যশোরের ভবদহ ও সংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি অনেক পুরোনো। সংশ্লিষ্ট এলাকার ভুক্তভোগী মানুষদের প্রায়ই দাবি পূরণের জন্য পথে নামতে হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনসহ ছয় দফা দাবিতে গত রোববার শতাধিক মানুষ অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে।
দাবিগুলো হচ্ছে-‘ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ সেচ প্রকল্প বাতিল, ক্রাস প্রোগ্রামে মাঘী পূর্ণিমার আগেই বিল কপালিয়া টিআরএম (টাইডল রিভার ম্যানেজমেন্ট বা জোয়ারাধার) চালু, ক্ষতিপূরণ দেয়া, কৃষিঋণ মওকুফ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রভৃতি।
ভবদহ অঞ্চলের তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতার সমস্যায় জর্জরিত। বর্ষা মৌসুম চলে গেছে প্রায় পাঁচ মাস আগে। কিন্তু সেই বর্ষার পানি ভবদহে রয়ে গেছে আজো। শতাধিক গ্রামের বাড়িঘর ও জমি ডুবে আছে পানিতে। কৃষকরা চাষ করতে পারছেন না। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না, কারণ সেগুলোও পানিতে তলিয়ে আছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে তা ফলদায়ী হয়নি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যে ব্যবস্থা নিয়েছে তার ফলে জলাবদ্ধতা কমেনি, বরং বেড়েছে। পাউবো নতুন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, নতুন প্রকল্প তাদের ভোগান্তি আরও বাড়াবে।
পাম্প বসিয়ে পানি সেচে জলাবদ্ধতা আদৌ দূর করা যাবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিল কপালিয়ায় পরিকল্পিত উপায়ে জোয়ার-ভাটা অর্থাৎ টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) চালু করা হলে সমস্যার সমাধান হতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে সেটা আমাদের আশা। বছর আটেক আগেও টিআরএম চালু ছিল। ব্যবস্থাটি আবার চালু করতে সমস্যা কোথায় সেটা আমাদের বোধগম্য নয়।
ভবদহের লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ দূর করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে দ্রুত কাজ করতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে যে কোন কাজ করতে হবে স্থানীয় বাসিন্দাদের আস্থায় নিয়ে।
মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২
যশোরের ভবদহ ও সংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি অনেক পুরোনো। সংশ্লিষ্ট এলাকার ভুক্তভোগী মানুষদের প্রায়ই দাবি পূরণের জন্য পথে নামতে হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনসহ ছয় দফা দাবিতে গত রোববার শতাধিক মানুষ অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে।
দাবিগুলো হচ্ছে-‘ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ সেচ প্রকল্প বাতিল, ক্রাস প্রোগ্রামে মাঘী পূর্ণিমার আগেই বিল কপালিয়া টিআরএম (টাইডল রিভার ম্যানেজমেন্ট বা জোয়ারাধার) চালু, ক্ষতিপূরণ দেয়া, কৃষিঋণ মওকুফ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রভৃতি।
ভবদহ অঞ্চলের তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতার সমস্যায় জর্জরিত। বর্ষা মৌসুম চলে গেছে প্রায় পাঁচ মাস আগে। কিন্তু সেই বর্ষার পানি ভবদহে রয়ে গেছে আজো। শতাধিক গ্রামের বাড়িঘর ও জমি ডুবে আছে পানিতে। কৃষকরা চাষ করতে পারছেন না। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না, কারণ সেগুলোও পানিতে তলিয়ে আছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে তা ফলদায়ী হয়নি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যে ব্যবস্থা নিয়েছে তার ফলে জলাবদ্ধতা কমেনি, বরং বেড়েছে। পাউবো নতুন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, নতুন প্রকল্প তাদের ভোগান্তি আরও বাড়াবে।
পাম্প বসিয়ে পানি সেচে জলাবদ্ধতা আদৌ দূর করা যাবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিল কপালিয়ায় পরিকল্পিত উপায়ে জোয়ার-ভাটা অর্থাৎ টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) চালু করা হলে সমস্যার সমাধান হতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে সেটা আমাদের আশা। বছর আটেক আগেও টিআরএম চালু ছিল। ব্যবস্থাটি আবার চালু করতে সমস্যা কোথায় সেটা আমাদের বোধগম্য নয়।
ভবদহের লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ দূর করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে দ্রুত কাজ করতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে যে কোন কাজ করতে হবে স্থানীয় বাসিন্দাদের আস্থায় নিয়ে।