alt

মতামত » সম্পাদকীয়

উপকূলীয় অঞ্চলে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হোক

: শনিবার, ২৯ মে ২০২১

দেশের উপকূলীয় এলাকায় সাড়ে ৮ হাজার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ষাটের দশকে এসব বাঁধ তৈরি হয়েছিল। বছর বছর ঘূর্ণিঝড়ের তা-বে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু কখনই বাঁধগুলো সঠিকভাবে মেরামত করা হয়নি। ফলে প্রতি বছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে লবণ-পানি প্রবেশ করে।

উপকূলে টেকসই ও উঁচু বেড়িবাঁধের দাবি অনেক পুরনো। ঘূর্ণিঝড় সামনে এলেই এ দাবি ওঠে। আর দুর্যোগে বাঁধের ক্ষতি হলে দাবি আরও জোরালো হয়। কিন্তু এসব দাবি সংশ্লিষ্টরা শোনে কিনা তা নিয়েই সংশয়। বাঁধ ভেঙে গেলে জোড়াতালি দিয়ে সেটা মেরামত করা আর আশ্বাসের বাণী শোনানো ছাড়া তাদের যেন আর করার কিছুই নেই।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে যতটা না ক্ষতি হয়েছে, বাঁধ ভেঙে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপকূলীয় মানুষের। একটি ঝড়ের রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আঘাত হানে আরেকটি ঝড় বা জলোচ্ছ্বাস। ফলে বারবার তারা নিঃস্ব হয়। অভিযোগ রয়েছে, অতীতে বেড়িবাঁধ সংস্কার, নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ সবকিছুতেই স্থানীয় জনগণের মতামত উপেক্ষিত হয়েছে। প্রতি বছর বেড়িবাঁধ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও টেকসই বেড়িবাঁধ হয়নি। অথচ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে বেড়িবাঁধের ওপর। বাঁধের ক্ষতি হলে সবকিছু ভেসে যায়। তাই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর তারা ত্রাণ চাননি বরং টেকসই বাঁধ নির্মাণের কথা বলেছেন। আমরাও চাই, এবার অন্তত তাদের কথা শোনা হোক, তাদের দাবি বিবেচনা করা হোক। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টায় টেকসই বাঁধ নির্মাণের কর্মযজ্ঞ শুরু হোক।

উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের পানি থেকে রক্ষার জন্য আগের বেড়িবাঁধগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। এসব বাঁধ মাটি দিয়ে তৈরি। তাই তুলনামূলকভাবে দুর্বল ও নিচু। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলোচ্ছ্বাস ও সুনামি ঠেকানোর জন্য জাপানসহ বিভিন্ন দেশে সমুদ্রের তীরে ৩০-৪০ ফুট লম্বা দেয়াল তৈরি করা হয়। এ কারণে এসব বাঁধ ঘূর্ণিঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাস ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। আমাদের দেশেও সে ধরনের টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা যায়। এর জন্য সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। বাঁধ নির্মাণে যেন কোন অনিয়ম না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

উপকূলীয় অঞ্চলে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হোক

শনিবার, ২৯ মে ২০২১

দেশের উপকূলীয় এলাকায় সাড়ে ৮ হাজার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ষাটের দশকে এসব বাঁধ তৈরি হয়েছিল। বছর বছর ঘূর্ণিঝড়ের তা-বে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু কখনই বাঁধগুলো সঠিকভাবে মেরামত করা হয়নি। ফলে প্রতি বছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে লবণ-পানি প্রবেশ করে।

উপকূলে টেকসই ও উঁচু বেড়িবাঁধের দাবি অনেক পুরনো। ঘূর্ণিঝড় সামনে এলেই এ দাবি ওঠে। আর দুর্যোগে বাঁধের ক্ষতি হলে দাবি আরও জোরালো হয়। কিন্তু এসব দাবি সংশ্লিষ্টরা শোনে কিনা তা নিয়েই সংশয়। বাঁধ ভেঙে গেলে জোড়াতালি দিয়ে সেটা মেরামত করা আর আশ্বাসের বাণী শোনানো ছাড়া তাদের যেন আর করার কিছুই নেই।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে যতটা না ক্ষতি হয়েছে, বাঁধ ভেঙে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপকূলীয় মানুষের। একটি ঝড়ের রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আঘাত হানে আরেকটি ঝড় বা জলোচ্ছ্বাস। ফলে বারবার তারা নিঃস্ব হয়। অভিযোগ রয়েছে, অতীতে বেড়িবাঁধ সংস্কার, নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ সবকিছুতেই স্থানীয় জনগণের মতামত উপেক্ষিত হয়েছে। প্রতি বছর বেড়িবাঁধ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও টেকসই বেড়িবাঁধ হয়নি। অথচ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে বেড়িবাঁধের ওপর। বাঁধের ক্ষতি হলে সবকিছু ভেসে যায়। তাই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর তারা ত্রাণ চাননি বরং টেকসই বাঁধ নির্মাণের কথা বলেছেন। আমরাও চাই, এবার অন্তত তাদের কথা শোনা হোক, তাদের দাবি বিবেচনা করা হোক। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টায় টেকসই বাঁধ নির্মাণের কর্মযজ্ঞ শুরু হোক।

উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের পানি থেকে রক্ষার জন্য আগের বেড়িবাঁধগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। এসব বাঁধ মাটি দিয়ে তৈরি। তাই তুলনামূলকভাবে দুর্বল ও নিচু। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলোচ্ছ্বাস ও সুনামি ঠেকানোর জন্য জাপানসহ বিভিন্ন দেশে সমুদ্রের তীরে ৩০-৪০ ফুট লম্বা দেয়াল তৈরি করা হয়। এ কারণে এসব বাঁধ ঘূর্ণিঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাস ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। আমাদের দেশেও সে ধরনের টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা যায়। এর জন্য সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। বাঁধ নির্মাণে যেন কোন অনিয়ম না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

back to top