করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই দুই শতাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করছে, সংক্রমিত হচ্ছে ১০ হাজারের বেশি। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও কোরবানির পশুর হাটে স্থাস্থ্যবিধির মানা হচ্ছে না। পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করা যাবে কি না-এ নিয়ে আশঙ্কা ছিল। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল-কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করার চেষ্টা করছে না। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। হ্যান্ড স্যানিটাইজের কথা সবাই ভুলেই গেছে।
হাটের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট-সংখ্যক ক্রেতা প্রবেশ করবে, বাকিরা বাইরে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অপেক্ষা করবে-এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। অনেক হাটের নির্দিষ্ট কোন সীমানা বা সুরক্ষিত এলাকা নেই। বিক্রেতাদের যেখানে খুশি সেখানে বসছে, ক্রেতাও যাচ্ছে। ইজাদারদের যেসব স্বাস্থ্যবিধির শর্ত দিয়ে হাট ইজারা দেয়া হয়েছিল সেসবের ধারে-কাছেও নেই তারা।
কোরবানির হাটে একটা কাজই শুধু ঠিকমতো করা হচ্ছে-মাইকিং। মাইকিং করে পশু কেনা-বেচার শর্তগুলো ঠিকই বলা হচ্ছে। কিন্তু সেসব কথা কারও কানে যাচ্ছে বলে মনে হয় না। ক্রেতা-বিক্রেতা কারও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন গরজ নাই। কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সেটা মানানোর বা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কোন কর্তৃপক্ষ আছে বলে মনে হয় না।
এভাবে চলতে থাকলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা নিযন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ঈদের পরে দুই সপ্তাহ কঠোর লকডাইন বা টিকা দিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যাবে। কারণ অনেক দেশকেই টিকা দেয়ার পরও করোনার দ্বিতীয় বা তৃতীয় ঢেউ সামাল দিতে ভীষণ বেগ পেতে হয়েছে। তাদের অনেক সময় লেগেছে, বহু প্রাণ ক্ষয় হয়েছে। আমরা চাই না বাংলাদেশও তেমন পরিস্থিতির শিকার হোক, মহাবিপর্যয়ে পড়–ক।
এখনও সময় আছে, সবাইকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিয়মকানুন মেনে করোনা প্রতিরোধ করাই হবে তুলনামূলকভাবে ভালো পথ। পশুর হাটসহ সব জায়গায় যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় সেজন্য সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে, সবাইকে সচেতন করতে হবে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাকে সেটা মানানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই দুই শতাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করছে, সংক্রমিত হচ্ছে ১০ হাজারের বেশি। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও কোরবানির পশুর হাটে স্থাস্থ্যবিধির মানা হচ্ছে না। পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করা যাবে কি না-এ নিয়ে আশঙ্কা ছিল। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল-কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করার চেষ্টা করছে না। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। হ্যান্ড স্যানিটাইজের কথা সবাই ভুলেই গেছে।
হাটের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট-সংখ্যক ক্রেতা প্রবেশ করবে, বাকিরা বাইরে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অপেক্ষা করবে-এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। অনেক হাটের নির্দিষ্ট কোন সীমানা বা সুরক্ষিত এলাকা নেই। বিক্রেতাদের যেখানে খুশি সেখানে বসছে, ক্রেতাও যাচ্ছে। ইজাদারদের যেসব স্বাস্থ্যবিধির শর্ত দিয়ে হাট ইজারা দেয়া হয়েছিল সেসবের ধারে-কাছেও নেই তারা।
কোরবানির হাটে একটা কাজই শুধু ঠিকমতো করা হচ্ছে-মাইকিং। মাইকিং করে পশু কেনা-বেচার শর্তগুলো ঠিকই বলা হচ্ছে। কিন্তু সেসব কথা কারও কানে যাচ্ছে বলে মনে হয় না। ক্রেতা-বিক্রেতা কারও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন গরজ নাই। কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সেটা মানানোর বা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কোন কর্তৃপক্ষ আছে বলে মনে হয় না।
এভাবে চলতে থাকলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা নিযন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ঈদের পরে দুই সপ্তাহ কঠোর লকডাইন বা টিকা দিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যাবে। কারণ অনেক দেশকেই টিকা দেয়ার পরও করোনার দ্বিতীয় বা তৃতীয় ঢেউ সামাল দিতে ভীষণ বেগ পেতে হয়েছে। তাদের অনেক সময় লেগেছে, বহু প্রাণ ক্ষয় হয়েছে। আমরা চাই না বাংলাদেশও তেমন পরিস্থিতির শিকার হোক, মহাবিপর্যয়ে পড়–ক।
এখনও সময় আছে, সবাইকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিয়মকানুন মেনে করোনা প্রতিরোধ করাই হবে তুলনামূলকভাবে ভালো পথ। পশুর হাটসহ সব জায়গায় যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় সেজন্য সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে, সবাইকে সচেতন করতে হবে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাকে সেটা মানানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।