alt

সম্পাদকীয়

‘বন্দুকযুদ্ধ’ কোন সমাধান নয়

: শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম গত বুধবার রাতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। নিহত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর হত্যা মামলার দুই আসামিও পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে।

বন্দুকযুদ্ধে তিন আসামির নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের ভাষ্য হচ্ছে, কাউন্সিলর হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের অবস্থানের কথা জানতে পেরে তাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান শুরু হয় রাতে। আসামিরা যেখানে অবস্থান করছিল সেখানে পুলিশ পৌঁছালে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির পর আসামিদের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। গুলিবিদ্ধ আসামিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুততার সঙ্গে হত্যা মামলার তিনজন আসামির খোঁজ পেয়েছে সেটা একটা ভালো খবর। প্রশ্ন হচ্ছে, তিন আসামির একই পরিণতি ঘটল কীভাবে। অভিযান কেন গভীর রাতেই করতে হলো আর আসামিদের জীবিত গ্রেপ্তার করার কোন চেষ্টা সংশ্লিষ্টদের ছিল কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

‘বন্দুকযুদ্ধ’র ঘটনা নতুন নয়। ২০০৪ সালে র‌্যাব গঠিত হওয়ার পর থেকেই এটা ঘটছে। ‘বন্দুকযুদ্ধ’র ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য একই রকম থাকে। তাদের ভাষ্যের সত্যতা নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিভিন্ন সময় সন্দেহ-সংশয় প্রকাশ করেছে। ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, এনকাউন্টার প্রভৃতি নামে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা সংঘটিত হচ্ছে বলে দেশে-বিদেশে সমালোচনা হয়েছে। র‌্যাবের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ পাওয়া যায়।

বিচারবহির্ভূত হত্যা চালিয়ে কোন অপরাধ বন্ধ করা যায় না। আসামি বা কোন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনের মুখোমুখি করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার আসামির রয়েছে। আসামির পরিণতি কী হবে সেটা আইনের ভিত্তিতে আদালতে নির্ধারণ করা হবে। আমরা বলতে চাই, ‘বন্দুকযুদ্ধ’ কোন সমাধান নয়। বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করা জরুরি। আইনকে তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে দিতে হবে।

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

tab

সম্পাদকীয়

‘বন্দুকযুদ্ধ’ কোন সমাধান নয়

শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম গত বুধবার রাতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। নিহত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে সংশ্লিষ্ট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর হত্যা মামলার দুই আসামিও পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে।

বন্দুকযুদ্ধে তিন আসামির নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের ভাষ্য হচ্ছে, কাউন্সিলর হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের অবস্থানের কথা জানতে পেরে তাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান শুরু হয় রাতে। আসামিরা যেখানে অবস্থান করছিল সেখানে পুলিশ পৌঁছালে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির পর আসামিদের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। গুলিবিদ্ধ আসামিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুততার সঙ্গে হত্যা মামলার তিনজন আসামির খোঁজ পেয়েছে সেটা একটা ভালো খবর। প্রশ্ন হচ্ছে, তিন আসামির একই পরিণতি ঘটল কীভাবে। অভিযান কেন গভীর রাতেই করতে হলো আর আসামিদের জীবিত গ্রেপ্তার করার কোন চেষ্টা সংশ্লিষ্টদের ছিল কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

‘বন্দুকযুদ্ধ’র ঘটনা নতুন নয়। ২০০৪ সালে র‌্যাব গঠিত হওয়ার পর থেকেই এটা ঘটছে। ‘বন্দুকযুদ্ধ’র ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাষ্য একই রকম থাকে। তাদের ভাষ্যের সত্যতা নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিভিন্ন সময় সন্দেহ-সংশয় প্রকাশ করেছে। ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, এনকাউন্টার প্রভৃতি নামে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা সংঘটিত হচ্ছে বলে দেশে-বিদেশে সমালোচনা হয়েছে। র‌্যাবের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ পাওয়া যায়।

বিচারবহির্ভূত হত্যা চালিয়ে কোন অপরাধ বন্ধ করা যায় না। আসামি বা কোন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনের মুখোমুখি করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার আসামির রয়েছে। আসামির পরিণতি কী হবে সেটা আইনের ভিত্তিতে আদালতে নির্ধারণ করা হবে। আমরা বলতে চাই, ‘বন্দুকযুদ্ধ’ কোন সমাধান নয়। বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করা জরুরি। আইনকে তার স্বাভাবিক গতিতে চলতে দিতে হবে।

back to top