alt

সম্পাদকীয়

যক্ষ্মা ও এইডস রোগ নির্মূল কর্মসূচি প্রসঙ্গে

: শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির আওতায় ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৫৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে যক্ষ্মা ও এইডস রোগ নির্মূলে কর্মসূচি গ্রহণ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তেমন কোন পরিকল্পনা নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কর্মসূচি বাস্তবায়নের নামে যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই দুর্নীতির মাধ্যমে একক উৎস থেকে অতিরিক্ত দামে ওষুধ সংগ্রহেরও অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উদ্যোগে টিবি-লেপ্রোসি অ্যান্ড এইডস/এসটিডি প্রোগ্রাম শীর্ষক অপারেশনাল প্লান বাস্তবায়ন কমিটির সভায় এসব অভিযোগ উঠে আসে। এ নিয়ে আজ শনিবার গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ২২টি দেশে যক্ষ্মার প্রকোপ বেশি। দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। সর্বশেষ ২০২০ সালে দেশে নতুন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয় ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৪০ জন। সরকারের হিসেবে জানা যায়, প্রতি বছর যক্ষ্মায় দেশে প্রায় ৩৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। সে হিসেবে প্রতিদিন মারা যায় ১০৭ জন।

জাতীয় এইডস নিয়ন্ত্রণ-এসটিডি কর্মসূচির তথ্যমতে, ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে এইডস সংক্রমিত মানুষের অনুমিত সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৩২ জন, আর মারা গেছে এক ৩৮৩ জন। এদের মধ্যে ২০২০ সালেই মারা গেছে ১৪১ জন এবং শনাক্ত হয়েছে ৬৫৮ জন। দিন আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার।

যক্ষ্মা ও এইডস রোগ নির্মূলে গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন হচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সেটি উপলব্ধি করছে কিনা। কর্মসূচি বাস্তবায়নের বাকি আছে মাত্র ছয় মাস। এখনও চলতি অর্থবছরের পরিকল্পনাই করা হয়নি। সংশ্লিষ্টদের গদাইলস্করি চাল দেখে মনে হয়, দেশ থেকে যক্ষ্মা ও এইডসের মতো ভয়াবহ রোগগুলো নির্মূলে তারা গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাদের এমন উদাসীনতা ও অবহেলা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। আমরা চাই না কারও উদাসীনতা বা অবহেলায় কর্মসূচিটি বিঘ্নিত হোক।

চলতি অর্থবছরের যতটুক সময় আছে এর মধ্যে পরিকল্পনা করে কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। এতদিনেও কেন এই পরিকল্পনা করা হলো না সেটা খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টদের কাজে স্বচ্ছতা ও জাবাবদিহিতা আদায় করা জরুরি।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

যক্ষ্মা ও এইডস রোগ নির্মূল কর্মসূচি প্রসঙ্গে

শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির আওতায় ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৫৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে যক্ষ্মা ও এইডস রোগ নির্মূলে কর্মসূচি গ্রহণ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তেমন কোন পরিকল্পনা নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কর্মসূচি বাস্তবায়নের নামে যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই দুর্নীতির মাধ্যমে একক উৎস থেকে অতিরিক্ত দামে ওষুধ সংগ্রহেরও অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উদ্যোগে টিবি-লেপ্রোসি অ্যান্ড এইডস/এসটিডি প্রোগ্রাম শীর্ষক অপারেশনাল প্লান বাস্তবায়ন কমিটির সভায় এসব অভিযোগ উঠে আসে। এ নিয়ে আজ শনিবার গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ২২টি দেশে যক্ষ্মার প্রকোপ বেশি। দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষষ্ঠ। সর্বশেষ ২০২০ সালে দেশে নতুন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয় ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৪০ জন। সরকারের হিসেবে জানা যায়, প্রতি বছর যক্ষ্মায় দেশে প্রায় ৩৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। সে হিসেবে প্রতিদিন মারা যায় ১০৭ জন।

জাতীয় এইডস নিয়ন্ত্রণ-এসটিডি কর্মসূচির তথ্যমতে, ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে এইডস সংক্রমিত মানুষের অনুমিত সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৩২ জন, আর মারা গেছে এক ৩৮৩ জন। এদের মধ্যে ২০২০ সালেই মারা গেছে ১৪১ জন এবং শনাক্ত হয়েছে ৬৫৮ জন। দিন আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার।

যক্ষ্মা ও এইডস রোগ নির্মূলে গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন হচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সেটি উপলব্ধি করছে কিনা। কর্মসূচি বাস্তবায়নের বাকি আছে মাত্র ছয় মাস। এখনও চলতি অর্থবছরের পরিকল্পনাই করা হয়নি। সংশ্লিষ্টদের গদাইলস্করি চাল দেখে মনে হয়, দেশ থেকে যক্ষ্মা ও এইডসের মতো ভয়াবহ রোগগুলো নির্মূলে তারা গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাদের এমন উদাসীনতা ও অবহেলা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। আমরা চাই না কারও উদাসীনতা বা অবহেলায় কর্মসূচিটি বিঘ্নিত হোক।

চলতি অর্থবছরের যতটুক সময় আছে এর মধ্যে পরিকল্পনা করে কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। এতদিনেও কেন এই পরিকল্পনা করা হলো না সেটা খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টদের কাজে স্বচ্ছতা ও জাবাবদিহিতা আদায় করা জরুরি।

back to top