alt

সম্পাদকীয়

রক্ষিত বনের লক্ষ্য অর্জনে বাধা কোথায়

: শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২

২০২০ সালের মধ্যে দেশের মোট ভূখন্ডের ১৭ শতাংশকে রক্ষিত বনাঞ্চল করার লক্ষ্য ছিল। জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্যবিষয়ক সনদে (সিবিডি) বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে ২০১১ সালে। সনদ অনুযায়ী দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে এ লক্ষ্য নির্ধারণ করে সরকার।

নির্ধারিত সময়ের এক বছর পরে এসে জানা গেল, সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ২০২১ সাল পর্যন্ত মাত্র ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ এলাকাকে রক্ষিত বন করতে পেরেছে বাংলাদেশ। ‘দক্ষিণ এশিয়ার রক্ষিত বনের অবস্থা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্ষিত বন রক্ষার বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০-এর মধ্যেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব নয়।

নির্ধারিত লক্ষ্য আর বাস্তব অর্জনের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধানের কারণ কী- সেটা আমরা জানতে চাই। বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে না, নাকি লক্ষ্য বাস্তবায়নে কোন ঘাটতি আছে? সরকার নিশ্চয়ই বুঝেশুনে লক্ষ্য নির্ধারণ করে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের দায়িত্ব সংশ্লিষ্টদের ওপর অর্পণ করা হয়। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্তরা তা অর্জনে প্রায়ই ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। এটা শুধু রক্ষিত বনাঞ্চলের ক্ষেত্রেই নয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে দেখা যায়, সরকার একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করছে- কিন্তু সেটা অর্জিত হচ্ছে না।

লক্ষ্য নির্ধারণ ও অর্জনের মধ্যে যদি যোজন যোজন দূরত্ব থাকে তাহলে দেশ টেকসইভাবে উন্নত হবে কীভাবে? পরিবেশকে বাদ দিয়ে নিশ্চয় উন্নতিকে টেকসই করা যায় না। গবেষণা প্রতিবেদনে জানা গেছে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সবচেয়ে পিছিয়ে থাকলেও ভুটান ৪৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ বনাঞ্চল রক্ষিত করতে পেরেছে। যা সিবিডি সনদের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় তিনগুণ। তারা সফল হলে বাংলাদেশ কেন পারছে না?

দেশে একের পর এক বনকে রক্ষিত হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সুরক্ষা দেয়ার কাজ এখনো প্রকল্পভিত্তিকই রয়ে গেছে। এমনকি বন বিভাগ ও সরকারের অন্য সংস্থাগুলো কোনো কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারেনি।

রক্ষিত বন ব্যবস্থাপনায় একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার আইনি কাঠামো তৈরি করা হয়েছে বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রধান বন সংরক্ষক। এসব বন রক্ষায় নিয়মিত তহবিল সৃষ্টি করার কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি। সিবিডি স্বাক্ষর অনুযায়ী রক্ষিত বন রক্ষার নির্ধারিত সময়য়ের পরে ‘কাজ শুরু হয়েছে’। তাহলে এটি কবে শেষ হবে তা সহজেই অনুমেয়। তার ওপর ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট ভূখন্ডের ৩০ শতাংশ এলাকাকে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

‘আইনি কাঠামো তৈরি হয়েছে’, ‘কাজ শুরু হয়েছে’- আমরা এমন কথা আর শুনতে চাই না। দৃশ্যমান কাজ দেখতে চাই। ঢিমেতেতালে কাজ করলে হবে না। নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্য অর্জনের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

রক্ষিত বনের লক্ষ্য অর্জনে বাধা কোথায়

শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২

২০২০ সালের মধ্যে দেশের মোট ভূখন্ডের ১৭ শতাংশকে রক্ষিত বনাঞ্চল করার লক্ষ্য ছিল। জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্যবিষয়ক সনদে (সিবিডি) বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে ২০১১ সালে। সনদ অনুযায়ী দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে এ লক্ষ্য নির্ধারণ করে সরকার।

নির্ধারিত সময়ের এক বছর পরে এসে জানা গেল, সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ২০২১ সাল পর্যন্ত মাত্র ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ এলাকাকে রক্ষিত বন করতে পেরেছে বাংলাদেশ। ‘দক্ষিণ এশিয়ার রক্ষিত বনের অবস্থা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্ষিত বন রক্ষার বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০-এর মধ্যেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব নয়।

নির্ধারিত লক্ষ্য আর বাস্তব অর্জনের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধানের কারণ কী- সেটা আমরা জানতে চাই। বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করা হচ্ছে না, নাকি লক্ষ্য বাস্তবায়নে কোন ঘাটতি আছে? সরকার নিশ্চয়ই বুঝেশুনে লক্ষ্য নির্ধারণ করে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের দায়িত্ব সংশ্লিষ্টদের ওপর অর্পণ করা হয়। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্তরা তা অর্জনে প্রায়ই ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। এটা শুধু রক্ষিত বনাঞ্চলের ক্ষেত্রেই নয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে দেখা যায়, সরকার একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করছে- কিন্তু সেটা অর্জিত হচ্ছে না।

লক্ষ্য নির্ধারণ ও অর্জনের মধ্যে যদি যোজন যোজন দূরত্ব থাকে তাহলে দেশ টেকসইভাবে উন্নত হবে কীভাবে? পরিবেশকে বাদ দিয়ে নিশ্চয় উন্নতিকে টেকসই করা যায় না। গবেষণা প্রতিবেদনে জানা গেছে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সবচেয়ে পিছিয়ে থাকলেও ভুটান ৪৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ বনাঞ্চল রক্ষিত করতে পেরেছে। যা সিবিডি সনদের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় তিনগুণ। তারা সফল হলে বাংলাদেশ কেন পারছে না?

দেশে একের পর এক বনকে রক্ষিত হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সুরক্ষা দেয়ার কাজ এখনো প্রকল্পভিত্তিকই রয়ে গেছে। এমনকি বন বিভাগ ও সরকারের অন্য সংস্থাগুলো কোনো কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারেনি।

রক্ষিত বন ব্যবস্থাপনায় একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার আইনি কাঠামো তৈরি করা হয়েছে বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রধান বন সংরক্ষক। এসব বন রক্ষায় নিয়মিত তহবিল সৃষ্টি করার কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি। সিবিডি স্বাক্ষর অনুযায়ী রক্ষিত বন রক্ষার নির্ধারিত সময়য়ের পরে ‘কাজ শুরু হয়েছে’। তাহলে এটি কবে শেষ হবে তা সহজেই অনুমেয়। তার ওপর ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট ভূখন্ডের ৩০ শতাংশ এলাকাকে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

‘আইনি কাঠামো তৈরি হয়েছে’, ‘কাজ শুরু হয়েছে’- আমরা এমন কথা আর শুনতে চাই না। দৃশ্যমান কাজ দেখতে চাই। ঢিমেতেতালে কাজ করলে হবে না। নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্য অর্জনের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

back to top