alt

সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চাই সচেতনতা

: রোববার, ০২ মে ২০২১

করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে এপ্রিল মাসে ৪৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৮ জন নিহত ও ৫০৭ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিধিনিষেধ চলাকালে দেশে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম। মানুষের চলাচল সীমিত করতে বন্ধ রাখা হয়েছিল গণপরিবহন। ব্যক্তিগত গাড়িও চলেছে তুলনামূলক কম। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ হয়নি। বন্ধ হয়নি সড়কে মৃত্যুর মিছিল। বিষয়টি উদ্বেগজনক।

আমাদের দেশে কী কী কারণে এত বেশি সড়ক দুঘটনা ঘটে, কী কী পদক্ষেপ নিলে দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনা সম্ভব- এসব বহুল আলোচিত বিষয়। অনেক গবেষণা হয়েছে, বিশেষজ্ঞদের বহু পরামর্শ আছে। তবে এর তেমন কিছুই কার্যকর হয়নি। বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) এক গবেষণা অনুযায়ী, দেশে ৫৩ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য। চালকদের বেপরোয়া মনোভাবের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে ৩৭ শতাংশ। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, ভুয়া লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালক ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো বন্ধ করা হলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কমতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ উদ্যোগ নেই। আইনের প্রয়োগ সন্তোষজনক নয়। সড়ক দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত চালকদের সাজা ভোগের নজিরও দেখা যায় না।

প্রশ্ন হলো, এ পরিস্থিতির উত্তরণ হবে কী করে? সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসের লক্ষ্যে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালক এবং পরিবহন মালিকদের শাস্তি নিশ্চিত করা প্রথম কাজ। গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর মানসিক সক্ষমতা নেই দেশের অধিকাংশ চালকের। কাজেই বাহ্যিক প্রশিক্ষণ দিয়ে এ সমস্যার সমাধান হবে না। চালকদের মনোভঙ্গিতে যেন ইতিবাচক পরিবর্তন আসে সেদিকে নজর দিতে হবে।

রাস্তার বাঁকগুলো সোজা করতে হবে। ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলপারদের দিয়ে গাড়ি চালানো, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে। রাষ্ট্রকে উপলব্ধি করতে হবে যে, এটা একটা জাতীয় সমস্যা। সরকারের পাশাপাশি পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সচেষ্ট হতে হবে। পথচারী ও যাত্রী সাধারণের সচেতনতাও বাড়াতে হবে।

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

tab

সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চাই সচেতনতা

রোববার, ০২ মে ২০২১

করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে এপ্রিল মাসে ৪৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৮ জন নিহত ও ৫০৭ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিধিনিষেধ চলাকালে দেশে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম। মানুষের চলাচল সীমিত করতে বন্ধ রাখা হয়েছিল গণপরিবহন। ব্যক্তিগত গাড়িও চলেছে তুলনামূলক কম। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ হয়নি। বন্ধ হয়নি সড়কে মৃত্যুর মিছিল। বিষয়টি উদ্বেগজনক।

আমাদের দেশে কী কী কারণে এত বেশি সড়ক দুঘটনা ঘটে, কী কী পদক্ষেপ নিলে দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনা সম্ভব- এসব বহুল আলোচিত বিষয়। অনেক গবেষণা হয়েছে, বিশেষজ্ঞদের বহু পরামর্শ আছে। তবে এর তেমন কিছুই কার্যকর হয়নি। বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) এক গবেষণা অনুযায়ী, দেশে ৫৩ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য। চালকদের বেপরোয়া মনোভাবের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে ৩৭ শতাংশ। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, ভুয়া লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালক ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো বন্ধ করা হলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কমতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ উদ্যোগ নেই। আইনের প্রয়োগ সন্তোষজনক নয়। সড়ক দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত চালকদের সাজা ভোগের নজিরও দেখা যায় না।

প্রশ্ন হলো, এ পরিস্থিতির উত্তরণ হবে কী করে? সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসের লক্ষ্যে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালক এবং পরিবহন মালিকদের শাস্তি নিশ্চিত করা প্রথম কাজ। গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর মানসিক সক্ষমতা নেই দেশের অধিকাংশ চালকের। কাজেই বাহ্যিক প্রশিক্ষণ দিয়ে এ সমস্যার সমাধান হবে না। চালকদের মনোভঙ্গিতে যেন ইতিবাচক পরিবর্তন আসে সেদিকে নজর দিতে হবে।

রাস্তার বাঁকগুলো সোজা করতে হবে। ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলপারদের দিয়ে গাড়ি চালানো, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে। রাষ্ট্রকে উপলব্ধি করতে হবে যে, এটা একটা জাতীয় সমস্যা। সরকারের পাশাপাশি পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সচেষ্ট হতে হবে। পথচারী ও যাত্রী সাধারণের সচেতনতাও বাড়াতে হবে।

back to top