alt

সম্পাদকীয়

সংকটে সংবাদপত্রশিল্প প্রয়োজন প্রণোদনা

: বুধবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১

দেশের সংবাদপত্রগুলোর চ্যালেঞ্জ বহুমুখী। ছাপবার জন্য কাগজ কেনা থেকে শুরু করে পাঠকের হাতে পত্রিকা পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত নানান স্তরে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সঙ্গে ছাপা মাধ্যমের প্রতিযোগিতা আরও আগেই অসম হয়ে পড়েছে। কাগজ কেনা, ভ্যাট-ট্যাক্স দেয়া, পত্রিকা ছাপা, পরিবহন, হকারের কমিশন প্রভৃতি ব্যয় নির্বাহ করতে হয় প্রিন্ট মিডিয়াকে।

সরকার সংবাপত্রকে শিল্প ঘোষণা করেছে। আশা করা হয়েছিল, সেবাশিল্প হিসেবে সংবাদপত্রকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে। বাস্তবতা হচ্ছে, কাঙ্ক্ষিত সহায়তা মেলেনি। সংবাদপত্র সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন সময় নীতিনির্ধারকদের কাছে অনেক দাবিদাওয়া পেশ করেছেন। প্রতিবার বাজেটের আগে সংশ্লিষ্টদের ডেকে সরকার আলোচনা করে, বক্তব্য শোনে। কিন্তু আশ্বাস অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। সংবাদপত্র শিল্পের ওপর থেকে ভ্যাট-ট্যাক্সের বোঝাও কমানো হয় না।

সংবাদপত্রের মূল কাঁচামাল কাগজ আমদানি করতে ভ্যাট-ট্যাক্সসহ মোট ২৩ শতাংশ অর্থ রাজস্ব হিসেবে দিতে হয়। অথচ কোন কোন শিল্পের মূল কাঁচামালে শূন্য শুল্ক সুবিধা দেয়া হয়। নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ বলেছেন, ‘তৈরি পোশাক খাত ১২ থেকে ১৫ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স দেয়, আর সংবাদপত্রকে দিতে হয় ৩০ শতাংশ। এত সব চাপে সংবাদপত্র রোগ্ণ শিল্পে পরিণত হয়ে যাচ্ছে।’

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে সংবাদপত্র শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিজ্ঞাপন কমে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। এর বিপরীতে কাগজসহ সংবাদপত্রশিল্পের বিভিন্ন উপকরণের দাম বেড়েছে। এই অবস্থায় টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার রক্ষায় সংবাদপত্র পিছু হটেনি। মহামারীর প্রভাবজনিত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে মুনাফাকারী সাধারণ শিল্পে সহায়তা দেয়া হয়েছে। অথচ সংবাদপত্র সেবাশিল্প হওয়া সত্ত্বেও সরকারের প্রণোদনা পায়নি।

সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এক মতবিনিময় সভা করেছে। সেখানে এমন প্রশ্ন উঠেছে যে, সংবাদপত্রকে একটি সেবামূলক খাত হিসেবে চিহ্নিত করে এই খাত কেন প্রণোদনা পাবে না। সংশ্লিষ্টরা এই প্রশ্নের মর্ম উপলব্ধি করবেন এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন- সেটা আমাদের আশা।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

সংকটে সংবাদপত্রশিল্প প্রয়োজন প্রণোদনা

বুধবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১

দেশের সংবাদপত্রগুলোর চ্যালেঞ্জ বহুমুখী। ছাপবার জন্য কাগজ কেনা থেকে শুরু করে পাঠকের হাতে পত্রিকা পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত নানান স্তরে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সঙ্গে ছাপা মাধ্যমের প্রতিযোগিতা আরও আগেই অসম হয়ে পড়েছে। কাগজ কেনা, ভ্যাট-ট্যাক্স দেয়া, পত্রিকা ছাপা, পরিবহন, হকারের কমিশন প্রভৃতি ব্যয় নির্বাহ করতে হয় প্রিন্ট মিডিয়াকে।

সরকার সংবাপত্রকে শিল্প ঘোষণা করেছে। আশা করা হয়েছিল, সেবাশিল্প হিসেবে সংবাদপত্রকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে। বাস্তবতা হচ্ছে, কাঙ্ক্ষিত সহায়তা মেলেনি। সংবাদপত্র সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন সময় নীতিনির্ধারকদের কাছে অনেক দাবিদাওয়া পেশ করেছেন। প্রতিবার বাজেটের আগে সংশ্লিষ্টদের ডেকে সরকার আলোচনা করে, বক্তব্য শোনে। কিন্তু আশ্বাস অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। সংবাদপত্র শিল্পের ওপর থেকে ভ্যাট-ট্যাক্সের বোঝাও কমানো হয় না।

সংবাদপত্রের মূল কাঁচামাল কাগজ আমদানি করতে ভ্যাট-ট্যাক্সসহ মোট ২৩ শতাংশ অর্থ রাজস্ব হিসেবে দিতে হয়। অথচ কোন কোন শিল্পের মূল কাঁচামালে শূন্য শুল্ক সুবিধা দেয়া হয়। নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ বলেছেন, ‘তৈরি পোশাক খাত ১২ থেকে ১৫ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স দেয়, আর সংবাদপত্রকে দিতে হয় ৩০ শতাংশ। এত সব চাপে সংবাদপত্র রোগ্ণ শিল্পে পরিণত হয়ে যাচ্ছে।’

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে সংবাদপত্র শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিজ্ঞাপন কমে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। এর বিপরীতে কাগজসহ সংবাদপত্রশিল্পের বিভিন্ন উপকরণের দাম বেড়েছে। এই অবস্থায় টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার রক্ষায় সংবাদপত্র পিছু হটেনি। মহামারীর প্রভাবজনিত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে মুনাফাকারী সাধারণ শিল্পে সহায়তা দেয়া হয়েছে। অথচ সংবাদপত্র সেবাশিল্প হওয়া সত্ত্বেও সরকারের প্রণোদনা পায়নি।

সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এক মতবিনিময় সভা করেছে। সেখানে এমন প্রশ্ন উঠেছে যে, সংবাদপত্রকে একটি সেবামূলক খাত হিসেবে চিহ্নিত করে এই খাত কেন প্রণোদনা পাবে না। সংশ্লিষ্টরা এই প্রশ্নের মর্ম উপলব্ধি করবেন এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন- সেটা আমাদের আশা।

back to top