দেশে কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী হার নীতিনির্ধারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের আগাম ব্যবস্থা হিসেবে দেয়া হয়েছে ১১ দফা বিধিনিষেধ। যার মধ্যে গণপরিবহনে অর্ধেক আসন শূন্য রেখে চলাচলের কথা বলা হয়েছে।
এ সিদ্ধান্ত যাত্রী সাধারণের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। কারণ অতীতে দেখা গেছে, এ ধরনের সিদ্ধান্তের পর বাস ভাড়া বেড়ে গেছে। এবারও পরিবহন মালিকরা বাস ভাড়া বাড়ানোর জন্য চেষ্টা-তদবির করছেন। তারা কোন কিছুর জন্য চেষ্টা-তদবির করলে কী পরিণতি ভোগ করতে হয় যাত্রী সাধারণ সেটা ভালো করেই জানেন।
এখন মানুষের জন্য করোনার সংক্রমণের চেয়ে সরকারের বিধিনিষেধ অনেক বেশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিধিনিষেধ কতটা মানা হয় আর তাতে কী সুফল মেলে সেটা জানার উপায় নেই। এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট গবেষণা হতে পারে। তবে বিধিনিষেধে যে মানুষের ভোগান্তি বাড়ে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
অফিস, কলকারখানা, ব্যবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে মানুষকে পথে নামতেই হবে। গণপরিবহনের অপ্রতুলতার কারণে স্বাভাবিক দিনেই গাড়ির জন্য মানুষকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। গণপরিবহণের সংখ্যা বাড়বে না, কিন্তু যাত্রী পরিবহনের পরিমাণ কমবে।
এ অবস্থায় অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের বিধিনিষেধের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে। বিশেষকরে নারী যাত্রীদের বেশি অসুবিধা হবে। অতীতে দেখা গেছে, বাসের জন্য মানুষ মোড়ে মোড়ে জটলা পাকিয়ে থাকেন। বাসে ওঠার প্রতিযোগিতায় একজন আরেকজনের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেন। এতে করোনার সংক্রমণ বাড়ে না কমে সেটা একটা প্রশ্ন।
অতীতে দেখা গেছে, বিধিনিষেধের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালানোর কথা বলা হলেও সেটা উপেক্ষিত থেকে যায়। বাড়তি ভাড়া আর সুযোগ বুঝে বাড়তি যাত্রী তোলায় বাসের ড্রাইভার-হেল্পার যত আগ্রহী স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রশ্নে তারা ততটাই উদাসীন থাকেন। যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজের ব্যবস্থা করা হয় না বা ব্যবস্থা থাকলেও সেটা ব্যবহার করা হয় না। গাড়ি জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশনা মানা হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ভাড়া যা বাড়ানো হয় তার চেয়েও বেশি আদায় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। যাত্রী পরিবহনের সীমাও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা লঙ্ঘন করেন। তাদের অনিয়মের প্রতিবাদ করে যাত্রীরা প্রতিকার পান না। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের স্বেচ্ছাচারিতায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকেই যায়, আবার বাড়তি ভাড়াও গুনতে হয়। মানুষের আয় বাড়েনি কিন্তু খরচ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। কিছুদিন আগে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এখন আবার ভাড়া বাড়লে সাধারণ মানুষের খরচ বাড়বে।
জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ বাইরে বের হবেন আবার গণপরিবহনে সবাই উঠতে পারবেন না- এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে নাগরিক ভোগান্তি চলতেই থাকবে। কর্মস্থলে মানুষের যাওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২
দেশে কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী হার নীতিনির্ধারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের আগাম ব্যবস্থা হিসেবে দেয়া হয়েছে ১১ দফা বিধিনিষেধ। যার মধ্যে গণপরিবহনে অর্ধেক আসন শূন্য রেখে চলাচলের কথা বলা হয়েছে।
এ সিদ্ধান্ত যাত্রী সাধারণের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। কারণ অতীতে দেখা গেছে, এ ধরনের সিদ্ধান্তের পর বাস ভাড়া বেড়ে গেছে। এবারও পরিবহন মালিকরা বাস ভাড়া বাড়ানোর জন্য চেষ্টা-তদবির করছেন। তারা কোন কিছুর জন্য চেষ্টা-তদবির করলে কী পরিণতি ভোগ করতে হয় যাত্রী সাধারণ সেটা ভালো করেই জানেন।
এখন মানুষের জন্য করোনার সংক্রমণের চেয়ে সরকারের বিধিনিষেধ অনেক বেশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিধিনিষেধ কতটা মানা হয় আর তাতে কী সুফল মেলে সেটা জানার উপায় নেই। এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট গবেষণা হতে পারে। তবে বিধিনিষেধে যে মানুষের ভোগান্তি বাড়ে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
অফিস, কলকারখানা, ব্যবসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে মানুষকে পথে নামতেই হবে। গণপরিবহনের অপ্রতুলতার কারণে স্বাভাবিক দিনেই গাড়ির জন্য মানুষকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। গণপরিবহণের সংখ্যা বাড়বে না, কিন্তু যাত্রী পরিবহনের পরিমাণ কমবে।
এ অবস্থায় অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের বিধিনিষেধের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে। বিশেষকরে নারী যাত্রীদের বেশি অসুবিধা হবে। অতীতে দেখা গেছে, বাসের জন্য মানুষ মোড়ে মোড়ে জটলা পাকিয়ে থাকেন। বাসে ওঠার প্রতিযোগিতায় একজন আরেকজনের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেন। এতে করোনার সংক্রমণ বাড়ে না কমে সেটা একটা প্রশ্ন।
অতীতে দেখা গেছে, বিধিনিষেধের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালানোর কথা বলা হলেও সেটা উপেক্ষিত থেকে যায়। বাড়তি ভাড়া আর সুযোগ বুঝে বাড়তি যাত্রী তোলায় বাসের ড্রাইভার-হেল্পার যত আগ্রহী স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রশ্নে তারা ততটাই উদাসীন থাকেন। যাত্রীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজের ব্যবস্থা করা হয় না বা ব্যবস্থা থাকলেও সেটা ব্যবহার করা হয় না। গাড়ি জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশনা মানা হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ভাড়া যা বাড়ানো হয় তার চেয়েও বেশি আদায় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। যাত্রী পরিবহনের সীমাও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা লঙ্ঘন করেন। তাদের অনিয়মের প্রতিবাদ করে যাত্রীরা প্রতিকার পান না। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের স্বেচ্ছাচারিতায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকেই যায়, আবার বাড়তি ভাড়াও গুনতে হয়। মানুষের আয় বাড়েনি কিন্তু খরচ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। কিছুদিন আগে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এখন আবার ভাড়া বাড়লে সাধারণ মানুষের খরচ বাড়বে।
জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ বাইরে বের হবেন আবার গণপরিবহনে সবাই উঠতে পারবেন না- এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে নাগরিক ভোগান্তি চলতেই থাকবে। কর্মস্থলে মানুষের যাওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে।