alt

সম্পাদকীয়

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণার বিহিত করুন

: রোববার, ০৬ জুন ২০২১

সমবায় সমিতিতে যারা সদস্য হন তাদের বড় একটি অংশই নিম্নবিত্ত। একটু মুনাফার আশায় শ্রমে-ঘামে অর্জিত টাকার একটি অংশ তারা সঞ্চয় করেন। তারা ভাবেন, নির্ধারিত মেয়াদ শেষে লাভসহ আমানতের টাকা ফেরত পাওয়া গেলে জীবনের কোন না কোন স্বপ্ন পূরণ হবে। তুলনামূলক বেশি মুনাফা পাওয়ার কথা শুনলে অবস্থাপন্ন মানুষও সমিতিতে টাকা রাখেন। প্রত্যাশিত মুনাফা পাওয়া তো দূরে থাক, কোন সমিতি যখন আমানতের টাকাই আত্মসাৎ করে তখন এসব মানুষের আশায় ‘গুড়েবালি’ পড়ে, অনেকে সর্বস্বান্ত হন।

দেশে প্রায়ই সমিতির অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। রোববার প্রকাশিত সংবাদ-এর একটি প্রতিবেদন থেকে এমনই এক ঘটনার কথা জানা গেছে। ‘এহসান গ্রুপ পিরোজপুর বাংলাদেশ’ নামক একটি সমবায় সমিতি দশ হাজার গ্রাহকের ৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে জানা গেছে। উক্ত সমিতি ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী সমিতি পরিচালনা ও বেশি মুনাফা দেয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করত।

সমিতির সদস্যদের বড় একটি অংশই নারী। ধর্মীয় রীতিতে সমিতি পরিচালিত হচ্ছে- এমন কথা শুনে ধর্মভীরু অনেক মানুষও তার সদস্য হন, সেখানে টাকা জমা রাখেন। সদস্যদের অসহায়ত্ব আর সরলতার সুযোগ নেয় সমিতির কর্তাব্যক্তিরা। তারা অনেক সময় বেশি মুনাফা দেয়ার প্রলোভন দিয়েও আমানত সংগ্রহ করে। পরে সুযোগ বুঝে টাকা আত্মসাৎ করে পাততাড়ি গুটিয়ে ফেলে। অতীতে দেশে বড় ধরনের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। সমিতির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি সদস্যদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। দেশে বিভিন্ন সময় এ ধরনের অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে গবেষণাও হয়েছে। সমবায় অধিদপ্তরে এ সংক্রান্ত অভিযোগ প্রায়ই জমা হয়। কিন্তু অর্থ আত্মসাতের ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না। সমবায় সমিতির কার্যক্রম মনিটর করা বা অডিট করার দায়িত্ব সমবায় অধিদপ্তরের। দায়িত্ব পালনে তাদের কোন ঘাটতি আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।

অর্থ আত্মসাতের ঘটনার বিহিত করা না হলে সমবায় সমিতির প্রতি সাধারণ মানুষের মধ্যে অনাস্থা তৈরি হতে পারে। সমবায় সমিতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে স্বল্প পুঁজির মানুষ যাবে কোথায় সেটাও একটা সমস্যা। সমবায় সমিতির প্রতি মানুষের যেন অনাস্থা তৈরি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে। সমিতিগুলোর কার্যক্রম নিয়মিত মনিটর করতে হবে, অডিট করতে হবে। সমিতির ব্যবস্থাপনায় সৎ লোক থাকা অত্যন্ত জরুরি। সমিতির অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। এ বার্তাটা দেয়া জরুরি যে, সমিতির সদস্যদের টাকা আত্মসাৎ করে কেউ পার পাবে না। সাধারণ সদস্যদের টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন বেশি মুনাফার প্রলোভনে পা না বাড়ান সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

tab

সম্পাদকীয়

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণার বিহিত করুন

রোববার, ০৬ জুন ২০২১

সমবায় সমিতিতে যারা সদস্য হন তাদের বড় একটি অংশই নিম্নবিত্ত। একটু মুনাফার আশায় শ্রমে-ঘামে অর্জিত টাকার একটি অংশ তারা সঞ্চয় করেন। তারা ভাবেন, নির্ধারিত মেয়াদ শেষে লাভসহ আমানতের টাকা ফেরত পাওয়া গেলে জীবনের কোন না কোন স্বপ্ন পূরণ হবে। তুলনামূলক বেশি মুনাফা পাওয়ার কথা শুনলে অবস্থাপন্ন মানুষও সমিতিতে টাকা রাখেন। প্রত্যাশিত মুনাফা পাওয়া তো দূরে থাক, কোন সমিতি যখন আমানতের টাকাই আত্মসাৎ করে তখন এসব মানুষের আশায় ‘গুড়েবালি’ পড়ে, অনেকে সর্বস্বান্ত হন।

দেশে প্রায়ই সমিতির অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। রোববার প্রকাশিত সংবাদ-এর একটি প্রতিবেদন থেকে এমনই এক ঘটনার কথা জানা গেছে। ‘এহসান গ্রুপ পিরোজপুর বাংলাদেশ’ নামক একটি সমবায় সমিতি দশ হাজার গ্রাহকের ৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে জানা গেছে। উক্ত সমিতি ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী সমিতি পরিচালনা ও বেশি মুনাফা দেয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করত।

সমিতির সদস্যদের বড় একটি অংশই নারী। ধর্মীয় রীতিতে সমিতি পরিচালিত হচ্ছে- এমন কথা শুনে ধর্মভীরু অনেক মানুষও তার সদস্য হন, সেখানে টাকা জমা রাখেন। সদস্যদের অসহায়ত্ব আর সরলতার সুযোগ নেয় সমিতির কর্তাব্যক্তিরা। তারা অনেক সময় বেশি মুনাফা দেয়ার প্রলোভন দিয়েও আমানত সংগ্রহ করে। পরে সুযোগ বুঝে টাকা আত্মসাৎ করে পাততাড়ি গুটিয়ে ফেলে। অতীতে দেশে বড় ধরনের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। সমিতির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি সদস্যদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। দেশে বিভিন্ন সময় এ ধরনের অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে গবেষণাও হয়েছে। সমবায় অধিদপ্তরে এ সংক্রান্ত অভিযোগ প্রায়ই জমা হয়। কিন্তু অর্থ আত্মসাতের ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না। সমবায় সমিতির কার্যক্রম মনিটর করা বা অডিট করার দায়িত্ব সমবায় অধিদপ্তরের। দায়িত্ব পালনে তাদের কোন ঘাটতি আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে।

অর্থ আত্মসাতের ঘটনার বিহিত করা না হলে সমবায় সমিতির প্রতি সাধারণ মানুষের মধ্যে অনাস্থা তৈরি হতে পারে। সমবায় সমিতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে স্বল্প পুঁজির মানুষ যাবে কোথায় সেটাও একটা সমস্যা। সমবায় সমিতির প্রতি মানুষের যেন অনাস্থা তৈরি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে। সমিতিগুলোর কার্যক্রম নিয়মিত মনিটর করতে হবে, অডিট করতে হবে। সমিতির ব্যবস্থাপনায় সৎ লোক থাকা অত্যন্ত জরুরি। সমিতির অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। এ বার্তাটা দেয়া জরুরি যে, সমিতির সদস্যদের টাকা আত্মসাৎ করে কেউ পার পাবে না। সাধারণ সদস্যদের টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন বেশি মুনাফার প্রলোভনে পা না বাড়ান সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

back to top