alt

সম্পাদকীয়

প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের কী প্রয়োজন

: বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১

শিক্ষানীতিতে নেই। কিন্তু নির্বাহী আদেশে নেয়া হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি)। নতুন অনুমোদিত শিক্ষাক্রমেও বলা হয়নি পিইসি পরীক্ষার কথা। শিক্ষাবিদরা এ পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বারবার। অভিভাবকরাও চাচ্ছেন পরীক্ষা নামক এই অত্যাচার থেকে শিশুরা মুক্তি পাক। পিইসি পরীক্ষা নামক এই বোঝা কমানোর দাবি উঠেছে আরও আগে থেকেই। তা সত্ত্বেও ‘প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড’ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোর্ড গঠন করতে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২১-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রণালয়। ২৫ নভেম্বরের মধ্যে খসড়ার বিষয়ে কারও কোন মতামত বা সুপারিশ থাকলে তা জানাতে বলা হয়েছে। গত রোববার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ খসড়া প্রকাশ করা হয়।

উন্নত জাতি গড়তে হলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হবে। আর দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে ২০১০ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে সরকার। সেখানে পঞ্চম শ্রেণী শেষে উপজেলা, পৌরসভা বা থানা পর্যায়ে সবার জন্য অভিন্ন প্রশ্নপত্রে সমাপনী পরীক্ষা নেয়ার কথা বলা হলেও জাতীয়ভাবে পরীক্ষা নেয়ার কথা নেই। তাছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পিইসি ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি) রাখা হয়নি। শুধু দশম শ্রেণীতে গিয়ে পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এই অবস্থায় বোর্ড গঠনের মাধ্যমে পিইসি পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

দেশে শিক্ষা আইনের অভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। তাই জরুরি হচ্ছে শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা। সেটা না করে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড গঠনের মাধ্যমে প্রাথমিক স্তরে পিইসি পরীক্ষাকে স্থায়ীকরণ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। শিক্ষাবিদদের মতে, পিইসি পরীক্ষা স্থায়ী করলে তা শিক্ষার্থীদের বাড়তি বোঝা হয়ে থাকবে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের মুখস্থনিভর্রতা ও নকলের প্রবণতা বাড়বে। কোচিং, প্রাইভেট ও নোট-গাইডের ব্যবসা আরও জমজমাট হবে। যা সরকারের নতুন শিক্ষাক্রমের দর্শনের বিরোধী পদক্ষেপ।

গণসাক্ষরতা অভিযানের একটি গবেষণার তথ্যমতে, পিইসি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দেশের ৮৬ শতাংশের বেশি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কোচিং করতে হয়। আবার ৭৮ শতাংশ সরকারি বিদ্যালয়ে এই পরীক্ষার জন্য কোচিং ছিল বাধ্যতামূলক।

আমরা বলতে চাই, ‘প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড’ গঠনের উদ্যোগ থেকে বিরত থাকা উচিত। এই খসড়া সংসদে পাঠানোর কোন প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের কী প্রয়োজন

বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১

শিক্ষানীতিতে নেই। কিন্তু নির্বাহী আদেশে নেয়া হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি)। নতুন অনুমোদিত শিক্ষাক্রমেও বলা হয়নি পিইসি পরীক্ষার কথা। শিক্ষাবিদরা এ পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বারবার। অভিভাবকরাও চাচ্ছেন পরীক্ষা নামক এই অত্যাচার থেকে শিশুরা মুক্তি পাক। পিইসি পরীক্ষা নামক এই বোঝা কমানোর দাবি উঠেছে আরও আগে থেকেই। তা সত্ত্বেও ‘প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড’ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোর্ড গঠন করতে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২১-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রণালয়। ২৫ নভেম্বরের মধ্যে খসড়ার বিষয়ে কারও কোন মতামত বা সুপারিশ থাকলে তা জানাতে বলা হয়েছে। গত রোববার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ খসড়া প্রকাশ করা হয়।

উন্নত জাতি গড়তে হলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হবে। আর দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে ২০১০ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে সরকার। সেখানে পঞ্চম শ্রেণী শেষে উপজেলা, পৌরসভা বা থানা পর্যায়ে সবার জন্য অভিন্ন প্রশ্নপত্রে সমাপনী পরীক্ষা নেয়ার কথা বলা হলেও জাতীয়ভাবে পরীক্ষা নেয়ার কথা নেই। তাছাড়া নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পিইসি ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি) রাখা হয়নি। শুধু দশম শ্রেণীতে গিয়ে পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এই অবস্থায় বোর্ড গঠনের মাধ্যমে পিইসি পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

দেশে শিক্ষা আইনের অভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। তাই জরুরি হচ্ছে শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা। সেটা না করে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড গঠনের মাধ্যমে প্রাথমিক স্তরে পিইসি পরীক্ষাকে স্থায়ীকরণ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। শিক্ষাবিদদের মতে, পিইসি পরীক্ষা স্থায়ী করলে তা শিক্ষার্থীদের বাড়তি বোঝা হয়ে থাকবে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের মুখস্থনিভর্রতা ও নকলের প্রবণতা বাড়বে। কোচিং, প্রাইভেট ও নোট-গাইডের ব্যবসা আরও জমজমাট হবে। যা সরকারের নতুন শিক্ষাক্রমের দর্শনের বিরোধী পদক্ষেপ।

গণসাক্ষরতা অভিযানের একটি গবেষণার তথ্যমতে, পিইসি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দেশের ৮৬ শতাংশের বেশি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কোচিং করতে হয়। আবার ৭৮ শতাংশ সরকারি বিদ্যালয়ে এই পরীক্ষার জন্য কোচিং ছিল বাধ্যতামূলক।

আমরা বলতে চাই, ‘প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড’ গঠনের উদ্যোগ থেকে বিরত থাকা উচিত। এই খসড়া সংসদে পাঠানোর কোন প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না।

back to top