alt

সম্পাদকীয়

শিক্ষা কর্মকর্তার খামখেয়ালিপনা

: মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২২

প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের আগে সিজারিয়ানে সন্তান জন্ম দেন মাকসুদা বেগম। অপারেশনের ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতে তাকে ১৮ দিন বয়সী নবজাতক নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপজেলা পরিষদ ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত শিক্ষা অফিসে হাজিরা দিতে হয়েছে। তিনি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সাজনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মাতৃত্বকালীন ছুটি চেয়ে চিকিৎসকের সনদসহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবেদন করেছিলেন। আবেদন মঞ্জুর হয়নি।

কারণ মা ও শিশুকে স্বচক্ষে না দেখে শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা পারভীন মাতৃত্বকালীন ছুটি মঞ্জুর করেন না। যে কারণে ছুটি নিতে মাকসুদা বেগমকে অসুস্থ অবস্থাতে সেখানে হাজির হতে হয়েছে। উপজেলার আরও অনেক নারী শিক্ষককে তার মতো ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মা ও নবজাতককে স্বচক্ষে না দেখে মাতৃত্বকালীন ছুটি দেয়া যাবে না-এমন উদ্ভট নিয়ম শিক্ষা কর্মকর্তা কোথায় পেয়েছেন? মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রতিটি কর্মজীবী নারীর আইনগত অধিকার। সেই অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে শিক্ষা কর্মকর্তা কোন ক্ষমতাবলে অমানবিক সব শর্তজুড়ে দিচ্ছেন সেটা আমরা জানতে চাই।

চিকিৎসকের সনদে যদি তার ভরসা না থাকে, শুধু নবজাতককে দেখার পর ছুটি দেয়ার স্ব-উদ্ভাবিত কৌশল যদি তিনি ব্যবহার করতেই চান তাহলে তিনি নিজে গিয়ে মা ও নবজাতককে দেখে আসলেই পারেন। তার কার্যালয়ে গিয়ে মা ও নবজাতককে হাজিরা দিতে হবে কেন? চিকিৎসকরা সন্তান জন্ম দেয়ার পর মাকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। অথচ মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য এই শিক্ষা কর্মকর্তা মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছেন।

শিক্ষা কর্মকর্তার অবিবেচনাপ্রসূতে খেয়ালের শিকার হয়েছেন আরো অনেক নারী শিক্ষক। ছুটি না নিয়ে সন্তান প্রসব ও স্কুল কামাই করার অভিযোগে আরেক শিক্ষককে তিনি শোকজ করেছেন বলে জানা গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোন শিশুর জন্ম কি কোন শিক্ষা কর্মকর্তার ছুটির অপেক্ষায় থাকে। শিক্ষা কর্মকর্তার যদি ছুটি দিতে মর্জি না হয় তাহলে সন্তান প্রসব বন্ধ থাকবে? এই শিক্ষা কর্মকর্তা মানসিকভাবে সুস্থ কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। তার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

শিক্ষা কর্মকর্তার খামখেয়ালিপনা

মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২২

প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের আগে সিজারিয়ানে সন্তান জন্ম দেন মাকসুদা বেগম। অপারেশনের ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতে তাকে ১৮ দিন বয়সী নবজাতক নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপজেলা পরিষদ ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত শিক্ষা অফিসে হাজিরা দিতে হয়েছে। তিনি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সাজনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মাতৃত্বকালীন ছুটি চেয়ে চিকিৎসকের সনদসহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবেদন করেছিলেন। আবেদন মঞ্জুর হয়নি।

কারণ মা ও শিশুকে স্বচক্ষে না দেখে শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা পারভীন মাতৃত্বকালীন ছুটি মঞ্জুর করেন না। যে কারণে ছুটি নিতে মাকসুদা বেগমকে অসুস্থ অবস্থাতে সেখানে হাজির হতে হয়েছে। উপজেলার আরও অনেক নারী শিক্ষককে তার মতো ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মা ও নবজাতককে স্বচক্ষে না দেখে মাতৃত্বকালীন ছুটি দেয়া যাবে না-এমন উদ্ভট নিয়ম শিক্ষা কর্মকর্তা কোথায় পেয়েছেন? মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রতিটি কর্মজীবী নারীর আইনগত অধিকার। সেই অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে শিক্ষা কর্মকর্তা কোন ক্ষমতাবলে অমানবিক সব শর্তজুড়ে দিচ্ছেন সেটা আমরা জানতে চাই।

চিকিৎসকের সনদে যদি তার ভরসা না থাকে, শুধু নবজাতককে দেখার পর ছুটি দেয়ার স্ব-উদ্ভাবিত কৌশল যদি তিনি ব্যবহার করতেই চান তাহলে তিনি নিজে গিয়ে মা ও নবজাতককে দেখে আসলেই পারেন। তার কার্যালয়ে গিয়ে মা ও নবজাতককে হাজিরা দিতে হবে কেন? চিকিৎসকরা সন্তান জন্ম দেয়ার পর মাকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। অথচ মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য এই শিক্ষা কর্মকর্তা মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছেন।

শিক্ষা কর্মকর্তার অবিবেচনাপ্রসূতে খেয়ালের শিকার হয়েছেন আরো অনেক নারী শিক্ষক। ছুটি না নিয়ে সন্তান প্রসব ও স্কুল কামাই করার অভিযোগে আরেক শিক্ষককে তিনি শোকজ করেছেন বলে জানা গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোন শিশুর জন্ম কি কোন শিক্ষা কর্মকর্তার ছুটির অপেক্ষায় থাকে। শিক্ষা কর্মকর্তার যদি ছুটি দিতে মর্জি না হয় তাহলে সন্তান প্রসব বন্ধ থাকবে? এই শিক্ষা কর্মকর্তা মানসিকভাবে সুস্থ কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। তার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top