১১ বছরেও ফেলানী খাতুন হত্যার বিচার হয়নি। হত্যার বিচার ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে প্রক্রিয়াধীন আছে। ভারতীয় মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে দেশটির সুপ্রিমকোর্টে রিট আবেদন করেছিল। সংগঠনটি এর আগে অভিযোগ করে বলেছিল যে, ‘সমস্যা হচ্ছে ভারত সরকার চায় না এ হত্যাকান্ডের বিচার হোক।’
ফেলানী হত্যার ঘটনায় সমালোচনার মুখে ভারত সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার কথা বলেছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার না করার প্রশ্নে দুই দেশ একমত হয়। বাস্তবে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হয়নি। সীমান্ত হত্যাও বন্ধ হয়নি।
বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, সীমান্তে হত্যা বাংলাদেশের জন্য দুঃখের, ভারতের জন্য লজ্জার। ভারতের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, আত্মরক্ষার জন্য বিএসএফকে গুলি ছুড়তে হয়। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিভিন্ন সময়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, বিএসএফের গুলিতে নিরস্ত্র মানুষ মারা যান। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকরা নির্যাতনের শিকার হন বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
সীমান্তে নানা অপরাধের কথা বলে ভারত। এ কারণে সীমান্ত হত্যা কমছে না বলে দেশটি মনে করে। আমরা বলতে চাই, অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বা হয়েছে এমন সন্দেহের প্রেক্ষিতে মানুষ হত্যা করা চলে না। কেউ যদি অপরাধ করেও থাকে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করাই সমীচীন। মানুষের জীবনের অধিকারকে কোন অবস্থাতেই অস্বীকার করা চলে না।
সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার জন্য যে প্রতিশ্রুতি ভারত দিয়েছে আমরা তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দেখতে চাই। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা বন্ধুপ্রতীম দুটি দেশের পক্ষে কঠিন কোন কাজ নয়। ভারত আন্তরিকভাবে চাইলে এটা বন্ধ করা সম্ভব। সীমান্তে বাংলাদেশের জন্য দুঃখের বা ভারতের জন্য লজ্জার ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ হবে- এটা আমাদের প্রত্যাশা।
ফেলানী হত্যার দ্রুত বিচার হচ্ছে সেটাও আমরা দেখতে চাই।
শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২
১১ বছরেও ফেলানী খাতুন হত্যার বিচার হয়নি। হত্যার বিচার ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে প্রক্রিয়াধীন আছে। ভারতীয় মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে দেশটির সুপ্রিমকোর্টে রিট আবেদন করেছিল। সংগঠনটি এর আগে অভিযোগ করে বলেছিল যে, ‘সমস্যা হচ্ছে ভারত সরকার চায় না এ হত্যাকান্ডের বিচার হোক।’
ফেলানী হত্যার ঘটনায় সমালোচনার মুখে ভারত সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার কথা বলেছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার না করার প্রশ্নে দুই দেশ একমত হয়। বাস্তবে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ হয়নি। সীমান্ত হত্যাও বন্ধ হয়নি।
বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, সীমান্তে হত্যা বাংলাদেশের জন্য দুঃখের, ভারতের জন্য লজ্জার। ভারতের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, আত্মরক্ষার জন্য বিএসএফকে গুলি ছুড়তে হয়। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিভিন্ন সময়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, বিএসএফের গুলিতে নিরস্ত্র মানুষ মারা যান। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকরা নির্যাতনের শিকার হন বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
সীমান্তে নানা অপরাধের কথা বলে ভারত। এ কারণে সীমান্ত হত্যা কমছে না বলে দেশটি মনে করে। আমরা বলতে চাই, অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বা হয়েছে এমন সন্দেহের প্রেক্ষিতে মানুষ হত্যা করা চলে না। কেউ যদি অপরাধ করেও থাকে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করাই সমীচীন। মানুষের জীবনের অধিকারকে কোন অবস্থাতেই অস্বীকার করা চলে না।
সীমান্ত হত্যা বন্ধ করার জন্য যে প্রতিশ্রুতি ভারত দিয়েছে আমরা তার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দেখতে চাই। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা বন্ধুপ্রতীম দুটি দেশের পক্ষে কঠিন কোন কাজ নয়। ভারত আন্তরিকভাবে চাইলে এটা বন্ধ করা সম্ভব। সীমান্তে বাংলাদেশের জন্য দুঃখের বা ভারতের জন্য লজ্জার ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ হবে- এটা আমাদের প্রত্যাশা।
ফেলানী হত্যার দ্রুত বিচার হচ্ছে সেটাও আমরা দেখতে চাই।