রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫ হাজার ৫১৭টি গভীর নলকূপের একটি বড় অংশের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছর পেরিয়েছে। সংস্কার ছাড়া এসব নলকূপের প্রায় ৪৩ শতাংশের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে, বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির গভীরতা অনেক নিচে নেমে গেছে। বহু সাধারণ নলকূপ ও সেচের গভীর নলকূপে এখন আর পানি খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক গভীর নলকূপ বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে ২০১৩ সালের পর থেকেই এ অঞ্চলে গভীর নলকূপ বসানোর অনুমোদন দিচ্ছে না কৃষি মন্ত্রণালয়। আবার সেচের কাজে ভূ-উপরিভাগের পানি ব্যবহারের সুযোগও যথেষ্ট পরিমাণে সৃষ্টি করা হয়নি। এতে খাবার পানি সংকটের পাশাপাশি কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এমনকি ভূগর্ভস্থ পানি না পাওয়ায় অনেক এলাকায় আবাদি জমি খালি ফেলে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক।
গভীর নলকূপগুলো যদি নষ্ট হয়ে যায় কিংবা সেচের জন্য অকার্যকর হয়ে যায় তাহলে সে অঞ্চলের শস্য উৎপাদন নিশ্চিতভাবেই বাধাপ্রাপ্ত হবে। প্রশ্ন হলো, পুরোনো নলকূপগুলো এতদিনেও কেন সংস্কার করা হয়নি? এক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অভিযোগ আছে। জানা গেছে, নলকূপ সংস্কারের ব্যাপারে বারবার আবেদন-নিবেদনের পরও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ মেলেনি। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা উচিত। যাদের গাফিলতির কারণে সমস্যার জট তৈরি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিশ্বের অনেক দেশেই আবহাওয়া, জলবায়ু, পানির প্রাপ্যতা প্রভৃতি বিবেচনায় নিয়ে ফসল আবাদে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। আমাদের এখানেও ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে হবে। সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো, টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানি যেহেতু অফুরন্ত নয়, তাই এর ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। উত্তর বঙ্গসহ অন্যান্য অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানি রক্ষা করতে হলে পানি কম প্রয়োজন হয় এমন ধরনের খাদ্যশস্য আবাদের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বৃষ্টি ও ভূপৃষ্ঠের পানি সংরক্ষণ করে সেচে ব্যবহার করা গেলে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে।
শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫ হাজার ৫১৭টি গভীর নলকূপের একটি বড় অংশের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছর পেরিয়েছে। সংস্কার ছাড়া এসব নলকূপের প্রায় ৪৩ শতাংশের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে, বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির গভীরতা অনেক নিচে নেমে গেছে। বহু সাধারণ নলকূপ ও সেচের গভীর নলকূপে এখন আর পানি খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক গভীর নলকূপ বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে ২০১৩ সালের পর থেকেই এ অঞ্চলে গভীর নলকূপ বসানোর অনুমোদন দিচ্ছে না কৃষি মন্ত্রণালয়। আবার সেচের কাজে ভূ-উপরিভাগের পানি ব্যবহারের সুযোগও যথেষ্ট পরিমাণে সৃষ্টি করা হয়নি। এতে খাবার পানি সংকটের পাশাপাশি কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এমনকি ভূগর্ভস্থ পানি না পাওয়ায় অনেক এলাকায় আবাদি জমি খালি ফেলে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক।
গভীর নলকূপগুলো যদি নষ্ট হয়ে যায় কিংবা সেচের জন্য অকার্যকর হয়ে যায় তাহলে সে অঞ্চলের শস্য উৎপাদন নিশ্চিতভাবেই বাধাপ্রাপ্ত হবে। প্রশ্ন হলো, পুরোনো নলকূপগুলো এতদিনেও কেন সংস্কার করা হয়নি? এক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অভিযোগ আছে। জানা গেছে, নলকূপ সংস্কারের ব্যাপারে বারবার আবেদন-নিবেদনের পরও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ মেলেনি। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা উচিত। যাদের গাফিলতির কারণে সমস্যার জট তৈরি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিশ্বের অনেক দেশেই আবহাওয়া, জলবায়ু, পানির প্রাপ্যতা প্রভৃতি বিবেচনায় নিয়ে ফসল আবাদে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। আমাদের এখানেও ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজাতে হবে। সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো, টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানি যেহেতু অফুরন্ত নয়, তাই এর ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। উত্তর বঙ্গসহ অন্যান্য অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানি রক্ষা করতে হলে পানি কম প্রয়োজন হয় এমন ধরনের খাদ্যশস্য আবাদের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বৃষ্টি ও ভূপৃষ্ঠের পানি সংরক্ষণ করে সেচে ব্যবহার করা গেলে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে।