভুক্তভোগীদের হেনস্তা করছে, হুমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখলের অভিযোগ নতুন নয়। সব সরকার আমলেই এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। বিগত সরকার আমলেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আশা করা গিয়েছিল, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এই অবস্থার অবসান হবে। এ ধরনের দখলদারিত্বের অবসান হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, অবস্থার কি খুব একটা পরিবর্তন হয়েছে।
জমি দখল কেবল একটি গোষ্ঠীর স্বার্থের লিপ্সা নয়; এটি সামগ্রিকভাবে সমাজে বৈষম্য ও শক্তির অবৈধ প্রভাবের একটি চিত্র তুলে ধরে। আমরা জানতে চাইব, দীর্ঘদিন ধরে এমন অবৈধ দখল অব্যাহত থাকার কারণ কী? স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো যদি দ্রুত পদক্ষেপ নিত, তবে এ ধরনের দখলের ঘটনা ঘটতো না বা দখলের অবসান ঘটানো সম্ভব হত।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি রক্ষা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদেরকে দায়িত্বশীল হতে হবে। শুধু অভিযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় না থেকে উদ্যোগী হয়ে কাজ করা জরুরি। প্রয়োজন অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হলে এধরনের দখলদারিত্ব প্রতিরোধ করা সম্ভব। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উচিত, দখলদারিত্বের প্রশ্নে যেকোনো হুমকি বা জবরদস্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
গাইবান্ধায় জমি দখলের যে অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমরা আশা করতে চাই। পাশাপাশি দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
অর্থ-বাণিজ্য: অধিকাংশ শেয়ারে দাম বাড়লেও পতন থামেনি শেয়ারবাজারে