রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পিজেএসসি গাজপ্রম দেশের ১০টি গ্যাসকূপ খননের দায়িত্ব পেয়েছিল ২০১২ সালে। খননের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে কূপ প্রতি গড়ে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল। তাদের খনন করা পাঁচটি কূপ বালু আর পানি উঠে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বন্ধ হওয়া কূপগুলোকে গ্যাস উত্তোলনের উপযোগী করার দায়িত্ব তখন নিতে হয়েছিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে (বাপেক্স)। কূপ খননে বাপেক্সের খরচ হয় ৬০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ কোটি টাকা।
বাড়তি খরচ আর তিক্ত-অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও গাজপ্রমকে টার্ন-কি পদ্ধতিতে ভোলার তিনটি গ্যাসকূপ খননের কাজ দেয়া হলো। এজন্য তাদের দেয়া হবে প্রায় ৬৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বাপেক্সকে পাশ কাটিয়ে আবারও গাজপ্রমকে বাড়তি ব্যয়ে কাজ দেয়া হল সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা যে হিসাব দিয়েছেন তাতে, বাপেক্স কূপ খননের কাজ পেলে রাষ্ট্রের ব্যয় কমত ৪০০ কোটি টাকারও বেশি।
কূপ খননে বাপেক্সের অভিজ্ঞতা বা সাফল্য কম নয়। আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী, পাঁচটি কূপ খনন করে একটিতে গ্যাস পাওয়াকেই সাফল্য বলে ধরা হয়। বাপেক্স এ পর্যন্ত কূপ খনন করেছে ১২টি যার ৭টিতে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। ভোলা গ্যাসক্ষেত্র বাপেক্সেরই আবিষ্কার। ২০০৯ সাল থেকে সংস্থাটি ভোলায় গ্যাস উত্তোলন করছে। সম্প্রতি শ্রীকাইলে নিজস্ব জনবল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংস্থাটি সফলভাবে ঝুঁকিপূর্ণ (উচ্চচাপ) গ্যাসকূপ ওয়ার্কওভার করেছে।
সক্ষমতা আছে, অভিজ্ঞতা আছে, সাফল্য আছে খরচও কম- তারপরও বাপেক্সকে কেন কাজ দেয়া হলো না সেটা এক রহস্য। অভিযোগ রয়েছে, চড়া দামে ভিনদেশী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া গেলে স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠীর কমিশন বাণিজ্যে সুবিধা হয়। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখা জরুরি। কারণ বিদেশি কোম্পানিকে দেয়া চড়া মূল্যের ভার শেষ পর্যন্ত জনগণকেই বহন করতে হয়।
মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পিজেএসসি গাজপ্রম দেশের ১০টি গ্যাসকূপ খননের দায়িত্ব পেয়েছিল ২০১২ সালে। খননের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে কূপ প্রতি গড়ে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল। তাদের খনন করা পাঁচটি কূপ বালু আর পানি উঠে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বন্ধ হওয়া কূপগুলোকে গ্যাস উত্তোলনের উপযোগী করার দায়িত্ব তখন নিতে হয়েছিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে (বাপেক্স)। কূপ খননে বাপেক্সের খরচ হয় ৬০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ কোটি টাকা।
বাড়তি খরচ আর তিক্ত-অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও গাজপ্রমকে টার্ন-কি পদ্ধতিতে ভোলার তিনটি গ্যাসকূপ খননের কাজ দেয়া হলো। এজন্য তাদের দেয়া হবে প্রায় ৬৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বাপেক্সকে পাশ কাটিয়ে আবারও গাজপ্রমকে বাড়তি ব্যয়ে কাজ দেয়া হল সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা যে হিসাব দিয়েছেন তাতে, বাপেক্স কূপ খননের কাজ পেলে রাষ্ট্রের ব্যয় কমত ৪০০ কোটি টাকারও বেশি।
কূপ খননে বাপেক্সের অভিজ্ঞতা বা সাফল্য কম নয়। আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী, পাঁচটি কূপ খনন করে একটিতে গ্যাস পাওয়াকেই সাফল্য বলে ধরা হয়। বাপেক্স এ পর্যন্ত কূপ খনন করেছে ১২টি যার ৭টিতে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। ভোলা গ্যাসক্ষেত্র বাপেক্সেরই আবিষ্কার। ২০০৯ সাল থেকে সংস্থাটি ভোলায় গ্যাস উত্তোলন করছে। সম্প্রতি শ্রীকাইলে নিজস্ব জনবল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংস্থাটি সফলভাবে ঝুঁকিপূর্ণ (উচ্চচাপ) গ্যাসকূপ ওয়ার্কওভার করেছে।
সক্ষমতা আছে, অভিজ্ঞতা আছে, সাফল্য আছে খরচও কম- তারপরও বাপেক্সকে কেন কাজ দেয়া হলো না সেটা এক রহস্য। অভিযোগ রয়েছে, চড়া দামে ভিনদেশী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া গেলে স্বার্থান্বেষী একটি গোষ্ঠীর কমিশন বাণিজ্যে সুবিধা হয়। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখা জরুরি। কারণ বিদেশি কোম্পানিকে দেয়া চড়া মূল্যের ভার শেষ পর্যন্ত জনগণকেই বহন করতে হয়।