alt

সম্পাদকীয়

নদী রক্ষার দায়িত্ব সবাইকেই নিতে হবে

: মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২২

শিল্প-কলকারখানাগুলো যেমন দেশের নদ-নদী দূষণ করছে, নাগরিকরাও তেমন দূষণ করছেন। মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীতে নির্বিচারে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে বলে জানা গেছে। মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট এলাকা থেকে মিরকাদিম লঞ্চঘাট পর্যন্ত নদীর দক্ষিণ তীরে প্রায় ১৫টি স্থানে স্থানীয় বাসিন্দারা বর্জ্য ফেলছেন। এছাড়াও সরকারি খাল, ড্রেন, কল-কারখানার বর্জ্য এবং নদী তীরে থাকা ময়লার স্তূপ থেকে ময়লা আবর্জনা গিয়ে মিশছে ধলেশ্বরী নদীতে। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগে নদীতে গোসল করা গেলেও এখন তা সম্ভব নয়। ধলেশ্বরী নদীতে এক সময় প্রচুর মাছ পাওয়া যেত, এখন জেলেদের জালেও মিলছে না মাছ।

মানুষের জীবন ও নদী একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষের জীবনপ্রণালী ও অর্থনীতি বহুলাংশে পানির ওপর নির্ভরশীল। নদী সুপেয় পানি দেয়, মাছ সরবরাহ করে, যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সুবিধা, পরিবেশ শীতল রাখা এবং বায়ু শোধন করাসহ নানা পরিষেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু কথায় আছে উপকারী গাছের বাকল থাকে না।

মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের কারণে নদী মারা যাচ্ছে। অনেকে প্রত্যক্ষ দখলের মাধ্যমে নদীর অস্তিত্ব বিলুপ্ত করছে। কেউবা নদীতে নানাবিধ বর্জ্য ফেলে দূষণের মাধ্যমে নদীকে ভাগাড়ে পরিণত করছে। এ কারণে নদী তার স্বাভাবিক জীবন হারিয়ে ফেলছে। ফলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষের জীবন ও জীবিকাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

নদ-নদী দূষণে শিল্প-কলকারখানার যেমন দায় আছে, তেমন নাগরিকদেরও দায় রয়েছে। মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী পাড়ের বাসিন্দারাও নদী দূষণের দায় কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। পাশাপাশি স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে নদী রক্ষার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন কর্তৃপক্ষেরও দায় রয়েছে।

নদীর গুরুত্ব এবং নদী সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় ২০১৬ সালে বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম নদীকে একটি স্বাধীন সত্তা হিসেবে ঘোষণা করেন কলম্বিয়ার সাংবিধানিক আদালত। দেশের আদালতে ২০১৯ সালে নদীকে আইনি সত্তা বা জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু নদী রক্ষায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

নদী রক্ষার দায়িত্বটা সবাইকেই নিতে হবে। এককভাবে কোন কর্তৃপক্ষের নদী দূষণ ও দখল দূর করা সম্ভব নয়। শিল্প-কলকারখানাকে যেমন দূষণ বন্ধ করতে হবে তেমনি নাগরিকদেরও এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। সবাই যদি দায়িত্বশীল হন তাহলে নদী রক্ষার কাজটা সহজ হবে। নদী দূষণ, দখল আর জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধে সবাইকেই সচেতন হতে হবে।

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

tab

সম্পাদকীয়

নদী রক্ষার দায়িত্ব সবাইকেই নিতে হবে

মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২২

শিল্প-কলকারখানাগুলো যেমন দেশের নদ-নদী দূষণ করছে, নাগরিকরাও তেমন দূষণ করছেন। মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীতে নির্বিচারে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে বলে জানা গেছে। মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট এলাকা থেকে মিরকাদিম লঞ্চঘাট পর্যন্ত নদীর দক্ষিণ তীরে প্রায় ১৫টি স্থানে স্থানীয় বাসিন্দারা বর্জ্য ফেলছেন। এছাড়াও সরকারি খাল, ড্রেন, কল-কারখানার বর্জ্য এবং নদী তীরে থাকা ময়লার স্তূপ থেকে ময়লা আবর্জনা গিয়ে মিশছে ধলেশ্বরী নদীতে। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগে নদীতে গোসল করা গেলেও এখন তা সম্ভব নয়। ধলেশ্বরী নদীতে এক সময় প্রচুর মাছ পাওয়া যেত, এখন জেলেদের জালেও মিলছে না মাছ।

মানুষের জীবন ও নদী একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষের জীবনপ্রণালী ও অর্থনীতি বহুলাংশে পানির ওপর নির্ভরশীল। নদী সুপেয় পানি দেয়, মাছ সরবরাহ করে, যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সুবিধা, পরিবেশ শীতল রাখা এবং বায়ু শোধন করাসহ নানা পরিষেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু কথায় আছে উপকারী গাছের বাকল থাকে না।

মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের কারণে নদী মারা যাচ্ছে। অনেকে প্রত্যক্ষ দখলের মাধ্যমে নদীর অস্তিত্ব বিলুপ্ত করছে। কেউবা নদীতে নানাবিধ বর্জ্য ফেলে দূষণের মাধ্যমে নদীকে ভাগাড়ে পরিণত করছে। এ কারণে নদী তার স্বাভাবিক জীবন হারিয়ে ফেলছে। ফলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষের জীবন ও জীবিকাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

নদ-নদী দূষণে শিল্প-কলকারখানার যেমন দায় আছে, তেমন নাগরিকদেরও দায় রয়েছে। মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী পাড়ের বাসিন্দারাও নদী দূষণের দায় কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। পাশাপাশি স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে নদী রক্ষার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন কর্তৃপক্ষেরও দায় রয়েছে।

নদীর গুরুত্ব এবং নদী সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় ২০১৬ সালে বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম নদীকে একটি স্বাধীন সত্তা হিসেবে ঘোষণা করেন কলম্বিয়ার সাংবিধানিক আদালত। দেশের আদালতে ২০১৯ সালে নদীকে আইনি সত্তা বা জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু নদী রক্ষায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

নদী রক্ষার দায়িত্বটা সবাইকেই নিতে হবে। এককভাবে কোন কর্তৃপক্ষের নদী দূষণ ও দখল দূর করা সম্ভব নয়। শিল্প-কলকারখানাকে যেমন দূষণ বন্ধ করতে হবে তেমনি নাগরিকদেরও এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। সবাই যদি দায়িত্বশীল হন তাহলে নদী রক্ষার কাজটা সহজ হবে। নদী দূষণ, দখল আর জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধে সবাইকেই সচেতন হতে হবে।

back to top