alt

মতামত » সম্পাদকীয়

অনিয়ম-দুর্নীতির আরেক উদাহরণ

: রোববার, ১৪ নভেম্বর ২০২১

দেশে বিদ্যুতের স্মার্ট প্রিপেইড মিটার সংযোজনের অংশ হিসেবে কয়েক বছর আগে আলাদা দুটি কোম্পানি গঠন করে সরকার। স্মার্ট প্রিপেইড মিটার আমদানির পরিবর্তে খরচ কমানোই ছিল এর লক্ষ্য। দুটি চীনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারির ভিত্তিতে গঠন করা হয় কোম্পানি দুটি। এদের একটি হলো বাংলাদেশ স্মার্ট ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি (বিএসইসিও)। সরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) ও চীনের হেক্সিং ইলেকট্রিক্যালের সমন্বয়ে গঠিত হয় প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি প্রশিক্ষণ না দিয়ে ১৮ কোটি টাকার বেশি তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিএসইসিওর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা জানায় বিএসইসিও। উদ্দেশ্য ছিল স্মার্ট প্রিপেইড মিটারের মাধ্যমে গ্রাহকসেবার মানোন্নয়ন করা। আর এজন্যই খরচ দেখানো হয় ১৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা। কয়েকটি ঋণপত্রের (এলসি) মাধ্যমে প্রশিক্ষণদাতা প্রতিষ্ঠান চীনের হেক্সিং ইলেকট্রিক্যালকে এই টাকা দেয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে প্রশিক্ষণের কোন কার্যক্রমই হয়নি। কেউ কোন প্রশিক্ষণ দেয়নি এবং কেউ গ্রহণও করেনি। কোম্পানিটির নিজস্ব নিরীক্ষায়ও (অডিট) এ দুর্নীতি ধরা পড়েছে।

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ মেলে সব খাতেই। আরেকটি পুকুর চুরির অভিযোগ পাওয়া গেল বিএসইসিওতে। এখানে একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে। বিএসইসিওর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, কোম্পানি এর আগে বিভিন্ন পণ্যের বিপরীতে বেশি বিল দেখিয়ে এবং স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এলসির বিল পরিশোধের মাধ্যমে অর্থ পাচারের ব্যবস্থা করেছে। এভাবে প্রায় ৩০ কোটি টাকার বেশি এলসির মাধ্যমে চীনা কোম্পানি হেক্সিংকে দেয়া হয়েছে। হেক্সিংয়ের প্রতিনিধি হিসেবে চীনা নাগরিক ইয়ে ওয়েজুন ছিলেন বিএসইসিওর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। কিন্তু এরপরও তার স্বাক্ষরে ২১ কোটি টাকার বেশি বিল ছাড় করার চিঠি দেয়া হয় ব্যাংককে বলেও জানা গেছে।

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। এতে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কার কী ভূমিকা আছ সেটা জানা দরকার। দেশে অনিয়ম-দুর্নীতি যে হারে বাড়ছে তাতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। সেটা করা না গেলে দেশ একদিন দুর্নীতির ‘রোল মডেলে’ পরিণত হবে।

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

অনিয়ম-দুর্নীতির আরেক উদাহরণ

রোববার, ১৪ নভেম্বর ২০২১

দেশে বিদ্যুতের স্মার্ট প্রিপেইড মিটার সংযোজনের অংশ হিসেবে কয়েক বছর আগে আলাদা দুটি কোম্পানি গঠন করে সরকার। স্মার্ট প্রিপেইড মিটার আমদানির পরিবর্তে খরচ কমানোই ছিল এর লক্ষ্য। দুটি চীনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারির ভিত্তিতে গঠন করা হয় কোম্পানি দুটি। এদের একটি হলো বাংলাদেশ স্মার্ট ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি (বিএসইসিও)। সরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) ও চীনের হেক্সিং ইলেকট্রিক্যালের সমন্বয়ে গঠিত হয় প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি প্রশিক্ষণ না দিয়ে ১৮ কোটি টাকার বেশি তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিএসইসিওর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা জানায় বিএসইসিও। উদ্দেশ্য ছিল স্মার্ট প্রিপেইড মিটারের মাধ্যমে গ্রাহকসেবার মানোন্নয়ন করা। আর এজন্যই খরচ দেখানো হয় ১৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা। কয়েকটি ঋণপত্রের (এলসি) মাধ্যমে প্রশিক্ষণদাতা প্রতিষ্ঠান চীনের হেক্সিং ইলেকট্রিক্যালকে এই টাকা দেয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে প্রশিক্ষণের কোন কার্যক্রমই হয়নি। কেউ কোন প্রশিক্ষণ দেয়নি এবং কেউ গ্রহণও করেনি। কোম্পানিটির নিজস্ব নিরীক্ষায়ও (অডিট) এ দুর্নীতি ধরা পড়েছে।

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ মেলে সব খাতেই। আরেকটি পুকুর চুরির অভিযোগ পাওয়া গেল বিএসইসিওতে। এখানে একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে। বিএসইসিওর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, কোম্পানি এর আগে বিভিন্ন পণ্যের বিপরীতে বেশি বিল দেখিয়ে এবং স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এলসির বিল পরিশোধের মাধ্যমে অর্থ পাচারের ব্যবস্থা করেছে। এভাবে প্রায় ৩০ কোটি টাকার বেশি এলসির মাধ্যমে চীনা কোম্পানি হেক্সিংকে দেয়া হয়েছে। হেক্সিংয়ের প্রতিনিধি হিসেবে চীনা নাগরিক ইয়ে ওয়েজুন ছিলেন বিএসইসিওর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। কিন্তু এরপরও তার স্বাক্ষরে ২১ কোটি টাকার বেশি বিল ছাড় করার চিঠি দেয়া হয় ব্যাংককে বলেও জানা গেছে।

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। এতে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কার কী ভূমিকা আছ সেটা জানা দরকার। দেশে অনিয়ম-দুর্নীতি যে হারে বাড়ছে তাতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। সেটা করা না গেলে দেশ একদিন দুর্নীতির ‘রোল মডেলে’ পরিণত হবে।

back to top