alt

সম্পাদকীয়

বেসরকারি শিক্ষকদের কথা ভাবতে হবে

: বুধবার, ০৫ মে ২০২১

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে না আছে কোন আয়, না পাচ্ছেন কোন সহায়তা। অবর্ণনীয় অসহায়ত্বের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। ঈদ বা উৎসব উদযাপনের কথা ভাবছেন না তারা। পরিবার-পরিজনের নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাবেন কিভাবে সেই চিন্তায় তারা দিশেহারা।

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর মার্চে সরকারি আদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর তাদের কপালে দুশ্চিন্তার যে ভাঁজ ফেলেছে তা দূর হয়নি আজও। তাদের মানবেতর জীবনের কথা প্রায়ই পত্রিকায় প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ পায়। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের কেউ তাদের অসহায়ত্ব দূর করার উদ্যোগ নেয়নি।

দেশে প্রায় ৬০ হাজার কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে প্রায় ৮ লাখ থেকে ১০ লাখ শিক্ষক রয়েছেন। এসব শিক্ষক চরম বিপাকে পড়েছেন। মহামারীর কারণে ৩৭ হাজারেরও বেশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের দুই লাখেরও বেশি নন-এমপিও শিক্ষক সংকটে পড়েছেন।

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের তুলনায় বেসরকারি ও নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থা বরাবরই খারাপ। কিন্ডারগার্টেন, বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা এবং কারিগরি অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন খুবই সামান্য। নিয়মিত শিক্ষাদানের পাশাপাশি অনেকেই এ জন্য বাধ্য হয়ে টিউশনি করেন। কিন্তু মহামারী তাদের বিকল্প আয়ের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ আরও তীব্র হওয়ায় তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা চরম আকার ধারণ করেছে।

বেসরকারি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন শিক্ষাদানের মাধ্যমে নিয়মিত আয় করলেও শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বকেয়া রাখছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কাউকে এ অভিযোগের সুরাহা করতে দেখা যায়নি।

শিক্ষকদের চরম সংকট দূর করতে সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্দশাগ্রস্ত শিক্ষকদের একটি তালিকা করে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। শিক্ষকদের আর্থিক প্রণোদনা দেয়া যায় কিনা সেটি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

বেসরকারি শিক্ষকদের কথা ভাবতে হবে

বুধবার, ০৫ মে ২০২১

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে না আছে কোন আয়, না পাচ্ছেন কোন সহায়তা। অবর্ণনীয় অসহায়ত্বের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। ঈদ বা উৎসব উদযাপনের কথা ভাবছেন না তারা। পরিবার-পরিজনের নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাবেন কিভাবে সেই চিন্তায় তারা দিশেহারা।

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর মার্চে সরকারি আদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর তাদের কপালে দুশ্চিন্তার যে ভাঁজ ফেলেছে তা দূর হয়নি আজও। তাদের মানবেতর জীবনের কথা প্রায়ই পত্রিকায় প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ পায়। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের কেউ তাদের অসহায়ত্ব দূর করার উদ্যোগ নেয়নি।

দেশে প্রায় ৬০ হাজার কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে প্রায় ৮ লাখ থেকে ১০ লাখ শিক্ষক রয়েছেন। এসব শিক্ষক চরম বিপাকে পড়েছেন। মহামারীর কারণে ৩৭ হাজারেরও বেশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের দুই লাখেরও বেশি নন-এমপিও শিক্ষক সংকটে পড়েছেন।

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের তুলনায় বেসরকারি ও নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থা বরাবরই খারাপ। কিন্ডারগার্টেন, বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা এবং কারিগরি অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন খুবই সামান্য। নিয়মিত শিক্ষাদানের পাশাপাশি অনেকেই এ জন্য বাধ্য হয়ে টিউশনি করেন। কিন্তু মহামারী তাদের বিকল্প আয়ের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ আরও তীব্র হওয়ায় তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা চরম আকার ধারণ করেছে।

বেসরকারি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন শিক্ষাদানের মাধ্যমে নিয়মিত আয় করলেও শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বকেয়া রাখছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কাউকে এ অভিযোগের সুরাহা করতে দেখা যায়নি।

শিক্ষকদের চরম সংকট দূর করতে সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্দশাগ্রস্ত শিক্ষকদের একটি তালিকা করে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। শিক্ষকদের আর্থিক প্রণোদনা দেয়া যায় কিনা সেটি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে।

back to top