alt

সম্পাদকীয়

বেপরোয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করুন

: বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলেছে। বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের এসব নাগরিক বিভিন্ন ক্যাম্পে অর্থ লেনদেন ও ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ বছরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিরুদ্ধে ১২ ধরনের অপরাধে ৭৩১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে অস্ত্র, মাদক, মানব পাচার, ধর্ষণ, অপহরণ, ডাকাতি, হত্যা।

যতই দিন যাচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অপরাধ বাড়ছে। মানবিক চিন্তা থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হলেও তারা এখন নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক শ্রেণীর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কারণে সেখানকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, স্থানীয় জনগণের সঙ্গে বিরোধ ঘটছে। রোহিঙ্গাদের হামলায় স্থানীয়রা নিহত হয়েছেন। ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, এনজিও কর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন তাদের হামলায়। এখনই এদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।

প্রশ্ন হলো- শরণার্থী রোহিঙ্গারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে কেন? এর পেছনের কারণ কি? অভিযোগ রয়েছে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে রোহিঙ্গাদের কোন প্রশ্রয়দাতা আছে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে রোহিঙ্গাদের যারা উসকানি দিচ্ছে, যারা অস্ত্র ও মাদক সরবরাহ করছে, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে।

বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় শরণার্থীরা যে ক্যাম্পগুলোতে থাকে সেগুলো একটা সংরক্ষিত জায়গায় থাকে। চারদিকে বেড়া থাকে। কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে তেমন ব্যবস্থা নেই। এ কারণেই পাহাড়-বেষ্টিত এলাকায় রোহিঙ্গারা নির্বিঘ্নে যেখানে সেখানে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের অবশ্যই সংরক্ষিত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

বেপরোয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করুন

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলেছে। বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের এসব নাগরিক বিভিন্ন ক্যাম্পে অর্থ লেনদেন ও ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ বছরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিরুদ্ধে ১২ ধরনের অপরাধে ৭৩১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে অস্ত্র, মাদক, মানব পাচার, ধর্ষণ, অপহরণ, ডাকাতি, হত্যা।

যতই দিন যাচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অপরাধ বাড়ছে। মানবিক চিন্তা থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হলেও তারা এখন নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক শ্রেণীর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কারণে সেখানকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, স্থানীয় জনগণের সঙ্গে বিরোধ ঘটছে। রোহিঙ্গাদের হামলায় স্থানীয়রা নিহত হয়েছেন। ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, এনজিও কর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন তাদের হামলায়। এখনই এদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।

প্রশ্ন হলো- শরণার্থী রোহিঙ্গারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে কেন? এর পেছনের কারণ কি? অভিযোগ রয়েছে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে রোহিঙ্গাদের কোন প্রশ্রয়দাতা আছে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে রোহিঙ্গাদের যারা উসকানি দিচ্ছে, যারা অস্ত্র ও মাদক সরবরাহ করছে, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে।

বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় শরণার্থীরা যে ক্যাম্পগুলোতে থাকে সেগুলো একটা সংরক্ষিত জায়গায় থাকে। চারদিকে বেড়া থাকে। কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে তেমন ব্যবস্থা নেই। এ কারণেই পাহাড়-বেষ্টিত এলাকায় রোহিঙ্গারা নির্বিঘ্নে যেখানে সেখানে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের অবশ্যই সংরক্ষিত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে।

back to top