মাঘের শুরুতে হাসানপুর গ্রামের মাঠে মেলা শুরু হবে। বিরলি গ্রামের বেলুন বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন মেলায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। নিজের বাড়ির উঠানে গ্যাসের সিলিন্ডার দিয়ে ফোলাচ্ছিলেন বেলুন। মেলার স্বপ্নে বিভোর গ্রামের শিশুরা তাকে ঘিরে বেলুন ফোলানো দেখছিল।
মেলা শুরু হয়েছে। কিন্তু তাদের কেউই সেখানে যোগ দিতে পারেনি। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বেলুন বিক্রেতাসহ উপস্থিত শিশুরা আহত হয়েছে। যারা পরের দিন যেতে চেয়েছিল মেলায়, তাদের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতাল। আহতদের মধ্যে কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে।
বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাতে অনেকে মারাও গেছে। ২০১৯ সালে ঢাকার রূপনগরে বেলুনে গ্যাস ভরার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সাত শিশু মারা গিয়েছিল।
বেলুন ফোলাতে হয় সাধারণত হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে। জানা গেছে, দেশের বেলুন বিক্রেতারা হিলিয়াম গ্যাসের পরিবর্তে হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করছে। এ গ্যাস তারা ঘরে বসেই তৈরি করছে। পানি আর কস্টিক সোডা দিয়েই সহজ তৈরি করা যায় এই গ্যাস। উপকরণ সহজলভ্য, খরচও কম। এ কারণে বেলুন বিক্রেতার হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহারেই আগ্রহী।
লাভের দিকটা মাথায় থাকলেও এর ঝুঁকির দিকটা তারা উপেক্ষা করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাইড্রোজেন গ্যাস তৈরিতে যে কস্টিক সোডা ব্যবহার করা হয় সেটি তাপের সৃষ্টি করে। এর ফলে সিলিন্ডারে ক্ষয় ধরে পাতলা হয়ে একসময় লিকেজ তৈরি হয়। যা থেকে এক সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে।
সিলিন্ডার ব্যবহার করে বেলুনে গ্যাস ভরে বিক্রি করা অবৈধ হলেও বেলুন বিক্রেতারা তা মানছে না। তাদের কেউ এ কাজ থেকে নিবৃত্তও করছে না। সিলিন্ডার ব্যবহার করে বেলুনে গ্যাস ভরার কাজ বন্ধ করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর না বিস্ফোরক পরিদপ্তরের- এ নিয়ে এক সংস্থা আরেক সংস্থার ঘাড়ে দায় চাপায়। তাদের এ দায় চাপানোর খেলায় ঘটছে দুর্ঘটনা, হতাহত হচ্ছে মানুষ। সিলিন্ডার ব্যবহার করে যারা গ্যাস বেলুন বিক্রি বন্ধ করতে অভিযান চালাতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
নাঙ্গলকোটে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২
মাঘের শুরুতে হাসানপুর গ্রামের মাঠে মেলা শুরু হবে। বিরলি গ্রামের বেলুন বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন মেলায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। নিজের বাড়ির উঠানে গ্যাসের সিলিন্ডার দিয়ে ফোলাচ্ছিলেন বেলুন। মেলার স্বপ্নে বিভোর গ্রামের শিশুরা তাকে ঘিরে বেলুন ফোলানো দেখছিল।
মেলা শুরু হয়েছে। কিন্তু তাদের কেউই সেখানে যোগ দিতে পারেনি। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বেলুন বিক্রেতাসহ উপস্থিত শিশুরা আহত হয়েছে। যারা পরের দিন যেতে চেয়েছিল মেলায়, তাদের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতাল। আহতদের মধ্যে কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে।
বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাতে অনেকে মারাও গেছে। ২০১৯ সালে ঢাকার রূপনগরে বেলুনে গ্যাস ভরার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সাত শিশু মারা গিয়েছিল।
বেলুন ফোলাতে হয় সাধারণত হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে। জানা গেছে, দেশের বেলুন বিক্রেতারা হিলিয়াম গ্যাসের পরিবর্তে হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করছে। এ গ্যাস তারা ঘরে বসেই তৈরি করছে। পানি আর কস্টিক সোডা দিয়েই সহজ তৈরি করা যায় এই গ্যাস। উপকরণ সহজলভ্য, খরচও কম। এ কারণে বেলুন বিক্রেতার হাইড্রোজেন গ্যাস ব্যবহারেই আগ্রহী।
লাভের দিকটা মাথায় থাকলেও এর ঝুঁকির দিকটা তারা উপেক্ষা করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাইড্রোজেন গ্যাস তৈরিতে যে কস্টিক সোডা ব্যবহার করা হয় সেটি তাপের সৃষ্টি করে। এর ফলে সিলিন্ডারে ক্ষয় ধরে পাতলা হয়ে একসময় লিকেজ তৈরি হয়। যা থেকে এক সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে।
সিলিন্ডার ব্যবহার করে বেলুনে গ্যাস ভরে বিক্রি করা অবৈধ হলেও বেলুন বিক্রেতারা তা মানছে না। তাদের কেউ এ কাজ থেকে নিবৃত্তও করছে না। সিলিন্ডার ব্যবহার করে বেলুনে গ্যাস ভরার কাজ বন্ধ করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর না বিস্ফোরক পরিদপ্তরের- এ নিয়ে এক সংস্থা আরেক সংস্থার ঘাড়ে দায় চাপায়। তাদের এ দায় চাপানোর খেলায় ঘটছে দুর্ঘটনা, হতাহত হচ্ছে মানুষ। সিলিন্ডার ব্যবহার করে যারা গ্যাস বেলুন বিক্রি বন্ধ করতে অভিযান চালাতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
নাঙ্গলকোটে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।