প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের আগে সিজারিয়ানে সন্তান জন্ম দেন মাকসুদা বেগম। অপারেশনের ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতে তাকে ১৮ দিন বয়সী নবজাতক নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপজেলা পরিষদ ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত শিক্ষা অফিসে হাজিরা দিতে হয়েছে। তিনি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সাজনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মাতৃত্বকালীন ছুটি চেয়ে চিকিৎসকের সনদসহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবেদন করেছিলেন। আবেদন মঞ্জুর হয়নি।
কারণ মা ও শিশুকে স্বচক্ষে না দেখে শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা পারভীন মাতৃত্বকালীন ছুটি মঞ্জুর করেন না। যে কারণে ছুটি নিতে মাকসুদা বেগমকে অসুস্থ অবস্থাতে সেখানে হাজির হতে হয়েছে। উপজেলার আরও অনেক নারী শিক্ষককে তার মতো ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মা ও নবজাতককে স্বচক্ষে না দেখে মাতৃত্বকালীন ছুটি দেয়া যাবে না-এমন উদ্ভট নিয়ম শিক্ষা কর্মকর্তা কোথায় পেয়েছেন? মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রতিটি কর্মজীবী নারীর আইনগত অধিকার। সেই অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে শিক্ষা কর্মকর্তা কোন ক্ষমতাবলে অমানবিক সব শর্তজুড়ে দিচ্ছেন সেটা আমরা জানতে চাই।
চিকিৎসকের সনদে যদি তার ভরসা না থাকে, শুধু নবজাতককে দেখার পর ছুটি দেয়ার স্ব-উদ্ভাবিত কৌশল যদি তিনি ব্যবহার করতেই চান তাহলে তিনি নিজে গিয়ে মা ও নবজাতককে দেখে আসলেই পারেন। তার কার্যালয়ে গিয়ে মা ও নবজাতককে হাজিরা দিতে হবে কেন? চিকিৎসকরা সন্তান জন্ম দেয়ার পর মাকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। অথচ মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য এই শিক্ষা কর্মকর্তা মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছেন।
শিক্ষা কর্মকর্তার অবিবেচনাপ্রসূতে খেয়ালের শিকার হয়েছেন আরো অনেক নারী শিক্ষক। ছুটি না নিয়ে সন্তান প্রসব ও স্কুল কামাই করার অভিযোগে আরেক শিক্ষককে তিনি শোকজ করেছেন বলে জানা গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোন শিশুর জন্ম কি কোন শিক্ষা কর্মকর্তার ছুটির অপেক্ষায় থাকে। শিক্ষা কর্মকর্তার যদি ছুটি দিতে মর্জি না হয় তাহলে সন্তান প্রসব বন্ধ থাকবে? এই শিক্ষা কর্মকর্তা মানসিকভাবে সুস্থ কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। তার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।
মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২২
প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের আগে সিজারিয়ানে সন্তান জন্ম দেন মাকসুদা বেগম। অপারেশনের ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতে তাকে ১৮ দিন বয়সী নবজাতক নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপজেলা পরিষদ ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত শিক্ষা অফিসে হাজিরা দিতে হয়েছে। তিনি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সাজনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মাতৃত্বকালীন ছুটি চেয়ে চিকিৎসকের সনদসহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবেদন করেছিলেন। আবেদন মঞ্জুর হয়নি।
কারণ মা ও শিশুকে স্বচক্ষে না দেখে শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা পারভীন মাতৃত্বকালীন ছুটি মঞ্জুর করেন না। যে কারণে ছুটি নিতে মাকসুদা বেগমকে অসুস্থ অবস্থাতে সেখানে হাজির হতে হয়েছে। উপজেলার আরও অনেক নারী শিক্ষককে তার মতো ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মা ও নবজাতককে স্বচক্ষে না দেখে মাতৃত্বকালীন ছুটি দেয়া যাবে না-এমন উদ্ভট নিয়ম শিক্ষা কর্মকর্তা কোথায় পেয়েছেন? মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রতিটি কর্মজীবী নারীর আইনগত অধিকার। সেই অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে শিক্ষা কর্মকর্তা কোন ক্ষমতাবলে অমানবিক সব শর্তজুড়ে দিচ্ছেন সেটা আমরা জানতে চাই।
চিকিৎসকের সনদে যদি তার ভরসা না থাকে, শুধু নবজাতককে দেখার পর ছুটি দেয়ার স্ব-উদ্ভাবিত কৌশল যদি তিনি ব্যবহার করতেই চান তাহলে তিনি নিজে গিয়ে মা ও নবজাতককে দেখে আসলেই পারেন। তার কার্যালয়ে গিয়ে মা ও নবজাতককে হাজিরা দিতে হবে কেন? চিকিৎসকরা সন্তান জন্ম দেয়ার পর মাকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। অথচ মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য এই শিক্ষা কর্মকর্তা মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছেন।
শিক্ষা কর্মকর্তার অবিবেচনাপ্রসূতে খেয়ালের শিকার হয়েছেন আরো অনেক নারী শিক্ষক। ছুটি না নিয়ে সন্তান প্রসব ও স্কুল কামাই করার অভিযোগে আরেক শিক্ষককে তিনি শোকজ করেছেন বলে জানা গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোন শিশুর জন্ম কি কোন শিক্ষা কর্মকর্তার ছুটির অপেক্ষায় থাকে। শিক্ষা কর্মকর্তার যদি ছুটি দিতে মর্জি না হয় তাহলে সন্তান প্রসব বন্ধ থাকবে? এই শিক্ষা কর্মকর্তা মানসিকভাবে সুস্থ কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। তার মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে- এমনটাই আমরা দেখতে চাই।