আজ পার্বত্য চুক্তির ২৪ বছর পূর্তি হয়েছে। দীর্ঘ দুই যুগেও চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রধান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিভিন্ন সময় হতাশা প্রকাশ করেছেন। সরকার বলছে, পার্বত্য চুক্তির ৪৮টি ধারা পূর্ণাঙ্গ এবং ১৫টি ধারা আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে ধারা ছিল ৭২টি।
সরকার পাহাড়ে অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাচ্ছে। তবে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হলে সেখানে উন্নয়ন টেকসই হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পাহাড়ে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সেখানকার ভূমি বিরোধ মেটাতে হবে। এই লক্ষ্যে ২০০১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন করা হয়েছে। তবে আইনটি নিয়ে দেশে বিতর্ক সৃষ্টি হলে তা নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে তা সংশোধন করা হয়। কিন্তু সংশোধিত আইনের বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি আজও। আর এ কারণে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির বিচারিক কাজ শুরু করতে পারেনি ভূমি কমিশন।
দ্রুত ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের বিধিমালা করা হবে সেটা আমাদের আশা। ভূমি কমিশনকে কার্যকর করে ভূমির বিরোধ নিষ্পত্তি করা গেলে পাহাড়ের সিংহভাগ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস দূর করার জন্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি।
পার্বত্য অঞ্চলের একাধিক সংগঠন ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। পাহাড়ে সক্রিয় রয়েছে অন্তত চারটি পরস্পরবিরোধী আঞ্চলিক সংগঠন। শান্তিচুক্তিকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব-বিবাদ তৈরি হলেও পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারই এখন তাদের মূল এজেন্ডায় পরিণত হয়েছে। এর ফলে সেখানে প্রায়ই হতাহতের ঘটনা ঘটছে। সংঘাত-সংঘর্ষে যারা মারা যাচ্ছে তাদের সিংহভাগই আঞ্চলিক দলের নেতাকর্মী।
পার্বত্য অঞ্চলের এসব সংগঠন অস্ত্র আর অর্থের ভান্ডার গড়ে তুলেছে বলে জানা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের অর্থ আর অস্ত্রের উৎস কী। আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষগুলো কী ভূমিকা রাখছে সেটা জানা জরুরি। অভিযোগ রয়েছে, স্বার্থান্বেষী কোন কোন গোষ্ঠী পাহাড়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাতকে জিইয়ে রেখেছে। তারা চায় না যে, ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের অবসান ঘটুক, পাহাড়ে শান্তি ফিরুক। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখে সরকার ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা।
বৃহস্পতিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২১
আজ পার্বত্য চুক্তির ২৪ বছর পূর্তি হয়েছে। দীর্ঘ দুই যুগেও চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রধান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিভিন্ন সময় হতাশা প্রকাশ করেছেন। সরকার বলছে, পার্বত্য চুক্তির ৪৮টি ধারা পূর্ণাঙ্গ এবং ১৫টি ধারা আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে ধারা ছিল ৭২টি।
সরকার পাহাড়ে অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাচ্ছে। তবে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হলে সেখানে উন্নয়ন টেকসই হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পাহাড়ে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সেখানকার ভূমি বিরোধ মেটাতে হবে। এই লক্ষ্যে ২০০১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন করা হয়েছে। তবে আইনটি নিয়ে দেশে বিতর্ক সৃষ্টি হলে তা নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে তা সংশোধন করা হয়। কিন্তু সংশোধিত আইনের বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি আজও। আর এ কারণে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির বিচারিক কাজ শুরু করতে পারেনি ভূমি কমিশন।
দ্রুত ভূমি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের বিধিমালা করা হবে সেটা আমাদের আশা। ভূমি কমিশনকে কার্যকর করে ভূমির বিরোধ নিষ্পত্তি করা গেলে পাহাড়ের সিংহভাগ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস দূর করার জন্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি।
পার্বত্য অঞ্চলের একাধিক সংগঠন ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। পাহাড়ে সক্রিয় রয়েছে অন্তত চারটি পরস্পরবিরোধী আঞ্চলিক সংগঠন। শান্তিচুক্তিকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব-বিবাদ তৈরি হলেও পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারই এখন তাদের মূল এজেন্ডায় পরিণত হয়েছে। এর ফলে সেখানে প্রায়ই হতাহতের ঘটনা ঘটছে। সংঘাত-সংঘর্ষে যারা মারা যাচ্ছে তাদের সিংহভাগই আঞ্চলিক দলের নেতাকর্মী।
পার্বত্য অঞ্চলের এসব সংগঠন অস্ত্র আর অর্থের ভান্ডার গড়ে তুলেছে বলে জানা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের অর্থ আর অস্ত্রের উৎস কী। আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষগুলো কী ভূমিকা রাখছে সেটা জানা জরুরি। অভিযোগ রয়েছে, স্বার্থান্বেষী কোন কোন গোষ্ঠী পাহাড়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাতকে জিইয়ে রেখেছে। তারা চায় না যে, ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের অবসান ঘটুক, পাহাড়ে শান্তি ফিরুক। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখে সরকার ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা।