উচ্চ ফলনশীলসহ শতাধিক বিভিন্ন ধানের জাত আবিষ্কারের কৃতিত্ব রয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি)। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সময় নানা ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতিও উদ্ভাবন করেছে। তাদের উদ্ভাবিত কৃষিযন্ত্রের আরও একটি নতুন সংযোজন হলো দেশের জমিতে ব্যবহারের উপযোগী ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার। ব্রির বিজ্ঞানীরা নিজেরা গবেষণা করে ধান কাটার যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেছেন বলে জানা গেছে। যদিও এর ইঞ্জিনটি বিদেশ থেকে আমদানিকৃত।
ব্রির বিজ্ঞানীদের এ উদ্ভাবন দেশের কৃষি খাতের জন্য একটি সুখবর বলে আমরা মনে করি। তাদের উদ্ভাবিত যন্ত্রটির দাম পড়বে মাত্র ১২-১৩ লাখ টাকা। বিদেশ থেকে আমদানি করতে যার খরচ পড়ত ২৫-৩০ লাখ টাকা। উদ্ভাবিত যন্ত্রটির ইঞ্জিনের ক্ষমতা ৮৭ হর্স পাওয়ার। এটি ঘণ্টায় তিন-চার বিঘা জমির ধান কাটতে সক্ষম। এর জ্বালানি খরচও তুলনামূলক কম- ঘণ্টায় সাড়ে তিন থেকে চার লিটার। পাশাপাশি এটির হারভেস্টিং লস শতকরা এক ভাগের কম বলে জানা গেছে। যন্ত্রটি খন্ড খন্ড জমিতেও ব্যবহার উপযোগী। আশা করি, কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্র দেশের কৃষি খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমরা বাংলাদেশকে এমন এক জায়গায় দেখতে চাই, এ ধরনের যন্ত্র উদ্ভাবনে যখন ইঞ্জিনও আমদানি করতে হবে না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। যন্ত্রটি যাতে কৃষকরা কাজে লাগাতে পারেন সেজন্য সহজলভ্য করতে হবে। এটির ব্যবহার যেন সহজ ও পরিবেশবান্ধব হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে।
বলা হয়েছে যন্ত্রটির খরচ কম হবে। আমদানি করা যন্ত্রের চেয়ে খরচ কম, সেটা ঠিক আছে। তারপরও এটি কিনতে ১০-১২ লাখ টাকার মতো খরচ পড়বে। দেশের সিংহভাগ কৃষকই এটা কেনার সামর্থ্য রাখেন কি না সেটাও ভাবতে হবে। কৃষকরা যদি নতুন উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে না পারেন তাহলে এর সফলতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। তাই ব্যয় সাশ্রয়ী কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবনের চেষ্টা চালাতে হবে। সেগুলো যাতে কৃষকের ঘরে ঘরে পেঁৗঁছে যায়, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। পাশাপাশি দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব যন্ত্রপাতি যাতে বিদেশেও রপ্তানি করা যায় সেই দিকেও বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। উদ্ভাবনের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
শনিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২২
উচ্চ ফলনশীলসহ শতাধিক বিভিন্ন ধানের জাত আবিষ্কারের কৃতিত্ব রয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি)। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সময় নানা ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতিও উদ্ভাবন করেছে। তাদের উদ্ভাবিত কৃষিযন্ত্রের আরও একটি নতুন সংযোজন হলো দেশের জমিতে ব্যবহারের উপযোগী ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার। ব্রির বিজ্ঞানীরা নিজেরা গবেষণা করে ধান কাটার যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেছেন বলে জানা গেছে। যদিও এর ইঞ্জিনটি বিদেশ থেকে আমদানিকৃত।
ব্রির বিজ্ঞানীদের এ উদ্ভাবন দেশের কৃষি খাতের জন্য একটি সুখবর বলে আমরা মনে করি। তাদের উদ্ভাবিত যন্ত্রটির দাম পড়বে মাত্র ১২-১৩ লাখ টাকা। বিদেশ থেকে আমদানি করতে যার খরচ পড়ত ২৫-৩০ লাখ টাকা। উদ্ভাবিত যন্ত্রটির ইঞ্জিনের ক্ষমতা ৮৭ হর্স পাওয়ার। এটি ঘণ্টায় তিন-চার বিঘা জমির ধান কাটতে সক্ষম। এর জ্বালানি খরচও তুলনামূলক কম- ঘণ্টায় সাড়ে তিন থেকে চার লিটার। পাশাপাশি এটির হারভেস্টিং লস শতকরা এক ভাগের কম বলে জানা গেছে। যন্ত্রটি খন্ড খন্ড জমিতেও ব্যবহার উপযোগী। আশা করি, কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্র দেশের কৃষি খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমরা বাংলাদেশকে এমন এক জায়গায় দেখতে চাই, এ ধরনের যন্ত্র উদ্ভাবনে যখন ইঞ্জিনও আমদানি করতে হবে না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। যন্ত্রটি যাতে কৃষকরা কাজে লাগাতে পারেন সেজন্য সহজলভ্য করতে হবে। এটির ব্যবহার যেন সহজ ও পরিবেশবান্ধব হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে।
বলা হয়েছে যন্ত্রটির খরচ কম হবে। আমদানি করা যন্ত্রের চেয়ে খরচ কম, সেটা ঠিক আছে। তারপরও এটি কিনতে ১০-১২ লাখ টাকার মতো খরচ পড়বে। দেশের সিংহভাগ কৃষকই এটা কেনার সামর্থ্য রাখেন কি না সেটাও ভাবতে হবে। কৃষকরা যদি নতুন উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে না পারেন তাহলে এর সফলতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। তাই ব্যয় সাশ্রয়ী কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবনের চেষ্টা চালাতে হবে। সেগুলো যাতে কৃষকের ঘরে ঘরে পেঁৗঁছে যায়, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। পাশাপাশি দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব যন্ত্রপাতি যাতে বিদেশেও রপ্তানি করা যায় সেই দিকেও বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। উদ্ভাবনের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।