মহামারী করোনার কারণে দেশের বেশিরভাগ মানুষের আয় কমে গেছে। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাওয়া-পরার খরচের টাকার জোগান হয়নি নিম্ন আয়ের অন্তত ৮৬ শতাংশ মানুষের। ৬২ শতাংশ মানুষ কোন না কোনভাবে কাজ হারিয়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই কাজ হারিয়েছেন গত বছরের এপ্রিল-মে মাসে। বেসরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, করোনার অভিঘাতে দেশের আর্থসামাজিক কাঠামোর সীমাবদ্ধতা বেড়েছে। কাজ হারানো অনেকে কাজ ফিরে পেলেও তাদের আয় কমে গেছে। জীবন চালিয়ে নিতে মধ্যবিত্তরা সঞ্চয়ে হাত দিতে বাধ্য হয়েছেন। পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ কমেছে অনেকের। স্কুল থেকে ঝরে পড়ার সংখ্যাও বাড়ছে। এতদিন যারা নিম্নমধ্যবিত্ত ছিল করোনার প্রকোপে তাদের অনেকেই দরিদ্র শ্রেণীতে পরিণত হয়েছে। করোনার সংকটে সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষ করে যারা অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করতেন কিংবা ছোটখাটো ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। করোনার চেয়েও জীবিকা নিয়ে তারা বেশি বিচলিত।
এ অবস্থায় সরকারের উচিত দরিদ্র মানুষের সহায়তায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া। কাজ হারানো মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। জীবন রক্ষায় বিধিনিষেধ মেনেই অর্থনীতির চাকা যত দ্রুত সম্ভব সচল করা দরকার, যাতে কাজ হারানো মানুষগুলো ফের কাজে যোগ দিতে পারেন।
গত বছর সরকার ৫০ লাখ পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল। কিন্তু সুষ্ঠু তালিকার অভাবে সবাই সেই সুবিধা পাননি। শেষ পর্যন্ত ৩৬ লাখ পরিবার এ সহায়তা পেয়েছে। এ বছরও সরকার ৩৬ লাখ পরিবারকে সমপরিমাণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেও আমরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এক্ষেত্রে অবশ্যই অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সময়মতো অসহায় মানুষের কাছে সহায়তার অর্থ পৌঁছে দিতে হবে। মধ্যবিত্তদের স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে। যারা কর্মহীন তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব মানুষকে যদি মহামারিজনিত আর্থিক সঙ্কট থেকে উদ্ধার করা না যায় তবে কোনও ধরণের প্রবৃদ্ধি দিয়েই লাভ হবে না।
বৃহস্পতিবার, ০৬ মে ২০২১
মহামারী করোনার কারণে দেশের বেশিরভাগ মানুষের আয় কমে গেছে। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাওয়া-পরার খরচের টাকার জোগান হয়নি নিম্ন আয়ের অন্তত ৮৬ শতাংশ মানুষের। ৬২ শতাংশ মানুষ কোন না কোনভাবে কাজ হারিয়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই কাজ হারিয়েছেন গত বছরের এপ্রিল-মে মাসে। বেসরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, করোনার অভিঘাতে দেশের আর্থসামাজিক কাঠামোর সীমাবদ্ধতা বেড়েছে। কাজ হারানো অনেকে কাজ ফিরে পেলেও তাদের আয় কমে গেছে। জীবন চালিয়ে নিতে মধ্যবিত্তরা সঞ্চয়ে হাত দিতে বাধ্য হয়েছেন। পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ কমেছে অনেকের। স্কুল থেকে ঝরে পড়ার সংখ্যাও বাড়ছে। এতদিন যারা নিম্নমধ্যবিত্ত ছিল করোনার প্রকোপে তাদের অনেকেই দরিদ্র শ্রেণীতে পরিণত হয়েছে। করোনার সংকটে সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষ করে যারা অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করতেন কিংবা ছোটখাটো ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। করোনার চেয়েও জীবিকা নিয়ে তারা বেশি বিচলিত।
এ অবস্থায় সরকারের উচিত দরিদ্র মানুষের সহায়তায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া। কাজ হারানো মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। জীবন রক্ষায় বিধিনিষেধ মেনেই অর্থনীতির চাকা যত দ্রুত সম্ভব সচল করা দরকার, যাতে কাজ হারানো মানুষগুলো ফের কাজে যোগ দিতে পারেন।
গত বছর সরকার ৫০ লাখ পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল। কিন্তু সুষ্ঠু তালিকার অভাবে সবাই সেই সুবিধা পাননি। শেষ পর্যন্ত ৩৬ লাখ পরিবার এ সহায়তা পেয়েছে। এ বছরও সরকার ৩৬ লাখ পরিবারকে সমপরিমাণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেও আমরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এক্ষেত্রে অবশ্যই অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সময়মতো অসহায় মানুষের কাছে সহায়তার অর্থ পৌঁছে দিতে হবে। মধ্যবিত্তদের স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে। যারা কর্মহীন তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব মানুষকে যদি মহামারিজনিত আর্থিক সঙ্কট থেকে উদ্ধার করা না যায় তবে কোনও ধরণের প্রবৃদ্ধি দিয়েই লাভ হবে না।