alt

সম্পাদকীয়

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

: শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকান্ডে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরসহ (ডিআইএফই) সরকারের নজরদারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কারাখানার ভেতর পর্যাপ্ত স্থান, আলো-বাতাস, নিরাপত্তা, যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক রাখার স্থান, ওঠানামার প্রশস্ত সিঁড়ি, জরুরি বহির্গমনের সিঁড়ি ইত্যাদি ঠিক আছে কিনা-তা দেখভাল করার দায়িত্ব ডিআইএফই’র। এগুলোর ঘাটতি থাকলে অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট কারখানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। হাসেম ফুডস কারখানায় আগুন লাগার পর একটি মামলা করা হয়েছে। এর আগে গত ৩০ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর শ্রম আইনের ৯টি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে দন্ডবিধির তিনটি ধারায় উক্ত কারখানার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছিল।

অভিযোগ রয়েছে, লোকবল ও আনুষঙ্গিক সংকটের অজুহাতে তারা বেশিরভাগ সময়ই শিল্পকারখানা পরিদর্শন করে না। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর অনুসন্ধানী পরিদর্শন এক প্রকার বন্ধ রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুধু করোনা সুরক্ষাসামগ্রী এবং মজুরি নিয়মিত কিনা-এ দুই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়।

নিয়মিত পরিদর্শনে গিয়ে শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা এবং শ্রমজীবীর আইনগত অধিকার, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব ডিআইএফইর। অভিযোগ রয়েছে, পরিদর্শনে গেলেও প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিরা কারখানার এসব নিশ্চিত করার চেয়ে নিজের পকেট ভারি করার কাজে ব্যস্ত থাকেন বেশি। ডিআইএফইসহ সরকারের নজরদারি প্রতিষ্ঠানগুলো টাকা খেয়ে ভুয়া সনদ দেয়ায় এমন দুর্বল অবকাঠামো নিয়ে কারখানাটি বছরের পর বছর কাজ চালিয়ে এসেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

দেশে গত দুই দশকে দ্রুত শিল্পায়ন হয়েছে, সেই তুলনায় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি হয়নি। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সরকার বা নজরদারি কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে, তাদের অনিয়ম সামনে আসে। চিরাচরিতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একে অপরের ওপর দোষ চাপায়, নিজেদের অনিয়মের কথা অস্বীকার করে। কর্তব্যের কথা বললে তারা নানা ঘাটতি ও সমস্যার ফিরিস্তি তুলে ধরে। তখন অজুহাত দেখায় লোকবল কম, সক্ষমতার অভাব, সব জায়গায় অফিস নেই ইত্যাদি।

রূপগঞ্জে অগ্নিকান্ডের দায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কোনভাবেই এড়াতে পারে না। দুর্ঘটনার আগেই তাদের প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা বা বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়ার দরকার ছিল। এত দুর্বলতা ও দায়িত্ব অবহেলা করে কীভাবে প্রতিষ্ঠানটি এত দিন চলল, সেটা খতিয়ে দেখা উচিত। ডিআইএফই-র বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেগুলো যদি সত্য হয়; তাহলে জনবল ও সক্ষমতা বাড়িয়ে কী লাভ হবে? এখন তাদের যতটুক সক্ষমতা আছে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করে কাজ করুক।

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

tab

সম্পাদকীয়

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকান্ডে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরসহ (ডিআইএফই) সরকারের নজরদারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

কারাখানার ভেতর পর্যাপ্ত স্থান, আলো-বাতাস, নিরাপত্তা, যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক রাখার স্থান, ওঠানামার প্রশস্ত সিঁড়ি, জরুরি বহির্গমনের সিঁড়ি ইত্যাদি ঠিক আছে কিনা-তা দেখভাল করার দায়িত্ব ডিআইএফই’র। এগুলোর ঘাটতি থাকলে অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট কারখানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। হাসেম ফুডস কারখানায় আগুন লাগার পর একটি মামলা করা হয়েছে। এর আগে গত ৩০ জুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর শ্রম আইনের ৯টি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে দন্ডবিধির তিনটি ধারায় উক্ত কারখানার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছিল।

অভিযোগ রয়েছে, লোকবল ও আনুষঙ্গিক সংকটের অজুহাতে তারা বেশিরভাগ সময়ই শিল্পকারখানা পরিদর্শন করে না। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর অনুসন্ধানী পরিদর্শন এক প্রকার বন্ধ রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুধু করোনা সুরক্ষাসামগ্রী এবং মজুরি নিয়মিত কিনা-এ দুই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়।

নিয়মিত পরিদর্শনে গিয়ে শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা এবং শ্রমজীবীর আইনগত অধিকার, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব ডিআইএফইর। অভিযোগ রয়েছে, পরিদর্শনে গেলেও প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিরা কারখানার এসব নিশ্চিত করার চেয়ে নিজের পকেট ভারি করার কাজে ব্যস্ত থাকেন বেশি। ডিআইএফইসহ সরকারের নজরদারি প্রতিষ্ঠানগুলো টাকা খেয়ে ভুয়া সনদ দেয়ায় এমন দুর্বল অবকাঠামো নিয়ে কারখানাটি বছরের পর বছর কাজ চালিয়ে এসেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

দেশে গত দুই দশকে দ্রুত শিল্পায়ন হয়েছে, সেই তুলনায় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি হয়নি। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সরকার বা নজরদারি কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে, তাদের অনিয়ম সামনে আসে। চিরাচরিতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একে অপরের ওপর দোষ চাপায়, নিজেদের অনিয়মের কথা অস্বীকার করে। কর্তব্যের কথা বললে তারা নানা ঘাটতি ও সমস্যার ফিরিস্তি তুলে ধরে। তখন অজুহাত দেখায় লোকবল কম, সক্ষমতার অভাব, সব জায়গায় অফিস নেই ইত্যাদি।

রূপগঞ্জে অগ্নিকান্ডের দায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কোনভাবেই এড়াতে পারে না। দুর্ঘটনার আগেই তাদের প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা বা বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়ার দরকার ছিল। এত দুর্বলতা ও দায়িত্ব অবহেলা করে কীভাবে প্রতিষ্ঠানটি এত দিন চলল, সেটা খতিয়ে দেখা উচিত। ডিআইএফই-র বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেগুলো যদি সত্য হয়; তাহলে জনবল ও সক্ষমতা বাড়িয়ে কী লাভ হবে? এখন তাদের যতটুক সক্ষমতা আছে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করে কাজ করুক।

back to top