alt

সম্পাদকীয়

জলাবদ্ধতা থেকে ফতুল্লাবাসীকে মুক্তি দিন

: বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী হয়ে আছেন হাজারও মানুষ। জলাবদ্ধতায় তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যতদিন বৃষ্টি থাকবে ততদিন তাদের পানিবন্দী থাকতে হবে। গত কয়েক বছর ধরে সেখানকার বাসিন্দাদের এমন অভিজ্ঞতাই হচ্ছে।

ফতুল্লার পশ্চিম দিকে বুড়িগঙ্গা। তাছাড়া এ এলাকার মধ্য দিয়ে অসংখ্য খাল প্রবাহিত হয়েছে। এক সময় এসব খাল দিয়ে প্রতিনিয়ত নৌকা চলাচল করত এবং সহজে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতো। কিন্তু অব্যবস্থাপনা, দূষণ ও দখলে অধিকাংশ খাল মৃতপ্রায়। বাকিগুলো অস্তিত্বহীন হয়ে গেছে। এলাকাগুলো নিচু হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো কাজে আসছে না। তাছাড়া ফতুল্লার ওইসব এলাকা ডিএনডি বাঁধের মধ্যে হলেও চলমান প্রকল্পে সব এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাই বৃষ্টির দিনে পানি জমলে তা আর নিষ্কাশন হয় না।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত কয়েকদিনে ভারি বর্ষণে সেখানকার পৌষার পুকুর পাড়, দক্ষিণ সস্তাপুর, সেহাচর ও ইসদাইরসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার রাস্তায় কোথাও হাঁটু বা কোমরপানি থাকায় নৌকায় করে বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। বৃষ্টির পানির সঙ্গে কলকারখানার বিষক্ত পানি ও বর্জ্য এবং বাসাবাড়ির পয়োবর্জ্য মিশে একাকার হয়ে আছে। ফলে পরিবেশের মারাত্মক দূষণসহ প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আর বাসিন্দাদের তো দুরবস্থার শেষ নেই।

পানি নিষ্কাশনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে পাম্প বসানো হয়েছে তা যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার জন্য তাও বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। এরপর স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে আরও তিনিটি পাম্প বসানো হয়েছে এবং তা চালানোর জন্য এলাকা থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদাও তোলা হয়। এর পরেও সেখানকার পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব হচ্ছে না। একটি এলাকায় হাজার হাজার মানুষ নির্দিষ্ট একটি মৌসুমে জলাবদ্ধ হয়ে থাকছেন। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তারা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে পাম্প বসিয়েছেন, চাঁদা তুলে সেগুলোর ব্যয় মেটাচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, সেখানে স্থানীয় জানপ্রতিনিধি ও প্রশাসন আছে কী করতে। জনদুর্ভোগ লাঘবে তাদের কোন দায়-দায়িত্ব আছে কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব।

আমরা ফতুল্লার বাসিন্দাদের দুর্ভোগের অবসান চাই। এজন্য জলাবদ্ধ এলাকা থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। বন্ধ হওয়া পাম্পগুলো চালু করতে হবে। প্রয়োজনে নতুন পাম্প বসাতে হবে। তবে পাম্প বসানো কোন স্থায়ী সমাধান নয়। দখল হওয়া খালগুলো উদ্ধার করা ও নিয়মিত সংস্কার করা জরুরি। সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

জলাবদ্ধতা থেকে ফতুল্লাবাসীকে মুক্তি দিন

বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী হয়ে আছেন হাজারও মানুষ। জলাবদ্ধতায় তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যতদিন বৃষ্টি থাকবে ততদিন তাদের পানিবন্দী থাকতে হবে। গত কয়েক বছর ধরে সেখানকার বাসিন্দাদের এমন অভিজ্ঞতাই হচ্ছে।

ফতুল্লার পশ্চিম দিকে বুড়িগঙ্গা। তাছাড়া এ এলাকার মধ্য দিয়ে অসংখ্য খাল প্রবাহিত হয়েছে। এক সময় এসব খাল দিয়ে প্রতিনিয়ত নৌকা চলাচল করত এবং সহজে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতো। কিন্তু অব্যবস্থাপনা, দূষণ ও দখলে অধিকাংশ খাল মৃতপ্রায়। বাকিগুলো অস্তিত্বহীন হয়ে গেছে। এলাকাগুলো নিচু হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো কাজে আসছে না। তাছাড়া ফতুল্লার ওইসব এলাকা ডিএনডি বাঁধের মধ্যে হলেও চলমান প্রকল্পে সব এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাই বৃষ্টির দিনে পানি জমলে তা আর নিষ্কাশন হয় না।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত কয়েকদিনে ভারি বর্ষণে সেখানকার পৌষার পুকুর পাড়, দক্ষিণ সস্তাপুর, সেহাচর ও ইসদাইরসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার রাস্তায় কোথাও হাঁটু বা কোমরপানি থাকায় নৌকায় করে বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। বৃষ্টির পানির সঙ্গে কলকারখানার বিষক্ত পানি ও বর্জ্য এবং বাসাবাড়ির পয়োবর্জ্য মিশে একাকার হয়ে আছে। ফলে পরিবেশের মারাত্মক দূষণসহ প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আর বাসিন্দাদের তো দুরবস্থার শেষ নেই।

পানি নিষ্কাশনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে পাম্প বসানো হয়েছে তা যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার জন্য তাও বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে। এরপর স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে আরও তিনিটি পাম্প বসানো হয়েছে এবং তা চালানোর জন্য এলাকা থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদাও তোলা হয়। এর পরেও সেখানকার পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব হচ্ছে না। একটি এলাকায় হাজার হাজার মানুষ নির্দিষ্ট একটি মৌসুমে জলাবদ্ধ হয়ে থাকছেন। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তারা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে পাম্প বসিয়েছেন, চাঁদা তুলে সেগুলোর ব্যয় মেটাচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, সেখানে স্থানীয় জানপ্রতিনিধি ও প্রশাসন আছে কী করতে। জনদুর্ভোগ লাঘবে তাদের কোন দায়-দায়িত্ব আছে কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব।

আমরা ফতুল্লার বাসিন্দাদের দুর্ভোগের অবসান চাই। এজন্য জলাবদ্ধ এলাকা থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। বন্ধ হওয়া পাম্পগুলো চালু করতে হবে। প্রয়োজনে নতুন পাম্প বসাতে হবে। তবে পাম্প বসানো কোন স্থায়ী সমাধান নয়। দখল হওয়া খালগুলো উদ্ধার করা ও নিয়মিত সংস্কার করা জরুরি। সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

back to top