alt

সম্পাদকীয়

রানা প্লাজা ধস : বিচারের জন্য আর কত অপেক্ষা

: শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১

বহুল আলোচিত রানা প্লাজা ধসের আট বছর পূর্ণ হলো গত শনিবার। ২০১৩ সালের এই দিনে আট তলা ভবন ধসে নিহত হন ১ হাজার ১৩৮ জন। আহত হন আরও প্রায় ২ হাজার। আট বছর পার হলেও এ ঘটনায় দায়ীদের এখনো বিচার হয়নি।

রানা প্লাজা ধসের বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়ার বিষয়টি হতাশাজনক। দুর্ঘটনার পর নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তবে শ্রমিকদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টিতে অগ্রগতি খুব একটা হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে গার্মেন্টস কারখানা খুলে এত শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের কারও এখনও শাস্তি হয়নি। রহস্যজনক কারণে তাজরিন, স্পেকট্রামসহ আলোচিত অন্যান্য কারখানার অগ্নিকান্ড কিংবা ভবন ধসের ঘটনাতেও আজ পর্যন্ত কোনো মালিক শাস্তি পাননি। এটা মনে রাখা উচিত, এসব ঘটনা কোন দুর্ঘটনা নয়, অমার্জনীয় অপরাধ। এ জন্য দোষীদের ফৌজদারি অপরাধের যেমন বিচার হতে হবে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

এ ধরনের বড় দুর্ঘটনায় যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, তা অনেক সময় স্বল্পকালে বোঝা যায় না। দীর্ঘকালীন প্রেক্ষাপটে সে ধরনের প্রতিক্রিয়াগুলো ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। যদি পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের সমস্যার সমাধান না হয় তা আরও প্রকট হতে থাকে। যে শ্রমিকরা আহত হয়েছিলেন, তারা যদি উপযুক্ত চিকিৎসা পেতেন এবং সুস্থ হয়ে আগের মতো কর্মক্ষম হতে পারতেন, তাহলে পরিবারে এবং সমাজে তাদের যে আগের মূল্য ছিল, তা তারা ফিরে পেতেন।

এটা দুঃখজনক যে, দুর্ঘটনার শিকার শ্রমিকের জন্য যে উদ্যোগ নেয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল, তার গতি কমে গেছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা ছিল। তারপরও এর আইনি ভিত্তি তৈরি হয়নি। রানা প্লাজা ধসের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি ওই ধসে নিহত শ্রমিকদের অসহায় পরিবারের কথা ভুলে গেলে চলবে না। আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া যাতে যথাযথভাবে হয় সেদিকে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি দিতে হবে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা ছিল তা বাস্তবায়নে তৎপর হতে হবে।

শ্রম ইস্যুতে নিরাপত্তা ও শাসন ব্যবস্থায় উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে আর এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন আনতে হবে। পাশাপাশি কারখানাগুলোয় শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্য নিরাপত্তার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। ক্ষতিপূরণ আইন স্বচ্ছভাবে তৈরি করা প্রয়োজন। কারখানায় সুন্দর কর্মপরিবেশ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি তৈরি করার জন্য ট্রেড ইউনিয়ন, মালিক ও সরকারপক্ষ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

রানা প্লাজা ধস : বিচারের জন্য আর কত অপেক্ষা

শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১

বহুল আলোচিত রানা প্লাজা ধসের আট বছর পূর্ণ হলো গত শনিবার। ২০১৩ সালের এই দিনে আট তলা ভবন ধসে নিহত হন ১ হাজার ১৩৮ জন। আহত হন আরও প্রায় ২ হাজার। আট বছর পার হলেও এ ঘটনায় দায়ীদের এখনো বিচার হয়নি।

রানা প্লাজা ধসের বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়ার বিষয়টি হতাশাজনক। দুর্ঘটনার পর নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। তবে শ্রমিকদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টিতে অগ্রগতি খুব একটা হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে গার্মেন্টস কারখানা খুলে এত শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের কারও এখনও শাস্তি হয়নি। রহস্যজনক কারণে তাজরিন, স্পেকট্রামসহ আলোচিত অন্যান্য কারখানার অগ্নিকান্ড কিংবা ভবন ধসের ঘটনাতেও আজ পর্যন্ত কোনো মালিক শাস্তি পাননি। এটা মনে রাখা উচিত, এসব ঘটনা কোন দুর্ঘটনা নয়, অমার্জনীয় অপরাধ। এ জন্য দোষীদের ফৌজদারি অপরাধের যেমন বিচার হতে হবে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

এ ধরনের বড় দুর্ঘটনায় যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, তা অনেক সময় স্বল্পকালে বোঝা যায় না। দীর্ঘকালীন প্রেক্ষাপটে সে ধরনের প্রতিক্রিয়াগুলো ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। যদি পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের সমস্যার সমাধান না হয় তা আরও প্রকট হতে থাকে। যে শ্রমিকরা আহত হয়েছিলেন, তারা যদি উপযুক্ত চিকিৎসা পেতেন এবং সুস্থ হয়ে আগের মতো কর্মক্ষম হতে পারতেন, তাহলে পরিবারে এবং সমাজে তাদের যে আগের মূল্য ছিল, তা তারা ফিরে পেতেন।

এটা দুঃখজনক যে, দুর্ঘটনার শিকার শ্রমিকের জন্য যে উদ্যোগ নেয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল, তার গতি কমে গেছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা ছিল। তারপরও এর আইনি ভিত্তি তৈরি হয়নি। রানা প্লাজা ধসের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি ওই ধসে নিহত শ্রমিকদের অসহায় পরিবারের কথা ভুলে গেলে চলবে না। আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া যাতে যথাযথভাবে হয় সেদিকে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি দিতে হবে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা ছিল তা বাস্তবায়নে তৎপর হতে হবে।

শ্রম ইস্যুতে নিরাপত্তা ও শাসন ব্যবস্থায় উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে আর এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন আনতে হবে। পাশাপাশি কারখানাগুলোয় শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্য নিরাপত্তার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। ক্ষতিপূরণ আইন স্বচ্ছভাবে তৈরি করা প্রয়োজন। কারখানায় সুন্দর কর্মপরিবেশ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি তৈরি করার জন্য ট্রেড ইউনিয়ন, মালিক ও সরকারপক্ষ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

back to top