alt

সম্পাদকীয়

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে হয়রানি বন্ধ করুন

: রোববার, ১৩ জুন ২০২১

জন্ম নিবন্ধন করা ও এর সনদ পাওয়া নাগরিকের অধিকার। পাসপোর্ট করা, বিয়ে নিবন্ধন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, জমি রেজিস্ট্রেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য নাগরিকদের জন্ম সনদ প্রয়োজন। সনদের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি আছে। কিন্তু অনেক স্থানেই সনদ পেতে নাগরিকদের নির্ধারিত ফি’র চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা দিতে হচ্ছে, পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অনলাইন জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নাগরিকরা। সেখানে সরকার নির্ধরিত ফি’র চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দিয়েও সময়মতো পাওয়া যাচ্ছে না জন্ম নিবন্ধন সনদ। উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউপি সেন্টারের তথ্যসেবা কেন্দ্রগুলো সরকারের নির্ধারিত ফি আদায়ের নির্দেশনা মানছে না। তথ্যসেবা কেন্দ্রগুলো ২৫-৫০ টাকার নিবন্ধন ফি ৩০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে।

শুধু চট্টগ্রামেই যে হয়রানি হচ্ছে তা নয়, নাগরিক হয়রানির এমন চিত্র দেশের সব জায়গাতেই দেখা যায়। শুধু জন্মনিবন্ধন নয়, অন্যান্য নাগরিক সেবা পেতেও হয়রানির শিকার হতে হয়। একাধিক কর্তৃপক্ষের অধীনে ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম-মৃত্যুর সনদ, অবকাঠামো নির্মাণের অনুমতি, কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণের ছাড়পত্রসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ রয়েছে। এসব ক্ষেত্রেও নাগরিকরা নানাভাবে হয়রানি আর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কিন্তু নাগরিকদের দুর্ভোগ দূর করতে জোরালো কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।

সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের একশ্রেণীর কর্মকর্তা এবং কর্মচারী সেবার নামে কীভাবে জনগণের পকেট কাটা যায় সেই ফিকির করেন। বাড়তি ফি বা উপড়ি নিয়েও অনেক সময় সেবাদানে গড়িমসি করেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে জন্ম নিবন্ধনের নতুন নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন থাকা বাধ্যতামূলক। আাবার উভয়ের জন্ম নিবন্ধন একই ভাষায় থাকতে হবে। একজনের বাংলা আর অন্যজনের ইংরেজি থাকলে আবেদনই করা যায় না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের সব নাগরিককে জন্ম নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য এ নিয়ম করা হয়েছে। তবে এ নিয়মের কারণে অনেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন। ২০১০ সাল থেকে অনলাইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু সনদ দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হয়। এর আগে করা হাতে লেখা সনদগুলো হালনাগাদ করা হয়নি। সে কারণে অনেককে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সার্ভার জটিলতার কারণে প্রতি বছরের শুরুতে জন্ম নিবন্ধন করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নাগরিকরা।

জন্ম নিবন্ধন ও এর সনদ পাওয়ার ক্ষেত্রে নাগরিকদের সব দুর্ভোগ ও ভোগান্তির অবসান ঘটুক সেটা আমাদের দাবি। এ কাজে সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধ করতে হবে। সেবা দিতে হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। বেশি ফি কারা নিচ্ছে সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করতে যদি কারিগরি সমস্যা দেখা দেয় তা দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে হয়রানি বন্ধ করুন

রোববার, ১৩ জুন ২০২১

জন্ম নিবন্ধন করা ও এর সনদ পাওয়া নাগরিকের অধিকার। পাসপোর্ট করা, বিয়ে নিবন্ধন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, জমি রেজিস্ট্রেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য নাগরিকদের জন্ম সনদ প্রয়োজন। সনদের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি আছে। কিন্তু অনেক স্থানেই সনদ পেতে নাগরিকদের নির্ধারিত ফি’র চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা দিতে হচ্ছে, পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অনলাইন জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নাগরিকরা। সেখানে সরকার নির্ধরিত ফি’র চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দিয়েও সময়মতো পাওয়া যাচ্ছে না জন্ম নিবন্ধন সনদ। উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউপি সেন্টারের তথ্যসেবা কেন্দ্রগুলো সরকারের নির্ধারিত ফি আদায়ের নির্দেশনা মানছে না। তথ্যসেবা কেন্দ্রগুলো ২৫-৫০ টাকার নিবন্ধন ফি ৩০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে।

শুধু চট্টগ্রামেই যে হয়রানি হচ্ছে তা নয়, নাগরিক হয়রানির এমন চিত্র দেশের সব জায়গাতেই দেখা যায়। শুধু জন্মনিবন্ধন নয়, অন্যান্য নাগরিক সেবা পেতেও হয়রানির শিকার হতে হয়। একাধিক কর্তৃপক্ষের অধীনে ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম-মৃত্যুর সনদ, অবকাঠামো নির্মাণের অনুমতি, কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণের ছাড়পত্রসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ রয়েছে। এসব ক্ষেত্রেও নাগরিকরা নানাভাবে হয়রানি আর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কিন্তু নাগরিকদের দুর্ভোগ দূর করতে জোরালো কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।

সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের একশ্রেণীর কর্মকর্তা এবং কর্মচারী সেবার নামে কীভাবে জনগণের পকেট কাটা যায় সেই ফিকির করেন। বাড়তি ফি বা উপড়ি নিয়েও অনেক সময় সেবাদানে গড়িমসি করেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে জন্ম নিবন্ধনের নতুন নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন থাকা বাধ্যতামূলক। আাবার উভয়ের জন্ম নিবন্ধন একই ভাষায় থাকতে হবে। একজনের বাংলা আর অন্যজনের ইংরেজি থাকলে আবেদনই করা যায় না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের সব নাগরিককে জন্ম নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য এ নিয়ম করা হয়েছে। তবে এ নিয়মের কারণে অনেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন। ২০১০ সাল থেকে অনলাইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু সনদ দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হয়। এর আগে করা হাতে লেখা সনদগুলো হালনাগাদ করা হয়নি। সে কারণে অনেককে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সার্ভার জটিলতার কারণে প্রতি বছরের শুরুতে জন্ম নিবন্ধন করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন নাগরিকরা।

জন্ম নিবন্ধন ও এর সনদ পাওয়ার ক্ষেত্রে নাগরিকদের সব দুর্ভোগ ও ভোগান্তির অবসান ঘটুক সেটা আমাদের দাবি। এ কাজে সরকার নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধ করতে হবে। সেবা দিতে হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। বেশি ফি কারা নিচ্ছে সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করতে যদি কারিগরি সমস্যা দেখা দেয় তা দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top